ব্যতিরেকী পদ্ধতির সুবিধাগুলি কী?

ব্যতিরেকী পদ্ধতির সুবিধাগুলি কী? Class 12 | Philosophy (মিলের পরিক্ষণমূলক পদ্ধতি) 8 Marks

উত্তর:-

ব্যতিরেকী পদ্ধতির সুবিধা 

ব্যতিরেকী পদ্ধতি প্রমাণমূলক পদ্ধতি বলে তার কতকগুলি সুবিধা রয়েছে। এই সমস্ত সুবিধাগুলি নীচে উল্লেখ করা হল। 

(a) পরীক্ষণযােগ্যতার সুবিধা: ব্যতিরেকী পদ্ধতি মূলত পরীক্ষামূলক পদ্ধতি। সেজন্যই এই পদ্ধতিতে পরীক্ষণের সুযােগসুবিধাগুলি আছে। সেজন্য এই পদ্ধতির সাহায্যে যে সিদ্ধান্ত প্রতিষ্ঠা করা হয়, তা কখনােই সম্ভাব্য নয়, তা সুনিশ্চিত। এই পদ্ধতিটি তাই সঠিকভাবেই কার্যকারণ সম্বন্ধ প্রতিষ্ঠা করতে পারে। 

[2] সহজ ও সরল পদ্ধতির সুবিধা: ব্যতিরেকী পদ্ধতি হল একটি অত্যন্ত সহজ ও সরল পদ্ধতি। সেইজন্যই এই পদ্ধতি প্রয়ােগ করার ক্ষেত্রে কোনাে ঝামেলা থাকে না। কারণ, এখানে মাত্র দুটি দৃষ্টান্তের প্রয়ােগ হলেই যথেষ্ট। এই দুটি দৃষ্টান্তের একটি হল সদর্থক দৃষ্টান্ত এবং অন্যটি হল নঞর্থক দৃষ্টান্ত। এদের মধ্যে যে বিষয়ে ব্যতিরেক বা অমিল, তাকেই আলােচ্য ঘটনার কারণ বা কার্য রূপে অভিহিত করা হয়। এই পদ্ধতিটিকে তাই সাধারণ মানুষ অত্যন্ত সহজেই প্রয়ােগ করতে পারে৷ 

[3] প্রমাণযােগ্যতার সুবিধা: তর্কবিদ মিল (Mil) ব্যতিরেকী পদ্ধতিকে প্রমাণের পদ্ধতি (method of proof) রুপে অভিহিত করেছেন। অন্বয়ী পদ্ধতি অথবা অন্যান্য পদ্ধতি প্রয়ােগ করে যে সমস্ত সিদ্ধান্ত পাওয়া যায়, অনেক সময় সেই সমস্ত সিদ্ধান্তসমূহকে প্রমাণ বা যাচাই করতে হলে ব্যতিরেকী পদ্ধতির ওপরই নির্ভর করতে হয়। সেই কারণেই প্রমাণের পদ্ধতি হিসেবে ব্যতিরেকী পদ্ধতির মূল্যটিকে কখনােই অস্বীকার করা যায় না।

[4] বহুকারণবাদ থেকে মুক্ত হবার সুবিধা: অন্যান্য পদ্ধতির ক্ষেত্রে, বিশেষ করে অন্বয়ী পদ্ধতির ক্ষেত্রে প্রাপ্ত সিদ্ধান্তটি অনেক সময় বহুকারণবাদের দোষে দুষ্টহতে পারে কিন্তু ব্যতিরেকীপদ্ধতির মাধ্যমে প্রাপ্তসিদ্ধান্ত কখনােই বহকারণবাদের পথটিকে প্রশস্ত করে| এরূপ পদ্ধতি সবসময়ই একটি নির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত প্রতিষ্ঠা করে এবং যথাযথভাবে কার্যকারণ সম্বন্ধটিকে নির্দেশ করে। ব্যতিরেকী পদ্ধতিটি তাই বহুকারণের সম্ভাবনা থেকে মুক্ত। IS সর্বশ্রেষ্ঠ প্রমাণ পদ্ধতির সুবিধা: সর্বশ্রেষ্ঠ প্রমাণ পদ্ধতি রুপে ব্যতিরেকী পদ্ধতিকেই উল্লেখ করেছেন তর্কবিদ মিল (Mill)। কারণ, অন্যান্য পদ্ধতির মাধ্যমে সিদ্ধান্তে যে কার্যকারণ সম্বন্ধ প্রতিষ্ঠা করা হয়, তাকে পরীক্ষণের সাহায্যে প্রমাণ করে ব্যতিরেকী পদ্ধতিই। সেকারণে এরূপ পদ্ধতিটিকেই সর্বশ্রেষ্ঠ প্রমাণ পদ্ধতি বলা হয়।

Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।

Leave a Comment