কার দৌড় কদ্দুর প্রশ্ন উত্তর | শিবতোষ মুখোপাধ্যায় | Class 7 Bengali Kar Dour Koddur Question Answer | Wbbse

প্রিয় ছাত্রছাত্রীরা এই আর্টিকেলে আমরা Class 7 এর কার দৌড় কদ্দুর প্রশ্ন উত্তর নিয়ে এসেছি। তোমাদের সপ্তম শ্রেনীর পাঠ্যবইতে শিবতোষ মুখোপাধ্যায়ের লেখা কার দৌড় কদ্দুর গল্প রয়েছে। গল্পের শেষে যে সব প্রশ্নপত্র গুলি রয়েছে তার সমাধান আমরা এখানে করে দিলাম। আশা করি সবার ভালো লাগবে।

কার দৌড় কদ্দুর

শিবতোষ মুখোপাধ্যায়


১.১ উপনিষদে উক্ত ‘চরৈবেতি’ শব্দের অর্থ (যাত্রা থামাও/এগিয়ে যাও/দাঁড়িও না)।
উত্তর: উপনিষদে উক্ত ‘চরৈবেতি’ শব্দের অর্থ এগিয়ে যাও l

১.২ পৃথিবী যে নিজের কক্ষপথে সূর্যের চারিদিকে ঘোরে তা প্রথম বলেন (গ্যালিলিও/ কোপারনিকাস/সক্রেটিস)।
উত্তর: পৃথিবী যে নিজের কক্ষপথে সূর্যের চারিদিকে ঘোরে তা প্রথম বলেন কোপারনিকাস l

১.৩ ভাস্কো-ডা-গামা ছিলেন (মার্কিন/পর্তুগিজ/গ্রিক)।
উত্তর: ভাস্কো-ডা-গামা ছিলেন পর্তুগিজ l

১.৪ যে বৈজ্ঞানিক কারণে ‘আপেল দৌড়ায় মাটির দিকে’, সেটি হলো (মাধ্যাকর্ষণ/ প্লবতা/ সন্তরণ-নিয়ম) 
উত্তর: যে বৈজ্ঞানিক কারণে ‘আপেল দৌড়ায় মাটির দিকে’, সেটি হলো মাধ্যাকর্ষণ l

১.৫ আইনস্টাইন ছিলেন (সপ্তদশ/অষ্টাদশ/উনবিংশ) শতাব্দীর মানুষ।
উত্তর: আইনস্টাইন ছিলেন উনবিংশ শতাব্দীর মানুষ।

২.১ এফিড উড়বার সময় প্রতি সেকেন্ডে ________ বার ডানা নাড়ায় ।
উত্তর:
এফিড উড়বার সময় প্রতি সেকেন্ডে চারশো বার ডানা নাড়ায় ।

২.২ গমন শক্তিকে বিচার করতে হয় সবসময়ে ________ হিসাব করে ।
উত্তর:
গমন শক্তিকে বিচার করতে হয় সবসময়ে দৈহিক ওজনের পরিমাণ হিসাব করে ।

২.৩ গোবি মরুভূমিতে ________ নামক এক হরিণ আছে।
উত্তর:
গোবি মরুভূমিতে গ্যাজেলি নামক এক হরিণ আছে।

২.৪ ________ টারনস প্রতি বছরে এগারো হাজার মাইল একবার উড়ে আসে আবার পরে ফিরে যায়।
উত্তর: মেরুপ্রদেশের
টারনস প্রতি বছরে এগারো হাজার মাইল একবার উড়ে আসে আবার পরে ফিরে যায়।

২.৫ ATP র পুরো কথাটি হলো ________।
উত্তর:
ATP র পুরো কথাটি হলো অ্যাডেনোসিন ট্রাইফসফেট

৩.১ অনুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে দেখা যা.য় এমন দুটি প্রাণীর নাম লেখো।
উত্তর: অনুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে দেখা যায় এমন দুটি প্রাণীর নাম হলো অ্যামিবা (Amoeba)প্যারামিসিয়াম (Paramecium) l এরা এককোষী অণুজীব, খালি চোখে দেখা যায় না, তাই অনুবীক্ষণ যন্ত্র ছাড়া দেখা সম্ভব নয়।

৩.২ ‘শামুক চলে যাবার সময় রেখে যায় জলীয় চিহ্ন’- সেটি আসলে কী?
উত্তর: শামুকের চলার পথে রেখে যাওয়া জলীয় চিহ্ন আসলে তাদের শরীর থেকে ক্ষরিত একপ্রকার রস যা তাদের চলার পথ পিচ্ছিল করে তুলতে সাহায্য করে।

৩.৩ ‘আমাদের নিজেদের শরীরের মধ্যে একরকম ভবঘুরে সেল আছে।’—সেলটিকে ‘ভবঘুরে’ বলা হয়েছে কেন?
উত্তর: ‘ভবঘুরে’-র অর্থ হল বিনা কাজে যে সর্বত্র ঘুরে বেড়াতে পারে। রক্তের শ্বেতকণিকা নামক সেলটি যেহেতু শরীরের মধ্যে এক জায়গা থেকে অন্য যে-কোনো জায়গায় যেতে পারে তাই তাকে ‘ভবঘুরে’ বলা হয়েছে।

৩.৪ ‘নানা জাতের খরগোশের মধ্যে গতির তারতম্য দেখা যায়’ –কয়েকটি খরগোশের জাতির নাম লেখো।
উত্তর: মেরু খরগোশ, আলাস্কা খরগোশ, তুষার খরগোশ, কালো লেজ খরগোশ, ভারতীয় খরগোশ প্রভৃতি হল খরগোশের বিভিন্ন জাতির নাম ।

৩.৫ ‘কোনো কোনো পতঙ্গ উড়বার সময় তাদের ডানা প্রচণ্ড জোরে নাড়ে’- তোমার চেনা কয়েকটি পতঙ্গের নাম লেখো। তাদের ছবি সংগ্রহ করে খাতায় লাগাও।
উত্তর: আমার চেনা কয়েকটি পতঙ্গ হলো ফড়িং, প্রজাপতি, মশা, মাছি, মৌমাছি ইত্যাদি ।

৩.৬ ‘কত সামুদ্রিক জীব গা ভাসিয়ে মাইলের পর মাইল পাড়ি দেয় তার হিসাব আমরা রাখি না’– কয়েকটি সামুদ্রিক জীবের নাম লেখো।
উত্তর: কয়েকটি সামুদ্রিক জীবের নাম হল অক্টোপাস, জেলিফিস, তিমি, হাঙর, সিল প্রভৃতি ।

৩.৭ ‘রক্ষে এই যে……’ লেখক কোন বিষয়টিকে সৌভাগ্য বলে মনে করেছেন এবং কেন ?
উত্তর: আবির্ভাবের পর থেকে অ্যামিবা আজও শ্লথ গতিতে এগিয়ে চলেছে, কখনও তার চলা থামায়নি এই বিষয়টিকে লেখক সৌভাগ্য বলে মনে করেছেন, কারণ চলাই জীবন, থেমে যাওয়ার অর্থ মৃত্যু বা ধ্বংস।

৩.৮ প্যারামোসিয়াম কীভাবে চলাফেরা করে ?
উত্তর: অ্যামিবার মতোই একটি এককোশী জীবপ্যারামোসিয়াম-এর সেলের চারদিকে ছোটো ছোটো চুলের মতো অসংখ্য গমনাঙ্গ থাকে। এই গমনাঙ্গগুলিকে সিলিয়া বলা হয়। এইসব সিলিয়ার যথেচ্ছ ব্যবহারের ফলে প্যারামোসিয়াম জলের মধ্যে হাজার দাঁড়ে নৌকা চালানোর মতো এগোতে বা পিছোতে পারে।

৩.৯ প্যারামোসিয়াম ছাড়া দুটি এককোষী জীবের নাম লেখো।
উত্তর: প্যারামোসিয়াম ছাড়া দুটি এককোশী জীবের নাম হল অ্যামিবা ও ডায়াটম।

৩.১০ ‘তার চলাফেরার ভঙ্গিটি ভারি মজার’ – কার চলার ভঙ্গির কথা বলা হয়েছে? তা ‘মজার’ কীভাবে?
উত্তর: এখানে অ্যামিবার চলার ভঙ্গির কথা বলা হয়েছে।

অ্যামিবা নিজের দেহ বা সেল থেকে খানিকটা অংশকে ক্ষণিকের পা হিসেবে এগিয়ে দেয়, তারপর সেইদিকে সেলের মধ্যেকার প্রোটোপ্লাজমের বাকি অংশকে গড়িয়ে দেয়। এমনি করে মুহুর্মুহু ক্ষণিক-পা বের হয় আর প্রোটোপ্লাজম সেইদিকে বয়ে যায়। এভাবেই অ্যামিবা অত্যন্ত ধীরগতিতে সামনের দিকে এগিয়ে যায়। যা বেশ মজার বলে মনে হয় ।

৩.১১ গমনে সক্ষম গাছ ও গমনে অক্ষম প্রাণীর নাম লেখো।
উত্তর: গমনে সক্ষম একটি গাছ হল ক্ল্যামাইডোমোনাস এবং গমনে অক্ষম প্রাণী হল স্পঞ্জ, প্রবাল।

৩.১২ কয়েকটি ‘হক্’ জাতীয় পাখির নাম লেখো।
উত্তর: কয়েকটি ‘হক্’ জাতীয় পাখি হল ইগল, চিল, বাজ, প্যাঁচা প্রভৃতি।

৩.১৩ আফ্রিকার কী জাতীয় পাখি ওড়া ছেড়ে হাঁটায় পারদর্শী হয়ে উঠেছে?
উত্তর: আফ্রিকার ‘ইন্’ জাতীয় পাখি ওড়া ছেড়ে হাঁটায় পারদর্শী হয়ে উঠেছে।

৩.১৪ ক্রমবিকাশের পথ পরিক্রমায় ঘোড়ার আঙুলের কোন পরিবর্তন ঘটেছে? 
উত্তর: ক্রমবিকাশের পথ পরিক্রমায় ঘোড়ার আঙুলের বিশেষ পরিবর্তন ঘটেছে। ঘোড়ার পূর্বপুরুষদের খুর ছিল না। তারা হাতে-পায়ে পাঁচ আঙ্গুলবিশিষ্ট প্রাণী ছিল। কিন্তু ক্রমবিকাশের পথ পরিক্রমায় আস্তে আস্তে অন্য আঙুলগুলি অদৃশ্য হয়ে যায়, থেকে যায় শুধু মাঝের আঙুলটি-যাকে আমরা এখন খুর বলে জানি ।

৩.১৫ পাঠ্যাংশে রয়েছে এমন একটি নিশাচর প্রাণীর নাম লেখো।
উত্তর: পাঠ্যাংশে উল্লেখিত একটি নিশাচর প্রাণী হল শিয়াল।

হিউয়েন সাঙ, শ্রীজ্ঞান দীপঙ্কর, ভাস্কো-ডা-গামা, শঙ্করাচার্য।

উত্তর:

হিউয়েন সাঙ : হিউয়েন সাঙ ছিলেন একজন চিনা পরিব্রাজক। চিন সম্রাট তাই | সাঙ-এর রাজত্বকালে চিনদেশ থেকে যাত্রা করে ৬২৯ খ্রিস্টাব্দে তিনি ভারতবর্ষে পৌঁছোন। তিনি বৌদ্ধ তীর্থস্থানগুলি ভ্রমণ করেন তিনি নালন্দাতে পাঁচ বছর ছিলেন। তাঁর লেখা বইতে তখনকার ভারতবর্ষের এক দুর্লভ চিত্র পাওয়া যায় ।

শ্রীজ্ঞান দীপঙ্কর : ৯৮০ খ্রিস্টাব্দে বর্তমান বাংলাদেশের ঢাকা বিক্রমপুরের বজ্রযোগিনী গ্রামে শ্রীজ্ঞান দীপঙ্করের জন্ম হয়। অল্প বয়সে ইনি বৌদ্ধ ধর্মে বিভিন্ন শাস্ত্রে জ্ঞান লাভ করেন। বাংলার রাজা মহীপালের অনুরোধে ইনি বিক্রমশিলা মহাবিহারের অধ্যক্ষ পদে আসীন হয়েছিলেনর দীপঙ্করের অপর এক উপাধি হল অতীশ। তিনি তিব্বতি বৌদ্ধদের আহবানে তিব্বতে যান। শেষ জীবনটা তিনি তিব্বতেই কাটান।

ভাস্কো-ডা-গামা : ভাস্কো-ডা-গামা ছিলেন এক দুঃসাহসী পোর্তুগিজ নাবিক। তিনি ১৪৯৭ খ্রিস্টাব্দে পোর্তুগালের রাজধানী লিসবন থেকে একদল নাবিককে সঙ্গে নিয়ে ভারতবর্ষের খোঁজে জাহাজ নিয়ে অকূল সমুদ্রে পাড়ি দেন। এগারো মাস জাহাজে থেকে আফ্রিকার উত্তমাশা অন্তরীপ ঘুরে ১৪৯৮ সালের ২০ যে ভারতের দক্ষিণ উপকূলের কালিকট বন্দরে এসে হাজির হন। তিনি মালাবার উপকূলে ছ-মাস ছিলেন। ভারতের সঙ্গে পোর্তুগালের বাণিজ্য সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় তাঁর গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল।

শঙ্করাচার্য : সুপ্রসিদ্ধ বেদান্ত ভাষ্যকার শংকরাচার্য আচার্য শংকর নামে সবিশেষ পরিচিত। বর্তমান কেরল রাজ্যের কালাদি গ্রামে ৭৮৮ খ্রিস্টাব্দে তাঁর জন্ম হয়। অতি অল্প বয়সেই তিনি সংস্কৃত সাহিত্য ও বিভিন্ন শাস্ত্রে ব্যুৎপত্তি লাভ করেন। তিনি চারটি মঠ প্রতিষ্ঠা করেন যা অদ্বৈত বেদান্ত দর্শনের ঐতিহাসিক বিকাশ, প্রসার ও পুনর্জাগরণের ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছিল।

৫.১ প্রাণী মাত্রকেই খাবার সংগ্রহ করতে হয় — গাছ কীভাবে না দৌড়ে তার খাবার সংগ্রহ করতে পারে ? 
উত্তর: আলোচ্য অংশটি শিবতোষ মুখোপাধ্যায় রচিত ‘কারদৌড় কদ্দূর’ প্রবন্ধ থেকে নেওয়া হয়েছে। গাছ দৌড়োয় না। এক জায়গায় বসে বসেই গাছ তার খাবার তৈরি করতে পারে। তারা মাটির নীচ থেকে শিকড়ের সাহায্যে জল সংগ্রহ করে। গাছের পাতায় ক্লোরোফিল থাকে। এই ক্লোরোফিল সূর্যের আলোর উপস্থিতিতে, বাতাসের কার্বন ডাইঅক্সাইডের সাহায্যে সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ায় গাছের খাদ্য প্রস্তুত করে।

৫.২ প্রবন্ধে লেখক জানিয়েছেন যে খাবার সংগ্রহের কারণেই ‘প্রাণীরা এক জায়গায় স্থাণু না হয়ে দিকে দিকে পরিভ্রমণ করে’। — তুমি কি এই মতটিকে সমর্থন করো? তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও।
উত্তর: উদ্ভিদরা একজায়গায় দাঁড়িয়ে নিজেদের খাবার তৈরি করতে পারে । প্রাণীরা তা পারে না বলে তাদের একজায়গায় স্থির থাকলে চলে না। খাবার সংগ্রহের তাগিদে তাদের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ছুটে বেড়াতে হয়। যদিও খাবার সন্ধান ছাড়াও তারা বাসস্থানের সন্ধান, আত্মরক্ষা বা বংশবিস্তারের জন্যও পরিভ্রমণ করে তবুও খাদ্যসন্ধানই তাদের পরিভ্রমণের মূল কারণ। সুতরাং, লেখকের মন্তব্যটি সম্পূর্ণ সমর্থনযোগ্য l

৫.৩ ‘গমনাগমনের প্রকৃত মাধুর্যটা আমাদের চেখে পড়ে সাধারণত উচ্চতর প্রাণীর মধ্যে’। — পাঠ্যাংশে উচ্চতর প্রাণীদের গমনাগমনের মাধুর্য কীভাবে প্রতিফলিত হয়েছে আলোচনা করো। 
উত্তর: আলোচ্য অংশটি প্রাবন্ধিক শিবতোষ মুখোপাধ্যায় রচিত ‘কারদৌড় কদ্দূর’ প্রবন্ধ থেকে নেওয়া হয়েছে। উচ্চতর প্রাণী বলতে এখানে সামুদ্রিক জীব, পতঙ্গ, শামুক, | চিংড়ি-সহ পাখি ও জন্তুজানোয়ারকে বোঝানো হয়েছে। শেষে শ্রেষ্ঠ প্রাণী মানুষের কথাও বলা হয়েছে। সামুদ্রিক জীব সমুদ্রস্রোতে গা ভাসিয়ে পাড়ি দেয় মাইলের পর | মাইল। চিংড়ি চলে দাঁড়া নাড়িয়ে। কোনো কোনো পতঙ্গ ওড়বার সময় প্রচণ্ড জোরে ডানা নাড়ায়। শামুক চলে তাদের একটামাত্র মাংস- পুরু পা দিয়ে জলীয় চিহ্ন রেখে। আবার উচ্চতর জীবদের মধ্যে গমন শক্তিরও অনেক পার্থক্য আছে। কোনো কোনো জন্তু তাদের দেহের ভারি ওজন সত্ত্বেও তীব্রবেগে চলে। অত্যধিক ওজনবিশিষ্ট গ্যাজোলি, এন্টিলোপ প্রজাতির হরিণ তীব্রবেগে দৌড়োয়। হালকা কোনো পাখি হাওয়ায় তিরের বেগে ছুটে চলে। বেজায় ওজন নিয়ে কাদা ভেঙে হিপো চলে থপথপ করে। লেখক বিভিন্ন প্রাণীর বৈচিত্রে ভরা এই গমনাগমনের প্রকৃত মাধুর্যই তাঁর লেখনীর মাধ্যমে তুলে ধরেছেন ।

৫.৪ ‘এ পথে আমি যে গেছি’— রবীন্দ্রসংগীতের অনুষঙ্গটি পাঠ্যাংশে কোন প্রসঙ্গে ব্যবহৃত হয়েছে? 
উত্তর: আলোচ্য অংশটি শিবতোষ মুখোপাধ্যায় রচিত ‘কারদৌড় কদ্দূর’ প্রবন্ধ থেকে নেওয়া হয়েছে। বাগানের শামুকদের চলা দেখে রবীন্দ্রনাথের গানের প্রসঙ্গটি এসেছে। বাগানের শামুকরা চলে তাদের একখানা মাংসল পা দিয়ে। চলে যাওয়ার সময় তারা তাদের চলার পথে জলীয় পদচিহ্ন রেখে যায়। এই চিহ্নের উল্লেখ প্রসঙ্গেই লেখকের রবীন্দ্রসংগীতের এই লাইনটি মনে পড়েছে।

৫.৫ ‘এরকম মনে করলে ভুল হবে।’ — কোন দুটি বিষয়ের ভুল সাপেক্ষে এমন মন্তব্য করা হয়েছে?
উত্তর: আলোচ্য অংশটি শিবতোষ মুখোপাধ্যায় রচিত ‘কারদৌড় কদ্দুর’ প্রবন্ধ থেকে নেওয়া হয়েছে। কোনো হালকা পাখির হাওয়ায় তিরের মতো ছুটে চলে যাওয়া আর বেজায় ওজন নিয়ে একখানা হিপো বা জলহস্তীর কাদা ভেঙে থপথপ করে এগিয়ে যাওয়া একইরকম এ কথা মনে করলে ভুল হবে। এই দু-প্রকার প্রাণীর গমন প্রসঙ্গে উপরোক্ত মন্তব্যটি করা হয়েছে। | প্রকৃতপক্ষে, গমন শক্তি বিচারের ক্ষেত্রে কেবল অতিক্রান্ত দূরত্বের কথা | মাথায় রাখলেই চলে না, বিচার করে দেখতে হয় তাদের দৈহিক ওজনের বিষয়টিকেও।

৫.৬ উচ্চতর জীবদের পেশি কাজ করার ক্ষেত্রে কীভাবে শক্তি উৎপাদিত হয়?
উত্তর: উচ্চতর জীবরা পেশির সঞ্চালনের সাহায্যে পা নাড়াতে পারে। যখন পেশি কাজ করে, তখন এডিনোসিন ট্রাইফসফেট (ATP) নামক রাসায়নিক পদার্থের ক্রিয়ার ফলে শক্তি উৎপন্ন হয়।

৫.৭ ‘ক্রমবিকাশের ইতিহাসে জানা যায়’ – এ প্রসঙ্গে লেখক কোন তথ্যের অবতারণা করেছেন ? 
উত্তর: আলোচ্য অংশটি প্রাবন্ধিক শিবতোষ মুখোপাধ্যায় রচিত ‘কারদৌড় কদ্দূর’ প্রবন্ধ থেকে নেওয়া হয়েছে। ক্রমবিকাশের ইতিহাসে জানা যায়, ঘোড়ার পূর্বপুরুষদের এখনকার মতো খুর ছিল না। তাদের পায়ে ছিল পাঁচটা করে আঙুল। কিন্তু ক্রমবিকাশের পথ পরিক্রমায় আস্তে আস্তে অন্য আঙুলগুলি অদৃশ্য হয়ে যায়, থেকে যায় শুধু মাঝের আঙুলটি-যাকে আমরা খুর বলে জানি।

৫.৮ ‘মনের দৌড়ে মানুষ চ্যাম্পিয়ন’ ‘ —এমন কয়েকজন মানুষের কথা লেখো যাদের শারীরিক অসুবিধা থাকলেও মনের দৌড়ে সত্যিই তাঁরা প্রকৃত চ্যাম্পিয়ন হয়ে উঠেছেন।
উত্তর: মারলে রুনিয়ান-বিখ্যাত দৌড়বিদ মারলে রুনিয়ান অন্ধ হওয়া সত্ত্বেও ৫০০০ মিটার দৌড়ে ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন।

ক্রিস্টি ব্রাউন-বিখ্যাত আইরিশ লেখক ক্রিস্টি ব্রাউন পক্ষাঘাত আক্রান্ত | ছিলেন। তা সত্ত্বেও তিনি নিজের পায়ের সাহায্যে আত্মজীবনী লেখেন।

হেলেন কেলার-অন্ধ ও বধির হেলেন কেলার সমস্ত প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেছিলেন।

৫.৯ ‘মানুষ এখন শুধু নিজে চলেই ক্ষান্ত নয়।’ –নিজের চলা ছাড়া বর্তমানে মানুষ কী কী জিনিস চালাতে সক্ষম?
উত্তর: আলোচ্য অংশটি প্রাবন্ধিক শিবতোষ মুখোপাধ্যায় রচিত ‘কারদৌড় কদ্দূর’ প্রবন্ধ থেকে নেওয়া হয়েছে। মানুষ এখন শুধু নিজে চলেই ক্ষান্ত নয়, সে অন্য সবকিছুই চালাতে সমান উৎসুক। সে এখন জলে চালাচ্ছে জাহাজ, স্থলে চালাচ্ছে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন এবং রেলপথে রেল চালিয়ে এক প্রান্ত থেকে আর-এক প্রান্তে ছুটছে। আকাশপথে মানুষ চালাচ্ছে প্লেন ও জেট। এমনিভাবে দশ দিনের পথ সে এক ঘণ্টায় কিংবা কয়েক মিনিটে পাড়ি দিচ্ছে। মানুষ এখন আকাশটাকে ঘোড়দৌড়ের ময়দান করে তুলেছে।

৫.১০ ‘এখন মানুষ আকাশটাকে নতুন করে ঘোড়াদৌড়ের মাঠ করে তুলেছে।’ –মানুষের মহাকাশ-অভিযানের সাম্প্রতিকতম সাফল্য নিয়ে প্রিয় বন্ধুকে একটা চিঠি লেখো।
উত্তর: নিজে কর l

৫.১১‘এ যাত্রা তোমার থামাও’–লেখক কাকে একথা বলেছেন? এর কোন উত্তর তিনি কীভাবে পেয়েছেন?
উত্তর: আলোচ্য অংশটি প্রাবন্ধিক শিবতোষ মুখোপাধ্যায় রচিত ‘কারদৌড় কদ্দূর’ প্রবন্ধ থেকে নেওয়া হয়েছে। লেখক এ কথা পাগলের মতো হনহনিয়ে ছুটে চলা পৃথিবীকে বলেছেন ।

লেখক এর উত্তর পেয়েছেন দখিনা বাতাসের কাছ থেকে। পৃথিবী তার দখিনা বাতাসের ভিতর দিয়ে লেখকের কানে কানে জানিয়েছে, “থামা মানে জীবনের শেষ। যতদিন আছো, ততদিন চলো । দাঁড়িও না-শাশ্বত সত্যের দিকে যাওয়ার গতি বন্ধ করো না। চরৈবেতি….।”

আরো পড়ুন

ছন্দে শুধু কান রাখো কবিতার প্রশ্ন উত্তর | অজিত দত্ত | Chonde Sudhu Kan Rakho Question Answer | Class 7 | Wbbse

Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।

Leave a Comment