প্রিয় শিক্ষার্থীরা, আমরা এখানে প্রলয়োল্লাস কবিতার প্রশ্ন উত্তর MCQ গুলো নিয়ে এসেছি। কবিতা থেকে গুরুত্বপূর্ণ 60 টির ও বেশী MCQ প্রশ্ন উত্তর এখানে তুলে ধরা হল। আশা করি এগুলি ভালো ভাবে পড়লে তোমাদের পরীক্ষায় অনেক সুবিধা হবে।
প্রলয়োল্লাস
কাজী নজরুল ইসলাম
প্রলয়োল্লাস কবিতার প্রশ্ন উত্তর MCQ
১. ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতাটি কার লেখা?
উত্তর: কাজী নজরুল ইসলামের লেখা।
২. কাজী নজরুল ইসলাম বাংলা সাহিত্যে কী নামে পরিচিত?
উত্তর: বিদ্রোহী কবি নামে পরিচিত।
৩. ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতাটির উৎস কী?
উত্তর: ‘অগ্নিবীণা’ কাব্যগ্রন্থ (১৯২২)।
৪. ‘প্রলয়োল্লাস’ শব্দটির অর্থ বিশ্লেষণ করো।
উত্তর: প্রলয় — ধ্বংস, উল্লাস — আনন্দ। ‘প্রলয়োল্লাস’ এর অর্থ হল ধ্বংসের আনন্দ।
৫. আলোচ্য কবিতায় ‘জয়ধ্বনি’ শব্দটি কতবার ব্যবহৃত হয়েছে?
উত্তর: ১৯ বার।
৬. ‘জয়ধ্বনি’ বলতে কী বোঝো?
উত্তর: জয় সূচক ধ্বনি অর্থাৎ কোনো কিছুতে জয়লাভের পর যে আনন্দের ধ্বনি তোলা হয় তাকে জয়ধ্বনি বলা হয়।
৭. কবিতায় ‘তোরা’ বলতে কাদের বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: পরাধীন ভারতের স্বাধীনতা প্রত্যাশী মানুষদের বোঝানো হয়েছে।
৮. নূতনের কেতন বলতে কী বুঝিয়েছেন?
উত্তর: কাল বোশেখির ঝড়কে।
৯. ‘কেতন’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: পতাকা।
১০. কবিতায় ‘কেতন’ শব্দটি কোন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে?
উত্তর: নতুন দিনের বার্তা বয়ে আনবে যে পতাকা তাকে বোঝানো হয়েছে অর্থাৎ পরাধীনতা থেকে মুক্তির বার্তা বাহক পতাকাকেই কেতন বলা হয়েছে।
১১. ‘আসছে এবার অনাগত’ – ‘অনাগত’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: যে এখনও আসেনি।
১২. ‘প্রলয়োল্লাস’ মূল বিষয় কী?
উত্তর: বিপ্লববাদ।
১৩. অনাগত কেমন ভাবে আসছে?
উত্তর: ধ্বংসের নেশাতে পাগলের মতো নাচতে নাচতে আসছে।
১৪. ‘সিন্ধুপারের সিংহদ্বারে ধমক হেনে ভাঙল আগল’ — ‘সিংহদ্বার’ বলতে কী বোঝো?
উত্তর: সদর দরজা বা সামনের দরজা।
১৫. ‘ধমক হেনে’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: প্রচণ্ড আঘাত করে।
১৬. ‘আগল’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: খিল / বাধা।
১৭. ‘সিন্ধুপারের সিংহদ্বার’ বলতে কোন স্থানকে বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: সমুদ্রের তীরে অবস্থিত আন্দামানের সেলুলার জেলকে বোঝানো হয়েছে।
১৮. ‘মৃত্যু গহন অন্ধকূপে’ — ‘মৃত্যু গহন’ বলতে কী বোঝো?
উত্তর: মৃত্যুর মতো গভীর।
১৯. ‘অন্ধকূপ’ কী?
উত্তর: অন্ধকারাচ্ছন্ন কুয়ো।
২০. ‘মহাকালের চণ্ড রূপে’ — বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: অত্যন্ত ভয়ংকর রূপে।
২১. ‘ধূম্র ধূপে’ অর্থ কী?
উত্তর: ধূপের ধোঁয়ায়।
২২. ভয়ংকর কেমন ভাবে আসছে?
উত্তর: বজ্রশিখার মশাল জ্বালিয়ে আসছে।
২৩. সবাইকে জয়ধ্বনি করতে বলা হয়েছে কেন?
উত্তর: শিব রূপী বিপ্লবী শক্তির তাণ্ডবে ভারতবর্ষের পরাধীনতার অন্ধকার কেটে গিয়ে আকাশে নতুন সূর্যের উদয় ঘটবে। তাই কবি সবাইকে জয়ধ্বনি করতে বলেছেন।
২৪. ‘কালবোশেখির ঝড়’ কে নূতনের কেতন বলার কারণ কী?
উত্তর: কালবৈশাখীর ঝড় পুরাতনের জরা-জীর্ণতা ধ্বংস করে নূতনের বার্তা বহন করে আনে. তাই ‘নূতনের কেতন’ বলা হয়েছে।
২৫. মহাকাল কে?
উত্তর: ধ্বংস বা প্রলয়ের দেবতা শিব।
২৬. প্রলয় নেশার নৃত্য পাগল কে?
উত্তর: অনাগত।
২৭. কাজী নজরুল ইসলাম রচিত প্রথম দুটি কবিতার নাম লেখো।
উত্তর:- ‘বিদ্রোহী’ ও ‘প্রলয়োল্লাস’।
২৮. আলোচ্য কবিতায় কে হাসছে?
উত্তর: ভয়ংকর।
২৯. ‘ঝামর’ কী?
উত্তর: ঝামা বা পোড়া ইট. এগুলি সাধারণত কালো বা ধূসর রঙের হয়।
৩০. ঝামর তার কেশের দোলায় কী করে?
উত্তর: ঝাপটা মেরে গগন দোলায়।
৩১. ‘জ্বালামুখী’ কাকে বলে?
উত্তর: জ্বলন্ত লাভা বের হয় যার মুখ দিয়ে তাকে জ্বালামুখী বলা হয়।
৩২. ধূমকেতু কী?
উত্তর: ধূমকেতু হলো সৌরজগতের ঝাঁটার মতো লেজবিশিষ্ট একটি গ্রহ।
৩৩. ‘সর্বনাশী জ্বালামুখী ধূমকেতু তার চামর ঢুলায়!’ – চামর কী?
উত্তর: চামর হল চমরী গাইয়ের লেজের পশম দিয়ে তৈরি এক ধরনের পাখা বিশেষ. এটা দিয়ে সাধারণত ঈশ্বরকে আহ্বান করা হয়।
৩৪. ‘সর্বনাশী জ্বালামুখী ধূমকেতু তার চামর ঢুলায়’ – অংশটির মধ্য দিয়ে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন?
উত্তর: ধূমকেতু তার চামর দিয়ে প্রলয় বা ভয়ংকরকে স্বাগত জানাচ্ছে।
৩৫. বিশ্বপাতা বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: বিশ্বপিতাকে বোঝানো হয়েছে, যে বিশ্বকে ধারণ করে রেখেছে।
৩৬. ‘বিশ্ব পাতার বক্ষ কোলে রক্ত তাহার কৃপাণ ঝোলে’ – বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: বিশ্বপিতার বুকের উপর রক্তাক্ত খড়্গ ঝুলছে।
৩৭. কৃপাণ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: খড়্গ বা তলোয়ার।
৩৮. ‘দোদুল দোলে’ অর্থ কী?
উত্তর: দোলনার মতো দোলে।
৩৯. ‘ওরে ওই হাসছে ভয়ংকর’ – ভয়ংকর হাসছে কেন?
উত্তর: পুরাতনের বিনাশকারী বিপ্লবী সত্তা অর্থাৎ মহাকাল বা ভয়ংকর সকল অত্যাচার, জীর্ণতা, অবিচারকে ধ্বংস করে নতুন যুগের সূচনা ঘটাবে, তাই সে হাসছে।
৪০. ‘অট্টরোলের হট্টগোলে স্তব্ধ চরাচর’ – ‘অট্টরোল’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: জোরে শব্দ করা।
৪১. ‘হট্টগোল’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: হাটের মতো গোলমাল।
৪২. ‘স্তব্ধ’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: নিস্তব্ধ বা চুপচাপ।
৪৩. ‘চরাচর’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: পৃথিবী।
৪৪. ‘অট্টরোলের হট্টগোলে স্তব্ধ চরাচর’ – চরাচর স্তব্ধ কেন?
উত্তর: ভয়ংকরের আগমনে চারিদিকে কলরোল দেখা দিয়েছে। এই কলরোল স্বাধীনতা প্রত্যাশী মানুষের মনে কোনো এক প্রলয়ের ইঙ্গিত বহন করে আনে, তাই চরাচর স্তব্ধ।
৪৫. ‘দ্বাদশ রবি’ বলতে কী বোঝো?
উত্তর: ১২ টি সূর্যকে একত্রে দ্বাদশ রবি বলা হয়।
৪৫. ‘দ্বাদশ রবি’ বলতে কী বোঝো?
উত্তর: ১২ টি সূর্যকে একত্রে দ্বাদশ রবি বলা হয়।
৪৬. দ্বাদশ রবি বলতে মূলত কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: শাস্ত্রমতে ১২ মাসে আকাশে ১২ টি সূর্য ওঠে। এই বারোটি সূর্যকে একত্রে দ্বাদশ রবি বলা হয়।
৪৭. দ্বাদশ রবির নাম গুলি লেখো।
উত্তর: অর্ষমা, পূষা, ত্বষ্টা, সবিতা, ভগ, ধাতা, বিধাতা, মিত্র, শত্রু, বরুণ, উরুক্রম, বিবস্বান।
৪৮. ‘দ্বাদশ রবির বহ্নি জ্বালা’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: নতুন যুগের বার্তাবহনকারী ভয়ংকর বা প্রলয়রূপী বিপ্লবী শক্তির তেজ যেন একটা সূর্যের তেজ নয়, বারোটি সূর্যের তেজের মতো দীপ্ত ও প্রখর। এই তীব্রতাকে বোঝাতেই আলোচ্য অংশটির অবতারণা করা হয়েছে।
৪৯. ‘ভয়াল তাহার নয়ন কটায়’ — ভয়াল শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: ভয়ংকর।
৫০. ‘নয়ন কটায়’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: ললাট নেত্র বা তৃতীয় নয়নকে বোঝানো হয়েছে।
৫১. ‘দিগন্তরের কাঁদন লুটায় পিঙ্গল তার ত্রস্ত জটায়।’ — ‘দিগন্তর’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: বিভিন্ন দিক।
৫২. কাঁদন শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: কান্না।
৫৩. ‘পিঙ্গল’ শব্দটির অর্থ লেখো।
উত্তর: হালকা হলুদ বর্ণ।
৫৪. ‘ত্রস্ত’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: ভীত।
৫৫. ‘বিন্দু তাহার নয়ন জলে / সপ্ত মহাসিন্ধু দোলে’ — লাইনটির অর্থ পরিস্ফুট করো।
উত্তর: অনাগত প্রলয়ের এক বিন্দু নয়নের জলে সাত সমুদ্র কেঁপে ওঠে।
৫৬. ‘কপাল তলে’ শব্দটির অর্থ কী?
উত্তর: গালের তলায়।
৫৭. ‘বিশ্ব মায়ের আসন তারই বিপুল বাহুর পর’ — এ কথা বলার তাৎপর্য লেখ।
উত্তর: অনাগত প্রলয় বা ভয়ংকর যেমন এই বিশ্বের রক্ষাকর্তা, তার বলশালী দুই হাতের উপর এই বিশ্ব মায়ের আসন পাতা রয়েছে, ঠিক তেমনি প্রলয় রূপী বিপ্লবীর হাতেই দেশের স্বাধীনতা নির্ভর করে আছে।
৫৮. ‘জয় প্রলয়ঙ্কর’ — ‘প্রলয়ঙ্কর’ শব্দটির অর্থ কী?
উত্তর: বিনাশকারী বা ধ্বংসকারী।
৫৯. ‘মাভৈঃ মাভৈঃ’ — শব্দের অর্থ লেখো।
উত্তর: ভয় কোরো না।
৬০. ‘জগৎ জুড়ে প্রলয় এবার ঘনিয়ে আসে’ — প্রলয় ঘনিয়ে আসার কারণটি লেখো।
উত্তর: পুরাতনের জরাজীর্ণতা কাটিয়ে নতুন সৃষ্টির মধ্য দিয়ে পৃথিবীর নবজাগরণ ঘটাতে প্রলয় ঘনিয়ে আসছে।
৬১. ‘জরায় মরা মুমূর্ষুদের প্রাণ লুকানো ওই বিনাশে।’ — তাৎপর্য ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: যারা জীর্ণতায় মরে আছে তাদের মৃতপ্রায় প্রাণের ধ্বংস ঘটিয়ে নবজীবনের বীজ লুকায়িত আছে ওই বিনাশের মধ্যে।
আরো পড়ুন
অভিষেক কবিতার MCQ প্রশ্ন উত্তর | Abhishek Kobita MCQ
বহুরূপী গল্পের MCQ প্রশ্ন উত্তর | Bohurupi MCQ Question Answer
জ্ঞানচক্ষু গল্পের প্রশ্ন উত্তর MCQ | Gyanchakshu Golpo MCQ Question Answer
পথের দাবী গল্পের প্রশ্ন উত্তর MCQ | Pother Dabi MCQ Question Answer
অদল বদল গল্পের প্রশ্ন উত্তর MCQ | Adol Bodol MCQ Question Answer
মাধ্যমিক বাংলা MCQ সাজেশন ২০২৬ | Madhyamik Bengali MCQ Suggestion 2026 | Wbbse
Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।