বাপরিবেশের ওপর ওজোনস্তরের প্রভাব আলােচনা করাে ? Class 10 | Geography | 5 Marks
উত্তর:
পরিবেশের ওপর ওজোনস্তরের প্রভাবসমূহ :-
বায়ুমণ্ডলের স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার স্তরের মধ্যে 20 থেকে 40 কিমি উচ্চতায়। ওজোন (03) গ্যাসের একটি ঘনস্তর বলয়রূপে পৃথিবীকে ঘিরে রয়েছে, এই স্তরকে ওজোনস্তর বা ওজোনােস্ফিয়ার বলা হয়। পরিবেশের ওপর এই ওজোনস্তরটির প্রভাব সীমাহীন, যেমন—
উত্তর: সূর্য থেকে ধেয়ে আসা অতিবেগুনি রশ্মি (আলট্রাভায়ােলেট—বি এবং সি) পৃথিবীর জীবজগতের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর। ওজোনস্তর এই দুই অতিবেগুনি রশ্মিকে শােষণ তথা প্রতিহত করে। তাই এই দুই রশ্মি ওজোনস্তর অতিক্রম করে ভূপৃষ্ঠে পৌঁছােতে পারে না। এভাবে ওজোনস্তর পর্দা বা ছাতার মতাে জীবজগৎ তথা পরিবেশকে অতিবেগুনি রশ্মির হাত থেকে রক্ষা করে। এজন্য ওজোনস্তরকে প্রাকৃতিক সৌরপর্দা বা ন্যাচারাল সানস্ক্রিন বলে।
2. প্রাণীকূলের ওপর প্রভাব: ওজোনস্তর যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয় বা না থাকে তাহলে অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাবে জীবজন্তুর রােগ প্রতিরােধ ও প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস পাবে এবং জলজ প্রাণী, যথা চিংড়ি, কঁকড়া, মাছ ও প্ল্যাংকটনের বিশেষ ক্ষতি হবে। ফলে জলের বাস্তুতন্ত্র বিপন্ন হবে।
3. উদ্ভিদজগতের ওপর প্রভাব: ওজোনস্তর যদি অতিবেগুনি রশ্মিকে প্রতিহত না করত তাহলে উদ্ভিদের বেঁচে থাকার জন্য অতি প্রয়ােজনীয় সালােকসংশ্লেষ বাধাপ্রাপ্ত হত, ফলে উদ্ভিদ শুকিয়ে যেত।
4. মানুষের ওপর প্রভাব: ওজোনস্তর অতিবেগুনি রশ্মিকে শােষণ করে নেয় বলেই দুরারােগ্য ত্বকের ক্যানসার থেকে মানুষ রক্ষা পায়। এবং দেহে রােগপ্রতিরােধ ক্ষমতা অটুট থাকে। এ ছাড়া অসময়ে চোখে ছানি পড়া, প্রজননক্ষমতার হ্রাস প্রভৃতি সমস্যা থেকেও এটি মানুষকে রক্ষা করে।
5. অন্যান্য প্রভাব: ওজোনস্তরে অতিবেগুনি রশ্মি শােষিত হয় বলে বায়ুমণ্ডলের নীচের স্তরে তাপমাত্রা কম থাকে এবং তার ফলে ভূপৃষ্ঠে উদ্ভিদ ও প্রাণীজগৎ সৃষ্টির অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।
Thanks for supporting us✊