আইন অমান্য আন্দোলনে নারীসমাজের অংশগ্রহণ কেমন ছিল তা বিশ্লেষণ করাে। 4 Marks/Class 10
উত্তর:-
ভূমিকা : অসহযােগ আন্দোলনের তুলনায় আইন অমান্য আন্দোলনের সময় (১৯৩০-৩৪ খ্রি.) নারীর যােগদান ছিল তুলনামূলকভাবে বেশি। গান্ধিজি লবণকে আইন অমান্যের বিষয়ে পরিণত করে নারীদের কাছে এই আন্দোলন আকর্ষণীয়। করে তুলতে চেয়েছিলেন।
যােগদান : আইন অমান্য আন্দোলনে নারীদের যােগদানের উল্লেখযােগ্য দিক হল—
১. লবণ আইন ভঙ্গ : ডান্ডিতে মহাত্মা গান্ধির লবণ আইন অমান্যকালে অনেক নারী যােগদান করেন এবং ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে হাজার হাজার নারী লবণ আইন ভঙ্গ শুরু করে দেয়। সরােজিনী নাইডুর নেতৃত্বে ‘ধরসানা লবণ গােলা অভিযান সম্পন্ন হয়।
২ বিক্ষোভ কর্মসূচি : লবণ আইন ভঙ্গের পাশাপাশি বিদেশি বস্ত্র ও মদের দোকানের সামনে পিকেটিং-এ নারীরা অংশ নেয় এবং এলাহাবাদ, লাহাের, দিল্লি প্রভৃতি শহরে সম্রান্ত পরিবারের নারীরাও প্রকাশ্যে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নেয়।
৩. কৃষক-নারীদের অংশগ্রহণ : আইন অমান্য আন্দোলনে মেদিনীপুরের ঘাটাল, কাথি, তমলুক প্রভৃতি স্থানের কৃষক নারীরা পুলিশের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে লবণ প্রস্তুত ও বিক্রয় করে।
৪. নারী সংগঠনের যােগদান : এই আন্দোলনে বােম্বাইয়ের দেশ সেবিকা সংঘ’, বাংলার মহিলা রাষ্ট্রীয় সংঘ’, কলকাতার ছাত্রী সংঘ’ প্রভৃতি বিভিন্ন নারী সংগঠন যােগ দিয়েছিল।
উপসংহার : আইন অমান্য আন্দোলনকালে ভারতের নারী সমাজের যােগদানের প্রকৃতি ভারতজুড়ে একইরকম ছিল না। ঐতিহাসিক শেখর বন্দ্যোপাধ্যায় দেখিয়েছেন যে, অংশগ্রহণের দিক থেকে বােম্বাইয়ের আন্দোলন ছিল সবচাইতে সংগঠিত, বাংলার আন্দোলন ছিল উগ্র এবং মাদ্রাজের নারীদের অংশগ্রহণ ছিল সীমিত।
Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।