ল্যান্ডফিল বা ভরাটকরণ পদ্ধতিতে কী কী সুবিধা ও অসুবিধা রয়েছে? Class 10 | Geography (বর্জ্য ব্যাবস্থাপনা) | 3 Marks
উত্তর:-
ল্যান্ডফিল বা ভরাটকরণ পদ্ধতির সুবিধা ও অসুবিধা: ল্যান্ডফিল বা ভরাটকরণ পদ্ধতিতে সুবিধা যেমন রয়েছে, তেমনি অসুবিধাও রয়েছে।
সুবিধা:
[i] রােগজীবাণুর সংক্রামণ না হওয়া: মাটির মধ্যে ঢাকা দেওয়া থাকে বলে বর্জ্য থেকে কোনাে রােগজীবাণু বায়ুতে ছড়িয়ে পড়তে পারে না।
[ii] দুর্গন্ধহীন পরিবেশ: বর্জ্য ঢাকা দেওয়া থাকে বলে বায়ুদূষণ হয় না, তাই পরিবেশ দুর্গন্ধহীন থাকে।
[iii] ল্যান্ডফিল গ্যাস: ঢাকা দেওয়া জৈব বর্জ্য পদার্থের পচন ঘটলে মিথেন, অ্যামােনিয়া প্রভৃতি নানা ধরনের গ্যাস উৎপন্ন হয়। ওই গ্যাস আলাদা করে সংগ্রহ করা যায়। একে ল্যান্ডফিল গ্যাস বলে। এতে মিথেন গ্যাসের পরিমাণ বেশি থাকে, যা জ্বালানিরূপে ব্যবহার করা যায়।
অসুবিধা:
[i] ভূগর্ভস্থ জলস্তরের দূষণ: অনেকসময় চাপা দেওয়া বর্জ্য পদার্থের মধ্যে দিয়ে বৃষ্টির জল চুইয়ে চুইয়ে মাটির নীচের চলে যায়। ফলে নীচের স্তরের মাটি ও ভূগর্ভস্থ জলস্তর দূষিত হয়। এই বর্জ্য ধােয়া জলকে লিচেট বলে।
[ii] বায়ুদূষণ: ল্যান্ডফিলের ফলে উৎপন্ন গ্যাস সংগ্রহ করতে না পারলে সেই গ্যাস বায়ুতে মিশে বায়ুদূষণ ঘটায়।
[ii] ভূমির প্রয়ােজন: ল্যান্ডফিলের জন্য বিশাল ভূমির প্রয়ােজন হয়।
Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।