বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, গণিত শিক্ষা এবং বিশ্বের শ্রেণিকক্ষে তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তি সম্পর্কে ইউনেস্কোর ভুমিকা উল্লেখ করাে। Class 12 | Education (শিক্ষাবিজ্ঞান) | 4 Marks
উত্তর:-
বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও গণিতশিক্ষায় এবং বিশ্বের শ্রেণিকক্ষে তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে ইউনেস্কোর ভূমিকা: ডেলরস্ কমিশন ছাড়াও বিশ্বব্যাপী শিক্ষার পুনর্গঠনে আন্তর্জাতিক সংস্থা ইউনেস্কোর অন্যান্য অবদানকেও অস্বীকার করা যায় না। এগুলির মধ্যে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও গণিত শিক্ষা এবং বিশ্বের শ্রেণিকক্ষে তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এই সংস্থার উল্লেখযােগ্য ভূমিকা রয়েছে।
ইউনেস্কো এবং বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও গণিত শিক্ষা: ইউনেস্কো বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং গণিতের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব আরােপ করে | এই বিষয়ে UNESCO কতকগুলি রূপরেখা নির্দেশ করে, এগুলি হল—
[1] বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও গণিত বিদ্যালয় শিক্ষার মূল বিষয় : বিদ্যালয় স্তরে সকলের জন্য বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং গণিত শিক্ষা মূল শিক্ষণের বিষয় হবে।
[2] স্বয়ং শিখনে উৎসাহদান: শিক্ষার্থীরা যাতে স্বয়ং শিখনে অংশগ্রহণ করে এবং বিজ্ঞান, গণিত ও প্রযুক্তি সম্পর্কে নিজে বুঝতে সচেষ্ট হয়, সে ব্যাপারে উৎসাহ দিতে হবে।
[3] STM এবং দুরশিক্ষা : বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং গণিত (STMScience, Technology, Mathematics) শিখনে দূরশিক্ষা পদ্ধতিকে এক বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে।
[4] STM-এর প্রাসঙ্গিক পাঠক্রম : STM-এর পাঠক্রম এমনভাবে প্রস্তুত করতে হবে যাতে সকলের সঙ্গে সমতা দেখা যায়। পাঠক্রম এমনভাবে উপস্থাপন করা হবে যাতে তা বালক এবং বালিকাদের নিকট প্রাসঙ্গিক হয়।
[5] STM পাঠক্রম এবং মূল্যবােধ: STM শিক্ষণের মধ্য দিয়ে যাতে নৈতিকতা, মানব অধিকার এবং সর্বত্র শান্তি উৎসাহিত হয়, সে ব্যাপারে শিক্ষককে নিশ্চিত হতে হবে।
ইউনেস্কো এবং বিশ্বের শ্রেণিকক্ষে তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তি : সম্প্রতিকালে, বিশ্বের শ্রেণিকক্ষে কম্পিউটার এবং বিশ্বব্যাপী ‘ওয়েবসাইট’- এর ব্যবহার দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে পাঠদানের আবহাওয়া যথেষ্ট পরিবর্তিত হয়েছে। এই নতুন প্রযুক্তির নাম তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তি (Information and Communication Technology বা ICT)। UNESCO, ICT-র লক্ষ্য এবং বিষয় সম্পর্কে নিম্নলিখিত সুপারিশসমূহ উল্লেখ করেছে—
[1] তথ্য, যােগাযােগ এবং সামাজিক দক্ষতা ইত্যাদির ওপর বিশেষ গুরুত্বদান: তথ্য, অনুসন্ধান, যােগাযােগ এবং সামাজিক দক্ষতা এবং তৎসহ অধিজ্ঞান সম্পর্কীয় (metacognitive) দক্ষতাগুলির ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরােপ করা হয়েছে।
[2] বিদ্যালয়ের বিষয়গুলি সীমা (boundary) দূর করে: বিদ্যালয়ের বিষয়গুলি এবং তার অংশগুলিকে পরস্পর যুক্ত করতে হবে যাতে বিষয়ের সীমাগুলি দূর হয়।
[3] শিখনের বিষয়বস্তুর প্রাসঙ্গিকতা : শিখনের বিষয়বস্তু যেন প্রাসঙ্গিক এবং জীবনের সঙ্গে যুক্ত হয়।
[4] শিক্ষার্থীদের পারদর্শিতা পরিমাপে বিভিন্ন কৌশল : শিক্ষার্থীদের পারদর্শিতা পরিমাপে বৈচিত্র্যপূর্ণ কৌশলের ব্যবহার করা হয় (যেমন— খােলা বই পদ্ধতি বা মুক্ত পরীক্ষা পদ্ধতি, পাের্টফোলিও অ্যাসেসমেন্ট, নির্ণায়কমূলক এবং চুড়ান্ত মূল্যায়ন পদ্ধতি)।
বর্তমানে ICT শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ও পরিমাপে সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপুর্ণ কৌশল হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।
Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।