পরিবেশ রক্ষার আন্দোলনের সঙ্গে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের সম্পর্ক কী? Mark 4 | Class 10
উনিশ শতকের উপজাতীয় কৃষক জীবন বিভিন্ন কারণে অশান্ত হয়ে ওঠে। ঐতিহাসিক রামচন্দ্র গুহ এই পরিস্থিতিকে ‘অশান্ত অরণ্যজীবন’ বলে অভিহিত করেছেন।
পরিবেশ ও ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ
১) উদ্ভিদ গবেষণা : অষ্টাদশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে ইংরেজ ইস্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানি বাংলা ও মাদ্রাজ দখলের পরে এই দুই অঞ্চলের নিয়ে গবেষণা শুরু করেছিল এবং বােটানিক্যাল গার্ডেন প্রতিষ্ঠা করেছিল। এই গবেষণার পশ্চাতে ভারতের পরিবেশ রক্ষার চাইতে অধিক গুরুত্ব পেয়েছিল ইংরেজ কোম্পানির বাণিজ্যিক, সামরিক ও বৈজ্ঞানিক স্বার্থ।
২) বনজ সম্পদ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা : এই সময় উপজাতীয় কৃষকদের বনজ সম্পদ ব্যবহারের প্রথাগত অধিকারের বিরুদ্ধে সরকারি বিধিনিষেধের হুমকি দেওয়া হয়। কারণ,
প্রথমত ১৮০৬ খ্রিস্টাব্দে ইংল্যান্ডে ওক কাঠের অভাব হলে এবং রাজকীয় নৌবাহিনীর জন্য ভারতীয় ওক কাঠের দরকার পড়লে ভারতের বিশাল বনজসম্পদের ওপর ব্রিটিশদের নজর পড়ে।
দ্বিতীয়ত, উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে (১৮৫৩ খ্রিস্টাব্দে) ভারতে রেলপথ পাতা শুরু হলে, তার জন্য দরকার পড়ে প্রচুর কাঠের তক্তা বা ‘স্লিপার’।
এইসব প্রয়ােজনের দিকে তাকিয়ে ঔপনিবেশিক সরকার ভারতের বনজসম্পদ আহরণে আগ্রহী হয় এবং ঔপনিবেশিক অরণ্য আইন চালু করে। এর ফলে আদিবাসী সহ ভারতের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ অরণ্যের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়। তাই পরিবেশের ভারসাম্য ও বনচারী উপজাতির অধিকারের স্বার্থে শুরু হয় আন্দোলন।
Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।