ব্যাপ্যতার নিয়মগুলি কী? পদের ব্যাপ্যতা দেখে কীভাবে বচন নির্ণয় করা যায়? Class 12 | Philosophy (বচন) 8 Marks
উত্তর:-
ব্যাপ্যতার নিয়ম
আমরা জানি যে, নিরপেক্ষ বচনের চতুর্বর্গ পরিকল্পনা অনুযায়ী নিরপেক্ষ বচন হল চার প্রকার—[1] সামান্য সদর্থক [2] সামান্য নঞর্থক [3] বিশেষ সদর্থক এবং [4] বিশেষ নঞর্থক বচন। এই সমস্ত নিরপেক্ষ বচনগুলির নিয়মের ক্ষেত্রে বলা যায় –
1. সামান্য বা সার্বিক বচনে উদ্দেশ্য পদ সর্বদাই ব্যাপ্য হয়।
2. বিশেষ বচনে উদ্দেশ্য পদ সর্বদাই অব্যাপ্য হয়।
3. সদর্থক বা হ্যাঁ-বাচক বচনে বিধেয় পদ সর্বদাই অব্যাপ্য হয়।
4. নঞর্থক বা না-বাচক বচনে বিধেয় পদ সর্বদাই ব্যাপ্য হয়।
পদের ব্যাপ্যতা দেখে বচন নির্ণয়ের উপায়
অনুসিদ্ধান্ত:
এরুপ নিয়মগুলির পরিপ্রেক্ষিতে যে সমস্ত অনুসিদ্ধান্ত নিঃসৃত হয়, সেগুলিকে উল্লেখ করা হল।
1. A এবং E বচনে উদ্দেশ্যপদ সবসময়ই ব্যাপ্য।
2. I এবং O বচনে উদ্দেশ্যপদ সবসময়ই অব্যাপ্য।
3. A এবং I বচনে বিধেয়পদ সবসময়ই অব্যাপ্য হয়।
4. E এবং O বচনে বিধেয়পদ সবসময়ই ব্যাপ্য হয়।
বচনের অন্তঃস্থিত পদের ব্যাপ্যতা দেখে বচনের পরিচয় লাভ
আমরা যে চারপ্রকার নিরপেক্ষ বচনের পরিচয় পাই, তাদের পরিচয়টি যথাযথভাবে ফুটে ওঠে পদের ব্যাপ্যতার নিরিখে। এরূপ বিষয়টিকে আমরা নিম্নোক্তভাবে উল্লেখ করতে পারি।1. কোনাে নিরপেক্ষবচনের উদ্দেশ্য পদটি ব্যাপ্য হলে, বচনটি হবে সামান্য সদর্থক বা A বচন।
2. কোনাে নিরপেক্ষবচনের বিধেয় পদটি ব্যাপ্য হলে, বচনটি হবে বিশেষ নঞর্থক বা O বচন।
3. কোনাে নিরপেক্ষ বচনের উদ্দেশ্য ও বিধেয়—উভয় পদই ব্যাপ্য হলে, বচনটি হবে সামান্য নঞর্থক বা E বচন।
4. কোনাে নিরপেক্ষ বচনের উদ্দেশ্য ও বিধেয়—উভয় পদই অব্যাপ্য হলে, বচনটি হবে I বচন।
Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।