শহরের ইতিহাসচর্চার বিষয়টি উল্লেখ করে কলকাতার গুরুত্ব বিশ্লেষণ করাে। 

শহরের ইতিহাসচর্চার বিষয়টি উল্লেখ করে কলকাতার গুরুত্ব বিশ্লেষণ করাে। Mark 4 | Class 10

উত্তর:-

 শহরের উদ্ভব, বিকাশ, বিস্তার ও অবক্ষয় সম্পর্কিত তথ্যের চর্চা হল শহরের ইতিহাস। এই ইতিহাসের দিকগুলি হল— 

 প্রথমত, শহরের বাসিন্দা ও তাদের সমাজবিন্যাস এবং তাদের। কার্যকলাপসহ শহরের আর্থ-রাজনৈতিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক গুরুত্বকে চিহ্নিত করা। 

 দ্বিতীয়ত, ১৯২০-র দশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শহরের ইতিহাসচর্চার সূচনা হয়; শহরের ইতিহাসচর্চার সঙ্গে যুক্ত ঐতিহাসিকরা হলেন—স্টিফেন থানস্টম, এডুইন বারােজ, মাইক ওয়ালেস, কলিন জোনস, রােনাল্ড টেলর, ক্রিস্টিন ডবিন, নারায়ণী। গুপ্ত, লক্ষ্মী সুব্রম্ভণ্যম।।

কলকাতার গুরুত্ব : ভারতের অন্য শহরগুলির তুলনায় কলকাতা তরুণ হলেও শহরের ইতিহাসচর্চায় কলকাতার গুরুত্ব অনেক, যেমন— 

১) কলকাতার প্রতিষ্ঠা ও ঔপনিবেশিক শহর : কলকাতা শহরটি যে জোব চার্নক-এর তৈরি নয়, সে-কথা অনেক দিন আগেই প্রমাণিত হয়ে গেছে। তারপর পলাশীর যুদ্ধের মাধ্যমে ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এই বাংলার এই শহরকে কেন্দ্র করে ঔপনিবেশিক শাসন প্রতিষ্ঠা করে। 

২) জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের পীঠস্থান : ১৯১২ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা থেকে রাজধানী দিল্লিতে স্থানান্তরিত হলে কলকাতার গুরুত্ব কমে যায় ঠিকই, কিন্তু ভারতের রাজনৈতিক ও স্বাধীনতা আন্দোলনের নতুন কর্মকেন্দ্র হয়ে ওঠে কলকাতা। বলা বাহুল্য, ভারতে ঔপনিবেশিক শাসনের বিরাট একটি অধ্যায়ের সাক্ষী কলকাতাই। 

৩) সাংস্কৃতিক কেন্দ্র : বাণিজ্যিক না হােক, কলকাতা আজও দেশের সাংস্কৃতিক রাজধানী তাে বটেই। অল্প কথায়, কলকাতা শহর আধুনিক ইতিহাসচর্চায় নিঃসন্দেহে আলাদা মনােযােগ দাবি করে।

Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।

Leave a Comment