আধুনিক ভারতের ইতিহাসের উপাদানরূপে ‘জীবনস্মৃতি’র গুরুত্ব বিশ্লেষণ করাে।

আধুনিক ভারতের ইতিহাসের উপাদানরূপে ‘জীবনস্মৃতি’র গুরুত্ব বিশ্লেষণ করাে।
অথবা,
ইতিহাসের উপাদান হিসেবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনস্মৃতি’ গুরুত্বপূর্ণ কেন? Mark 4 | Class 10

উত্তর:-

ভূমিকা : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত ‘জীবনস্মৃতি’ নামক আত্মজীবনীটি একটু ভিন্ন ধরনের, কারণ এই গ্রন্থে রবীন্দ্রনাথ তার আত্মগঠনের প্রক্রিয়া বর্ণনা করেছেন। তাই আধুনিক ভারতের ব্যক্তি-ইতিহাস রচনার উপাদানরূপে এই গ্রন্থটি অধিক গুরুত্বপূর্ণ।

জীবনস্মৃতির গুরুত্ব’ : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত ‘জীবনস্মৃতি’র গুরুত্বগুলি হল—

১) বাল্যকথা : এই গ্রন্থ থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছােটোবেলার “শিক্ষারম্ভ’, ওরিয়েন্টাল সেমিনারির শিক্ষাব্যবস্থা এবং নর্মাল স্কুল ও সেখানকার শিক্ষাব্যবস্থা সম্পর্কে জানা যায়। 

২) ধর্মীয় পরিবেশ : রবীন্দ্রনাথের পিতা দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন একজন ব্রাত্ম নেতা; রবীন্দ্রনাথ ব্রাত্মধর্মে দীক্ষিত হন। তার এই রচনার মাধ্যমে গায়ত্ৰীমন্ত্র ও ব্রহ্লাসংগীত’-এর কথা এবং ব্রাত্মধর্মের আত্মসমালােচনাও জানা যায়।

৩) ঠাকুরবাড়ির পরিমণ্ডল : ‘জীবনস্মৃতি থেকে ঠাকুর পরিবারের পারিবারিক ঐতিহ্য, সাহিত্য, কাব্য-নাটক ও চিত্রকলার চর্চার কথা যেমন জানা যায়, তেমনই, এর পাশাপাশি জাতীয়তাবাদের বিকাশে। ঠাকুরবাড়ির অবদানও পরিলক্ষিত হয়। 

৪) স্বাদেশিকতা : রবীন্দ্রনাথ তাঁর এই স্মৃতিকথায় জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের উদ্যোগে এবং রাজনারায়ণ বসুর সভাপতিত্বে পরিচালিত একটি স্বাদেশিকতা সভার কথা বলেছেন। এর পাশাপাশি ঠাকুরবাড়ির সাহায্যে নবগােপাল মিত্রের ‘হিন্দুমেলা’র প্রতিষ্ঠা। হয়েছিল বলেও তিনি অভিমত প্রকাশ করেন।

উপসংহার : জীবনস্মৃতি ছিল উনিশ শতকের শেষ তিরিশ । বছরের বাঙালি সমাজ ও সংস্কৃতির এক অনবদ্য ভাষ্য।

Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।

Leave a Comment