দশম শ্রেনী (মাধ্যমিক) Class 10 Geography বর্জ্য পৃথকীকরণ কীভাবে করা হয়?

বর্জ্য পৃথকীকরণ কীভাবে করা হয়?

বর্জ্য পৃথকীকরণ কীভাবে করা হয়? Class 10 | Geography (বর্জ্য ব্যাবস্থাপনা) | 3 Marks

উত্তর:-

বর্জ্য পৃথকীকরণ পদ্ধতি: বর্জ্য পদার্থ ব্যবস্থাপনার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি হল বর্জ্য পৃথকীকরণ। এজন্য কঠিন বর্জ্য পদার্থসমূহকে (পরিবেশ তথা প্রকৃতির সঙ্গে বর্জ্য পদার্থের প্রতিক্রিয়ার ওপর ভিত্তি করে) দুই ভাগে ভাগ করা হয়—জৈব ভঙ্গুর বা বায়ােডিগ্রেডেবল এবং জৈব অভঙ্গুর বা ননবায়ােডিগ্রেডেবল। 

1) জৈব ভঙ্গুর পদার্থ: এর মধ্যে যেসব বর্জ্য পদার্থ অণুজীব বা আণুবিক্ষণিক বিয়ােজক দ্বারা সরল উপাদানে বিশ্লেষিত হয়, তাদের জৈব ভঙ্গুর বর্জ্য পদার্থ বলে। যেমন—শাকসবজির অবশিষ্ট, উদ্ভিদ ও প্রাণীর দেহাবশেষ প্রভৃতি। 

2) জৈব অভঙ্গুর পদার্থ: যেসব বর্জ্য পদার্থ বিয়ােজক দ্বারা সরল উপাদানে বিয়ােজিত হয় না বা জৈবিক পদ্ধতিতে ভাঙা যায় না, যুগ যুগ ধরে অবিকৃত অবস্থায় মাটিতে পড়ে থাকে, তাদের জৈব অভঙ্গুর পদার্থ বলে। যেমন—প্লাস্টিক, কাচ, পলিথিন প্রভৃতি। 

এইভাবে বর্জ্য পদার্থের প্রকৃতি অনুসারে প্রথমেই সেগুলিকে আলাদা আলাদা করে নিয়ে জমা করা হলে পরবর্তী পর্যায়ে সেগুলির শােধন, পুনর্ব্যবহার বা পুনরাবর্তন করা সহজ হয়। এজন্য অনেক উন্নত দেশেই প্রতিদিনের গৃহস্থালির বর্জ্যগুলিকে জৈব ভঙ্গুর ও জৈব অভঙ্গুর পদার্থ হিসেবে আলাদা আলাদা করে জমা করা হয়।

Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।

Leave a Comment