আবর্তন ও বিবর্তনের যুগা প্রয়ােগকে আমরা কয়ভাবে উল্লেখ করতে পারি?

আবর্তন ও বিবর্তনের যুগা প্রয়ােগকে আমরা কয়ভাবে উল্লেখ করতে পারি? এরূপ প্রয়োগুলিকে নিরপেক্ষ বচনগুলির ক্ষেত্রে উল্লেখ করে দেখাও।  4+4     Class 12 | Philosophy (দর্শন) | 8 Marks

উত্তর:-

আবর্তন এবং বিবর্তনের যুগ্ম প্রয়োগে বচনের নতুন নতুন আকার : আবর্তন এবংবিবর্তন নামক মৌলিক প্রক্রিয়া দুটিকে যদি একসঙ্গে প্রয়ােগ করা যায়, তাহলে আমরা সিদ্ধান্তগতভাবে নতুন নতুন বাচনিক আকার পতে পারি। আবতন এবং বিবর্তন প্রক্রিয়ায় যৌথ প্রয়ােগটিকে দু-ভাবে উলেখ করা যেতে পারে—[1] আবর্তন এবং আবর্তিতের বিবর্তন ও [2] বিবর্তন ও বিবর্তিতের আবর্তন।

[1] আবর্তন এবং আবর্তিতের বিবর্তন : তর্কবাক্যকে প্রথমে আবর্তন এবং পরে আবর্তিতের বিবর্তন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাক্যটিকে নতুনভাবে উপস্থাপন করা যায়। এখন এই প্রক্রিয়াটিকে A, E, I এবং 0 এই চারটি নিরপেক্ষ বচনের ক্ষেত্রে প্রয়ােগ করে দেখা যাক— 

A বচনের ওপর প্রয়ােগ:


তর্কবাক্য :

সকল S হয় P (A)—(মূল বচন)

মূল বচনের আবর্তন :

কোনাে কোনাে P হয় S (I)  (আবর্তিত)

আবর্তিতের বিবর্তন :

কোনাে কোনাে P নয় অ-S (O)।

সুতরাং দাবি করা যায় যে, প্রক্রিয়াটির ক্ষেত্রে (A) থেকে (O) হল চরম। সিদ্ধান্ত | অর্থাৎ, এরুপ প্রক্রিয়ায় (A) বচন থেকে (O) বচনই পাওয়া যায়।

E বচনের ওপর প্রয়ােগ :


তর্কবাক্য :

কোনাে S নয় P (E)—(মূল বচন)

মূল বচনের আবর্তন :

কোনাে P নয় s (E) (আবর্তিত)

আবর্তিতের বিবর্তন :

সকল P হয় অ-S (A)। 

সুতরাং, (E) থেকে (A) হল চরম সিদ্ধান্ত | অর্থাৎ, এরূপ প্রক্রিয়ায় (E) বচন থেকে (A) বচনই পাওয়া যায়।

I বচনের ওপর প্রয়ােগ :


তর্কবাক্য :

কোনাে কোনাে S হয় P (I)—(মূল বচন)

মূল বচনের আবর্তন :

কোনাে কোনাে P হয় S (I) (আবর্তিত)

আবর্তিতের বিবর্তন :

কোনাে কোনাে P নয় অ -S (O)।

সুতরাং, দাবি করা যায় যে, এই প্রক্রিয়ায় এটিই হল চরম সিদ্ধান্ত এবং এখানেও (I) থেকে (O) নিঃসৃত হয়। অর্থাৎ, এরুপ প্রক্রিয়ায় (I) থেকে (O) বচন পাওয়া যায়।

O বচনের ওপর প্রয়ােগ :


তর্কবাক্য :

কোনাে কোনাে S নয় P (0)—(মূল বচন)

মূল বচনের আবর্তন :

সম্ভব নয়।

এক্ষেত্রে মূল বচনের আবর্তন সম্ভব নয় বলে আর এক পা-ও এগিয়ে যাওয়া যাবে না। সুতরাং দাবি করা যায় যে, এরূপ প্রক্রিয়াটি (O) বচনের ক্ষেত্রে আদৌ প্রযােজ্য নয়।

[2] বিবর্তন ও বিবর্তিতের আবর্তন : তর্কবাক্যকে প্রথমে বিবর্তন করে, ওই বিবর্তনের আবার আবর্তন করে নতুন নতুন ভাবে তার্কিক আকার পাওয়া যায়। নিরপেক্ষ বচনগুলির ক্ষেত্রে এরুপ প্রক্রিয়াটি সমস্ত নিরপেক্ষ বচনের ক্ষেত্রেই প্রযুক্ত। এই প্রক্রিয়াটিকে এখন A, E, I এবং 0 এই চারটি নিরপেক্ষ বচনের ক্ষেত্রে ক্রমান্বয়ে প্রয়ােগ করে দেখানাে হল —

A বচনের ওপর প্রয়ােগ:


তর্কবাক্য :

সকল S হয় P (A)—(মূল বচন)

মূল বচনের আবর্তন :

কোনাে S নয় অ-P (E) (বিবর্তিত)

আবর্তিতের বিবর্তন :

কোনাে অ-P নয় S (E)। (আবর্তিত) 

অর্থাৎ, এরূপ প্রক্রিয়ায় (A) বচন থেকে (E) বচনই পেয়ে থাকি।

E বচনের ওপর প্রয়ােগ:


তর্কবাক্য :

কোনাে S নয় P (E)—(মুল বচন)

মূল বচনের আবর্তন :

সকল S হয় অ-P (A) (বিবর্তিত)

আবর্তিতের বিবর্তন :

কোনাে কোনাে অ-P হয় S (I)। (আবর্তিত)

অর্থাৎ, এরূপ প্রক্রিয়ায় আমরা (E) বচন থেকে (I) বচনই পেয়ে থাকি।

I বচনের ওপর প্রয়ােগ : 


তর্কবাক্য :

কোনাে S হয় P (I) – (মুল বচন)

মূল বচনের আবর্তন :

কোনাে S নয় অ-P (E) (বিবর্তিত)

আবর্তিতের বিবর্তন :

বচনের আবর্তন সম্ভব নয় (O)

অতএব, এক্ষেত্রে আর এক-পাও অগ্রসর হওয়া যায় না।

0 বচনের ওপর প্রয়ােগ :


তর্কবাক্য :

কোনাে কোনাে S নয় P (O) (মূল বচন)

মূল বচনের আবর্তন :

কোনাে কোনাে S হয় অ-P (I) (বিবর্তিত)

আবর্তিতের বিবর্তন :

কোনাে কোনাে অ-P নয় S (I)। (আবর্তিত)

অর্থাৎ, এক্ষেত্রে আমরা (O) বচন থেকে (I) বচনই পেয়ে থাকি।

 

Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।

Leave a Comment