বসু বিজ্ঞান মন্দির সম্পর্কে টীকা লেখাে।

বসু বিজ্ঞান মন্দির সম্পর্কে একটি টীকা লেখাে। 4 Marks/Class 10

উত্তর:

ভূমিকা : উনিশ শতক ও বিশ শতকের সূচনায় ভারতীয়দের উদ্যোগে বিকাশচর্চা ও বিজ্ঞানের প্রসারের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত সংস্থাগুলির মধ্যে বিশেষ উল্লেখযােগ্য ছিল বিজ্ঞানী আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ‘বসু বিজ্ঞান মন্দির’ (২৩ নভেম্বর, ১৯১৭ খ্রি.)। 

প্রতিষ্ঠা : প্রেসিডেন্সী কলেজ থেকে অবসর গ্রহণের পর জগদীশচন্দ্র বসু তার নিজস্ব অর্থ ও সংগৃহীত ১১ লক্ষ টাকা অনুদানের অর্থে প্রতিষ্ঠা করেন বসু বিজ্ঞান মন্দির। এটি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ভগিনী নিবেদিতা ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিশেষ ভূমিকা ছিল। 

প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য : জগদীশচন্দ্র বসু কর্তৃক বসু বিজ্ঞান মন্দির প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যগুলি হল—
প্রথমত, তার মতে, বিজ্ঞানের অগ্রগতি ও জ্ঞানের প্রসার সাধনই ছিল এটি প্রতিষ্ঠার প্রধান উদ্দেশ্য।
দ্বিতীয়ত, প্রেসিডেন্সি কলেজে অধ্যাপনার সময় বিজ্ঞান গবেষণার ক্ষেত্রে যে সমস্ত সরকারী বাধা বিপত্তির সম্মুখীন হয়েছিলেন সেই অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে তিনি একটি স্বাধীন বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠায় সচেষ্ট হন।

গবেষণা ক্ষেত্র : বসু বিজ্ঞান মন্দির প্রতিষ্ঠার উদবােধনী বক্তৃতায় জগদীশচন্দ্র বসু এই গবেষণাগারকে জাতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করেন। আমৃত্যু তিনিই ছিলেন এই গবেষণাগারের অধিকর্তা এই গবেষণাগারের গবেষণাক্ষেত্র বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে, প্রাথমিক পর্বে পদার্থবিদ্যা, রসায়ন ও উদ্ভিদবিদ্যা বিষয়ক গবেষণা হত। পরবর্তীকালে প্রতিষ্ঠানের অধিকর্তা দেবেন্দ্রমােহন বসুর সময়ে অনেক বিভাগ সংযােজিত হয় যেমন—মাইক্রোবায়ােলজি বায়ােকেমিস্ট্রি, বায়ােফিজিক্স, পরিবেশ বিজ্ঞান। এইসব বিষয়ের ওপর গবেষণা করে বসু বিজ্ঞান মন্দির ‘জাতীয় স্বাভিমানের তীর্থে’ পরিণত হয়।

Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।

1 thought on “বসু বিজ্ঞান মন্দির সম্পর্কে টীকা লেখাে।”

Leave a Comment