দশম শ্রেনী (মাধ্যমিক) Class 10 Geography বদ্বীপের শ্রেণিবিভাগ করাে।

বদ্বীপের শ্রেণিবিভাগ করাে। 

বদ্বীপের শ্রেণিবিভাগ করাে।    Class 10 | Geography | 3 Marks

উত্তর:-

বদ্বীপের শ্রেণিবিভাগ : আকৃতি অনুসারে বদ্বীপ প্রধানত চার প্রকারের, যথা —

1. ধনুকাকৃতি বদ্বীপ : যখন মােহানায় খুব বেশি পরিমাণ নদীবাহিত পলি সতি হয় এবং দুর্বল সমুদ্রস্রোত সেগুলি অপসারণ করতে পারে না, তখন নদীবাহিত পদার্থগুলি সেখানে পাখার মতাে ছড়িয়ে সঞ্চিত হয়। এভাবে সাগরের দিকে উত্তল প্রান্তবিশিষ্ট অর্থাৎ অর্ধবৃত্ত বা বৃত্তচাপের আকৃতিবিশিষ্ট যে বদ্বীপ গড়ে ওঠে তার নাম ধনুকাকৃতি বদ্বীপ
উদাহরণ: নীল নদের বদ্বীপ। 

2.পাখির পায়ের মতাে বা পক্ষীপাদ বদ্বীপ : মােহানার কাছে নদীর জলের ঘনত্ব যদি সমুদ্রজলের ঘনত্বের তুলনায় কম হয় এবং নদীর গতিবেগ একটু বেশি থাকে, তাহলে নদীবাহিত পদার্থসমূহ মূল নদী ও তার শাখানদীসমূহের দুই পাশে সঞ্চিত হতে হতে সমুদ্রের যথেষ্ট দূর পর্যন্ত পৌঁছে অধঃক্ষিপ্ত হয়। এর ফলে যে বদ্বীপটি গড়ে ওঠে, তা দেখতে পাখির পায়ের মতাে হয় বলে একে পাখির পায়ের মতাে বা পক্ষীপাদ বদ্বীপ বলে।
উদাহরণ: মিসিসিপি নদীর বদ্বীপ। 

3. তীক্ষা বা কাসপেট বদ্বীপ : যদি নদী মােহানায় প্রবল তরঙ্গের প্রভাব থাকে তখন পলিরাশি নদীর মধ্যভাগে সতি না হয়ে দুধারে ছড়িয়ে পড়ে। এর ফলে যে বদ্বীপ সৃষ্টি হয়, তার সমুদ্রের দিকের অগ্রভাগ বেশ তীক্ষ অর্থাৎ করাতের দাঁতের মতাে দেখতে হয়। এজন্য এর নাম তীক্ষাগ্র বা কাসপেট বদ্বীপ।
উদাহরণ: এব্রো ও টাইবার নদীর বদ্বীপ।

4. ত্রিকোণাকার বদ্বীপ : মূল নদীর সঙ্গে শাখানদী যেখানে মিলিত হয়, সেখানে ত্রিকোণাকার বদ্বীপ গড়ে ওঠে।
উদাহরণ: হুগলি ও জলঙ্গী নদীর মিলনথলে ত্রিকোণাকার বদ্বীপ আছে।

Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।

2 thoughts on “বদ্বীপের শ্রেণিবিভাগ করাে। ”

  1. খুব ভালো অভিজ্ঞতা হল আশা করি ভবিষ্যতেও এইভাবে আমার পাশে থাকবে ওয়েব শিক্ষা ধন্যবাদ

    Reply

Leave a Comment

error: Content is protected !!