ব্যাবসায়িক ভিত্তিতে ব্যক্তিগত উদ্যোগে ছাপাখানার বিস্তার কীভাবে হয়েছিল? 4 Marks/Class 10
উত্তর:–
উনিশ শতকের শুরুতে সরকারি ও মিশনারি উদ্যোগে ছাপাখানার বিকাশের পাশাপাশি ব্যাবসায়িক ভিত্তিতে ব্যক্তিগত উদ্যোগেও ছাপাখানার বিস্তার ঘটতে থাকে।
ব্যক্তিগত উদ্যোগ : ১৮১৭-১৮৩৪ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত সময়কাল ছাপাখানার বিস্তার পর্ব নামে পরিচিত এবং এই সময়ে ব্যাবসায়িক ভিত্তিতে কলকাতা ও তার আশেপাশের এলাকায় যেভাবে ব্যক্তিগত উদ্যোগে ছাপাখানার বিস্তার ঘটে তা হল l
১) ছাপাখানা : ১৮২০ খ্রিস্টাব্দের পূর্বে প্রতিষ্ঠিত বিখ্যাত ছাপাখানাগুলি হল—পটলডাঙ্গার সংস্কৃত যন্ত্র’, আড়পুলি লেনে হরেন্দ্র রায়ের ছাপাখানা, শােভাবাজারের বিশ্বনাথ দেবের ছাপাখানা, বাঙ্গালি প্রেস প্রভৃতি। এ ছাড়া বউবাজারের লেবেন্ডর সাহেবের ছাপাখানা, শ্রীরামপুরের নীলমণি হালদারের ছাপাখানা ছিল বিখ্যাত।
২) উৎপাদন : হিন্দুস্থানি প্রেস থেকে ‘ঔষধসার সংগ্রহ (১৮১৯ খ্রি.), বাঙ্গালি প্রেস থেকে রামমােহন রায়ের কঠোপনিষৎ (১৮১৭ খ্রি.), হরচন্দ্র রায়ের আড়পুলি লেনের প্রেস থেকে বিভিন্ন রকম ধর্মীয় গ্রন্থ, বিশ্বনাথ দেবের প্রেস থেকে রাধাকান্ত দেবের ‘বাঙ্গালা শিক্ষাগ্রন্থ’ (১৮২১ খ্রি.) প্রকাশিত হয়।
৩) লিথােগ্রাফের প্রবর্তন : ব্যক্তিগত উদ্যোগে ছাপাখানার বিস্তারে “লিথােগ্রাফিক ছাপা’র প্রবর্তন হলে ছবি, নকশা, মানচিত্র আঁকা সম্ভব হয়।
৪) প্রকাশনার মানােন্নয়ন : ব্যক্তিগত উদ্যোগে পরিচালিত ছাপাখানাগুলিতে মুদ্রণ কৌশল ও মুদ্রণের মানােন্নয়ন ঘটানােরও চেষ্টা করা হয়।
উপসংহার : এভাবে ব্যক্তিগত উদ্যোগে গড়ে ওঠা ছাপাখানাগুণ মুদ্রণের ক্ষেত্রে বিষয়বস্তুর বৈচিত্র্য সাধন করে এবং বাংলার মুত্র” ব্যবস্থা ক্রমশই আধুনিক হয়ে ওঠার পথে যাত্রা শুরু করে।
Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।