প্রশ্ন – ভাষাভিত্তিক রাজ্য পুনর্গঠন কীভাবে সম্পন্ন হয়েছিল তা আলােচনা করাে। অথবা, স্বাধীনতার পরে ভাষার ভিত্তিতে ভারত কীভাবে পুনর্গঠিত হয়েছিল? Class 10 | 4 Marks
উত্তর: – ভূমিকা : ভারতে দেশীয় রাজ্যের অন্তর্ভুক্তি বিভিন্ন সমস্যা। সৃষ্টি করেছিল এবং এই রাজ্যগুলির সীমানা কী হবে অথবা, রাজ্যগুলি ভাষাভিত্তিক বা উপজাতিভিত্তিক রাজ্য হবে কিনা সে। সম্পর্কে বিতর্ক দেখা দেয়। স্বাধীন তেলুগু ভাষাভিত্তিক অপ্রদেশ রাজ্য গঠন এই বিতর্কে ইন্ধন জোগায়।
ভাষাভিত্তিক রাজ্য পুনর্গঠন : ভাষাভিত্তিক রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন ও আইনের ভিত্তিতে ১৬টি প্রদেশ ও ৩টি কেন্দ্রশাসিত রাজ্য গঠনের কথা বলা হয়। এই আইনের ভিত্তিতে (১) হায়দরাবাদ থেকে তেলেঙ্গানাকে বিচ্ছিন্ন করে অন্ধ্রপ্রদেশের সঙ্গে যুক্ত করা হয়; (২) মালাবার ও ত্রিবাঙ্কুর কোচিনকে যুক্ত করে গঠন করা হয় কেরালা; (৩) কন্নড়ভাষী অঞ্চলগুলিকে মহীশূরের সঙ্গে যুক্ত করা হয়; (৪) কচ্ছ, সৌরাষ্ট্র ও হায়দরাবাদের মারাঠিভাষী অঞলের সমন্বয়ে গড়ে তােলা হয় বৃহত্তর বােম্বাই প্রদেশ; (৫) বিহারের পূর্ণিয়া জেলার কিছু অংশ ও পুরুলিয়াকে পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে যুক্ত করা হয়।
প্রতিক্রিয়া : এভাবে ভাষাভিত্তিক রাজ্য পুনর্গঠিত হলে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রতিক্রিয়ার সূচনা হয় এবং ভাষাভিত্তিক রাজ্য পুনর্গঠনের দাবি আরও জোরালাে হয়ে ওঠে। শেষ পর্যন্ত। (১) ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দে বােম্বাই-প্রদেশকে দুভাগ করে মারাঠি-ভাষী মহারাষ্ট্র ও গুজরাটি-ভাষী গুজরাট রাজ্য তৈরি করা হয় এবং (২) পাঞ্জাব প্রদেশকে ভেঙে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা নামক দুটি রাজ্য। তৈরি করা হয় (১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দ)।
গুরুত্ব : ভাষাভিত্তিক রাজ্যগঠনের মাধ্যমে অপ্রদেশ, গজরাট, মহারাষ্ট্র প্রভৃতি ভাষাভিত্তিক প্রদেশ গড়ে ওঠার ফলে বিভিন্ন ভাষাগােষ্ঠী গুরুত্ব লাভ করে।।উপসংহার : ভাষাভিত্তিক রাজ্যগঠন ভারতের জাতীয় সংহতির পক্ষে আপাত ক্ষতিকারক হলেও দীর্ঘমেয়াদি দৃষ্টিভঙ্গিতে তা ক্ষতিকারক ছিল না।
Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।
সাজেসান দিন স্যার