তেলেনাপােতা আবিষ্কার গল্পে লেখক গল্প বলার ক্ষেত্রে ক্রিয়াপদ ব্যবহারে যে নতুনত্ব এনেছেন তা আলােচনা করাে।

তেলেনাপােতা আবিষ্কার গল্পে লেখক গল্প বলার ক্ষেত্রে ক্রিয়াপদ ব্যবহারে যে নতুনত্ব এনেছেন তা আলােচনা করাে।

উত্তর:- ‘তেলেনাপােতা আবিষ্কার’ গল্পে শৈলীগত দিক দিয়ে যেসব বিশেষ কৌশল লেখক প্রয়ােগ করেছেন, তার অন্যতম হল গল্পের বয়ানে ভবিষ্যৎকালের ক্রিয়ারুপের ব্যবহার।

প্রেমেন্দ্র মিত্রের ‘তেলেনাপােতা আবিষ্কার’ গল্পের প্রথম লাইনেই ভবিষ্যতের চিহ্ন আছে, ‘শনি ও মঙ্গলের—মঙ্গলই হবেবােধ হয়–যােগাযােগ হলে তেলেনাপােতা আপনারাও একদিন আবিষ্কার করতে পারেন। অর্থাৎ এই আবিষ্কার এখনও করা হয়নি, ভবিষ্যতে করা যেতে পারে। কর্ম ও ভাববাচ্যের ভবিষ্যৎ ক্রিয়ারুপও এ গল্পে আমরা দেখতে পাই। যেমন—-‘বড়াে রাস্তা থেকে নেমে সেই ভিজে জলার কাছেই গিয়ে দাঁড়াতে হবে আপনাকে’। এই সম্ভাব্যতার সূত্রেই গল্পকথক বুনতে থাকেন তার গল্প।

এখানে লক্ষণীয় যে, পাঠকের প্রথমে মনে হবে লেখক যেন দর্শকের মতাে বলে চলেছেন গল্পের বিষয়বস্তু। কিন্তু ধীরে ধীরে বােঝা যায় যে একটি বিশেষ চরিত্রকেই তিনি অবলম্বন করে গল্পটি বলেছেন। অর্থাৎ ‘মধ্যম পুরুষ’ ব্যবহার করলেও তা আসলে ‘উত্তম পুরুষ’ই।

একইভাবে ক্রিয়াপদের গঠনের দিকে যদি যান্ত্রিকভাবে দেখা হয়, তাহলে তা অবশ্যই ভবিষ্যৎকালের চিহ্ন। কিন্তু গল্পের যত ভিতরে প্রবেশ করা যাবে, ততই বােঝা যায় যে ভবিষ্যৎকালের ছদ্মবেশে তা আসলে বর্তমান বা অতীতকালই। ফলে সামগ্রিক ভাবে গল্পের বয়ানে অসাধারণ মুনশিয়ানা দেখিয়েছেন লেখক।

Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।

Leave a Comment