বখস্ত আন্দোলন সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলােচনা করাে। 4 Marks/Class 10
উত্তর:-
ভূমিকা : ১৯৩০-এর মন্দার দরুন বিহারে যে জমির জনা বাকি পড়েছিল জমিদাররা সেই জমিগুলিকে বাজেয়াপ্ত করে নিজেদের খাস জমি বা বখস্ত’-তে পরিণত করে এবং বিহারের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে বখস্ত জমি থেকে প্রজাদের উচ্ছেদ শুরু হয়। এর প্রতিবাদে গয়া, মুঙ্গের, পাটনা, ছােটোনাগপুর-সহ বিহারের বিভিন্ন অঞ্চলে শুরু হয় বখস্ত আন্দোলন। সহজানন্দ সরস্বতী বিহার কিষান সভা গঠনের মাধ্যমে জমিদার বিরােধী আন্দোলনে যােগ দেন।
কংগ্রেসি মন্ত্রীসভার ঘােষণা : ১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দে বিহারে কংগ্রেস মন্ত্রীসভা একটি আইন দ্বারা স্থির করেন যে, বকেয়া জনার দায়ে যেসব জমি নীলাম করা হয়, সেই নীলামের অর্ধেক টাকা দিলে মূল চাষিকে জমি ফেরত দেওয়া হবে। এই আইনে সন্তুষ্ট না হয়ে বামপন্থীরা বখস্ত জমির জন্য আন্দোলন চালাতে থাকে।
আন্দোলনকারীদের দাবি : আন্দোলনকারীদের স্লোগান ছিল, ‘আমাদের রুটি দাও, আমরা ক্ষুধার্ত’, ‘সমস্ত কৃষিঋণ মকুব করতে হবে’, ‘জমিদারি প্রথা ধ্বংস হােক, প্রজাদের উচ্ছেদ করা চলবে না’ ইত্যাদি।
আন্দোলনের বিস্তার : ১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দে পাটনায় প্রায় কুড়ি হাজার কৃষক বিক্ষোভ আন্দোলনে শামিল হয়। বিহারের কিষাণনেতা সহজানন্দকে কংগ্রেস কমিটি বিক্ষুব্ধ এলাকা পরিদর্শনে নিষেধ করলে সহজানন্দ বখস্ত আন্দোলনে কংগ্রেসের ভূমিকার নিন্দা করেন।
ব্যর্থতা : ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দে আন্দোলন চূড়ান্ত পর্যায়ে গেলে সরকারি দমননীতির চাপে বখস্ত আন্দোলন স্তিমিত হয়ে পড়ে।
Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।