জোয়ার ভাটা কীভাবে সৃষ্টি হয় ? অথবা, চাঁদ ও সূর্যের আকর্ষণের প্রভাবে কীভাবে জোয়ারভাটা হয় ?

জোয়ার ভাটা কীভাবে সৃষ্টি হয় ? অথবা, চাঁদ ও সূর্যের আকর্ষণের প্রভাবে কীভাবে জোয়ারভাটা হয় ? Class 10 | Geography (বারিমণ্ডল) | 3 Marks

উত্তর:-

জোয়ারভাটা সৃষ্টির পদ্ধতি: সাগর-মহাসাগরের জলরাশি নিয়মিতভাবে নির্দিষ্ট সময় অন্তর এক জায়গায় ফুলে ওঠে এবং অন্য জায়গায় নেমে যায়। জলরাশির এই স্ফীতিকে বলা হয় জোয়ার এবং অবনমনকে বলা হয় ভাটা। প্রধানত পৃথিবীর ওপর চাঁদ ও সূর্যের আকর্ষণ বল এবং পৃথিবীর আবর্তন গতিজনিত কেন্দ্রাতিগ বল—এই দুই কারণের প্রভাবে জোয়ারভাটা সংঘটিত হয়। তবে সূর্যের তুলনায় চাঁদ  পৃথিবীর অনেক কাছে থাকায় জোয়ারভাটা সৃষ্টির ক্ষেত্রে চাদের আকর্ষণই মুখ্য।

আবর্তনরত পৃথিবীর যে জায়গা যখন চাঁদের সামনে আসে তখন সেই জায়গার জল চাদের আকর্ষণে খুব বেশি ফুলে ওঠে, অর্থাৎ সেখানে তখন হয় জোয়ার (মুখ্য জোয়ার)। ঠিক এই সময় চাঁদের আকর্ষণস্থলের বিপরীত দিকে বা প্রতিপাদ স্থানের জলরাশি পৃথিবীর আবর্তন গতিজনিত কেন্দ্রাতিগ বলের প্রভাবে কিছুটা স্ফীত হয়। সুতরাং, সেখানেও তখন জোয়ার (গৌণ জোয়ার) সৃষ্টি হয়। [অবশ্য অনেকে বলেন যে, এই জোয়ার প্রকৃতপক্ষে ভূপৃষ্ঠে চাঁদের আকর্ষণস্থলের বিপরীত প্রান্তে জলভাগ ও স্থলভাগের সরণের পার্থক্যের জন্য হয়।] আর যে দুটি স্থানে জোয়ার হয় ঠিক তাদের কোণে অবস্থিত স্থান দুটির জলরাশি সরে যায় বলে সেখানে তখন ভাটা হয়।

Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।

Leave a Comment