বহুমুখী নদী উপত্যকা পরিকল্পনার মাধ্যমে কী কী উদ্দেশ্য সাধিত হয়? Class 10 | Geography | 3 Marks‘
উত্তর:-
বহুমুখী নদী উপত্যকা পরিকল্পনার উদ্দেশ্য : বহুমুখী নদী উপত্যকা পরিকল্পনার অধীনে নদীর ওপর বাঁধ দিয়ে জলাধার নির্মাণ করা হয় এবং এর ফলে বহুবিধ উদ্দেশ্য সাধিত হয়, যেমন—
1. সারাবছর জলসেচের সুযােগ: নদী উপত্যকা পরিকল্পনার মাধ্যমে জলাধার থেকে খাল কেটে সংলগ্ন অঞ্চলে সারাবছর জলসেচ করা হয়।
2. বন্যা নিয়ন্ত্রণ: বর্ষার অতিরিক্ত জল জলাধারে সঞ্চয় করে রাখা হয়, ফলে নদী উপত্যকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
3. জলবিদ্যুৎ উৎপাদন: জলাধার থেকে কৃত্রিম জলপ্রপাত সৃষ্টি করে তার সাহায্যে টারবাইন ঘুরিয়ে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়।
4. জলপথে পরিবহণ: নদীতে ও খালে সারাবছর জল থাকে বলে জলপথে পরিবহণ করা যায়।
অন্যান্য উদ্দেশ্য :
1. মাছ চাষ: এই পরিকল্পনার মাধ্যমে জলাধারে মাছ চাষ করা হয়।
2. পানীয় জলের সরবরাহ: জলাধারের জল পরিসুত করে পানীয় জলরুপে সরবরাহ করা হয়।
3. ভূমি সংরক্ষণ: জলাধারসংলগ্ন অঞ্চলে বৃক্ষরােপণের মাধ্যমে ভূমি সংরক্ষণ করা হয়।
4. পর্যটন কেন্দ্র স্থাপন: জলাশয়গুলি পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় হয় বলে পর্যটন কেন্দ্রও গড়ে ওঠে।
5. সেতুরুপে ভূমিকা পালন: বাঁধগুলি নদীর ওপর সেতুর কাজ করে। ভারতের দামােদর, শতদ্রু, মহানদী, কৃষ্ণা, গােদাবরী প্রভৃতি নদীতে বহুমুখী নদী উপত্যকা পরিকল্পনা রূপায়িত হয়েছে।
Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।