অথবা,বকের রক্ত ছলকে ওঠে তপনের’– তপনের এই অনুভুতির কারন কি ?.
অথবা, তপনের মনে হয় আজ যেন তার জীবনের সবচেয়ে দুঃখে আজ বলতে কোন দিনের কথা বলা হয়েছে ? এ রকম মনে কারণ আলােচনা করাে।
অথবা, “মনে হল দুঃখে লজ্জায় ঘৃণায় নিজেই যেন মাটির সঙেগ মিশে যাই”- কার মনে হয়েছিল? কোন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তার এই অনুভূতি হয়েছিল?
উত্তর – সাহিত্যিক আশাপূর্ণা দেবীর লেখা ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে তপনের আনকোরা হাতে লেখা গল্পটি ছাপার কথা বলা হয়েছে। |
‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পের নায়ক তপন ছােটোমাসির সঙ্গে যে লেখক মেলাের বিয়ে হয়েছিল তাঁকে দেখে প্রথমে অবাক ও বিস্মিত হয়েছিল। কারণ সে ভেবেছিল লেখক মানে কোনাে অন্য গ্রহের মানুষ। তাই “কথাটা শুনে তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল!” ছােটো মেসােকে দেখে একটা আস্ত গল্প লিখে ফেলে। এরপর মাসির প্রশ্রয়ে এবং লেখক মেসাের প্রভাবে সেই গল্পটি ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকায় ছাপানাে হলে তপন আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়ে — “বুকের রক্ত ছলকে ওঠে তপনের।” |
আর এদিকে বাড়িতে তপনের নাম হয়ে যায় – কবি সাহিত্যিক। কিন্তু মায়ের ধমকে তপন গল্পটি পড়া শুরু করলে, সেই ছাপানাে গল্পে সে আর নিজেকে কোথাও খুঁজে পায় না। ফলে তপনের লেখক মন আহত হয় – “তার মানে মেসাে তপনের গল্পটিকে আগাগােড়াই কারেকশান করেছেন। …তপন আর পড়তে পারে না। বােবার মতাে বসে থাকে।” সে দুঃখে, লজ্জায় ও অসম্মানে একলা ছাদে গিয়ে কেঁদে ফেলে। তখনই সে দৃঢ় সংকল্প নেয় – “যদি কখনাে লেখা ছাপতে দেয় তাে, তপন নিজে গিয়ে দেবে। নিজের কাঁচা লেখা। ছাপা হয় হােক, না হয় না তােক।”
Read Also
জ্ঞানচক্ষু’ অবলম্বনে তপন চরিত্রটি বিশ্লেষণ করাে।
জ্ঞানচক্ষু গল্পে মেসােমশাইয়ের চরিত্র আলােচনা করাে।
পৃথিবীতে এমন অলৌকিক ঘটনাও ঘটে – অলৌকিক ঘটনাটি কী? একে অলৌকিক বলার কারণ কী?
Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।