পুনা চুক্তি সম্পর্কে একটি টীকা লেখাে। 4 Marks/Class 10
উত্তর:-
ভূমিকা : বিশ শতকের শুরু থেকেই ভারতীয় রাজনীতিতে দলিত সমস্যা গুরুত্ব লাভ করে এবং ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দের সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা নীতিতে তা স্বীকৃতি লাভ করে। দলিতদের রাজনৈতিক অধিকার অর্জনের ক্ষেত্রে পরবর্তী গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ছিল পুনা চুক্তি (১৯৩২ খ্রি.)।
পুনা চুক্তি : ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে অনুন্নত সম্প্রদায়ের নেতা ড. বি. আর. আম্বেদকর ও গান্ধিজির মধ্যে ‘পুনা চুক্তি’ স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তির শর্তগুলি হল—
(১) উন্নত ও অনুন্নত হিন্দু সম্প্রদায় যৌথভাবে ভােট দেবে অর্থাৎ অনুন্নত ‘হরিজন’ শ্রেণি-সহ সব হিন্দুদের যৌথ নির্বাচক মণ্ডলীর নীতি স্বীকৃত হবে; (২) হরিজন সম্প্রদায় হিন্দুসমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ এ কথা স্বীকার করা হবে; (৩) হরিজনদের জন্য আইনসভায় আসন সংখ্যার বরাদ্দ দ্বিগুণ করার সঙ্গে সঙ্গে তা সংরক্ষিত করা; (৪) সরকারি চাকরিতে অনুন্নত শ্রেণির যথেষ্ট প্রতিনিধিত্ব দান করা; (৫) দশ বছর পর সংরক্ষিত আসন ব্যবস্থার অবসান করা হবে।
গুরুত্ব : ভারতের ইতিহাসে পুনা চুক্তির গুরুত্ব ছিল খুব তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ—
১. যৌথ নির্বাচন ব্যবস্থা : পুনা চুক্তি অনুসারে অনুন্নত সম্প্রদায়ের জন্য পৃথক নির্বাচনের ব্যবস্থা বাতিল করা হয়; হিন্দুদের যােথ নির্বাচনের সূত্র মেনে নেওয়া হয়।
২. আসন সংরক্ষণ : অনুন্নত শ্রেণির আসন বরাদ্দ দ্বিগুণ বৃদ্ধি পায় এবং এই আসনগুলি তাদের জন্য সংরক্ষিত হয়।
৩. গান্ধির গুরুত্ব বৃদ্ধি : পুনা চুক্তি গান্ধিজির জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি করে এবং তার প্রচেষ্টায় হিন্দুসমাজে বিভেদনীতি অনুপ্রবেশের অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়।
Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।