প্রিয় ছাত্রছাত্রীরা এই আর্টিকেলে আমরা Class 7 এর মেঘ চোর গল্পের প্রশ্ন উত্তর নিয়ে এসেছি। তোমাদের সপ্তম শ্রেনীর পাঠ্যবইতে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা মেঘ চোর গল্প রয়েছে। গল্পের শেষের হাতে কলমে প্রশ্নগুলির সমাধান আমরা এখানে করে দিলাম। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
মেঘ চোর
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
মেঘ চোর গল্পের প্রশ্ন উত্তর | সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
১. সন্ধি করো:
বৃষ+তি
অপ+ইক্ষা
গো+এষণা
পরি+ঈক্ষা
আবিঃ+কার
কিম্+তু
উত্তর :
বৃষ+তি = বৃষ্টি
অপ+ইক্ষা = অপেক্ষা
গো+এষণা = গবেষণা
পরি+ঈক্ষা = পরীক্ষা
আবিঃ+কার = আবিষ্কার
কিম্+তু = কিন্তু
২. সন্ধি বিচ্ছেদ করো:
নিরুদ্দেশ, বিয়োগ, উত্তাপ, নির্জন, যুগান্ত।
উত্তর :
নিরুদ্দেশ = নিঃ + উদ্দেশ্য
বিয়োগ = বি + যুজ্
উত্তাপ = উৎ + তাপ
নির্জন = নিঃ + জন
যুগান্ত = যুগ + অন্ত
শব্দার্থ : রকেট—পৃথিবীর অভিকর্ষের টান ছাড়িয়ে মহাশূন্যে যাওয়ার দ্রুতগামী যান। কম্পিউটার—যন্ত্রগণক। পুরন্দর—ইন্দ্র। দিক্বিজয়—সর্বদিক বা নানাদেশ জয়। তুষারযুগ—হিমযুগ। যুগান্তকারি—নতুন যুগ শুরু করার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এয়ারকন্ডিশানড়— শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত, বাতানুকূল। প্রাগৈতিহাসিক—যে যুগ থেকে ইতিহাস জানা গেছে তার পূববর্তী যুগের। নিশ্চিহ্ন—অদৃশ্য, উধাও। মার্কারি—পারদ। অ্যালয়—ধাতু সঙ্কর। এয়ারটাইট—বায়ুনিরোধক। স্পাই—চর, গোয়েন্দা। সকেট—কোটর। অকেজো—অকর্মণ্য, অব্যবহার্য।
৩. নীচের শব্দগুলিতে ব্যবহৃত নঞর্থক উপসর্গগুলি দিয়ে নতুন শব্দ তৈরি করো।
উপসর্গ | যেমন | নতুন তৈরী শব্দ |
---|---|---|
অ | আচনা | |
নি | নিখুঁত | |
বি | বিদেশ | |
নিঃ | নিশ্চিহ্ন | |
বে | বেবন্দোবস্ত |
উত্তর :
উপসর্গ | যেমন | নতুন তৈরী শব্দ |
---|---|---|
অ | আচনা | অচল, অকেজো, অকর্মা, অখাদ্য, অমানুষ । |
নি | নিখুঁত | নিষ্ঠুর, নিমেষ, নিখোঁজ, নিথর, নিখুঁত। |
বি | বিদেশ | বিকল, বিরোধ, বিকার, বিরূপ, বিপরীত l |
নিঃ | নিশ্চিহ্ন | নিষ্পাপ, নির্মল, নিষ্কাম, নির্বোধ, নিশ্চুপ। |
বে | বেবন্দোবস্ত | বেদম, বেগম, বেনিয়ম, বেআক্কেল, বেমালুম। |
৪. নঞর্থক উপসর্গ ছাড়া অন্যান্য উপসর্গের ব্যবহারে তৈরি শব্দও এই গল্পে কম নেই। এখানে সেই ধরনের একটি করে শব্দ দিয়ে দেওয়া হলো, প্রতিটি উপসর্গ দিয়ে তৈরি আরো পাঁচটি করে শব্দ লিখতে হবে তোমাকে।
উপসর্গ | যেমন | নতুন তৈরী শব্দ |
---|---|---|
প্র | প্রশংসা | |
আ | আলাপ | |
বি | বিজ্ঞানী | |
প্রাক্ | প্রাগৈতিহাসিক | |
সম্ | সংক্ষেপ | |
অধি | অধিকার |
উত্তর :
উপসর্গ | যেমন | নতুন তৈরী শব্দ |
---|---|---|
প্র | প্রশংসা | প্রকাশ, প্রলেপ, প্রজাতি, প্রলয়, প্রবোধ। |
আ | আলাপ | আবহ, আবরণ, আহার, আগমন, আলোচনা। |
বি | বিজ্ঞানী | বিজিত, বিকাশ, বিজয়, বিক্ষোভ, বিচিত্র। |
প্রাক্ | প্রাগৈতিহাসিক | প্রাক্-কাল, প্রাক্-কথা, প্রাক্তন, প্রাগুক্ত, প্রাগেব। |
সম্ | সংক্ষেপ | সংস্কার, সম্বোধন, সম্ভার, সম্বল, সম্পাদক। |
অধি | অধিকার | অধিবাস, অধিকার, অধিক, অধিবাসী, অধিবেশন। |
৫. “অসীমা বলল, না তা নয়…. এক বিশাল মেঘ নিয়ে আকাশে-আকাশে ফেরিওয়ালার মতন ঘুরছেন” আর… “আমি তো মেঘের ব্যবসাদার নই…” উদ্ধৃতাংশটিতে ‘ফেরিওয়ালা’ আর ‘ব্যবসাদার’ শব্দ দুটি পাচ্ছি। এই ‘ওয়ালা’ এবং ‘দার’ অনুসর্গ দুটি ব্যবহার করে অন্তত পাঁচটি করে নতুন শব্দ বানাও।
ওয়ালা —
দার —
উত্তর :
ওয়ালা — ওয়ালা – ফলওয়ালা, গানওয়ালা, বাড়িওয়ালা, সবজিওয়ালা, দুধওয়ালা।
দার — দোকানদার, আড়তদার, পাওনাদার, দানাদার, হাবিলদার।
৬. এই গল্পটিতে অজস্র শব্দ দ্বৈত ব্যবহৃত হয়েছে। কোনটি কোন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে বুঝে নিয়ে অথবা গঠনগত বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী নীচের খোপগুলিতে শব্দবাক্স থেকে শব্দ নিয়ে সঠিকস্থানে বসাও। একটি করে উদাহরণ দিয়ে দেওয়া হলো :
দ্বিরুক্তি-অর্থে | উড়িয়ে উড়িয়ে |
ঈষদর্থে/ সাদৃশ্য-অর্থে | মেঘ-মেঘ |
প্রকৃত শব্দ+বিকৃত শব্দে | হইহই |
সমার্থক শব্দযুগ্ম | আত্মীয় স্বজন, |
বিপরীতার্থক শব্দযুগ্ম | যোগ-বিয়োগ, |
ধ্বন্যাত্মক/অনুকারাত্মক | হা-হা |
খালবিল, গাছ পালা, হইচই, ঠিকঠাক, আত্মীয়স্বজন, জল্পনা-কল্পনা, খোঁড়াখুঁড়ি, ঝকঝক, জীবজন্তু, একটু একটু, হা-হা, যোগ বিয়োগ, খোঁজাখুঁজি, নিজে নিজে, মেঘ-মেঘ, চ্যাঁচামেচি, মাঝে মাঝে, কমে বাড়ে, পরে পরে, কোথাও কোথাও, বোমা-টোমা, কিছু কিছু, উড়িয়ে উড়িয়ে, মুচকি মুচকি, সত্যি সত্যি, টলটলে, এদিক ওদিক, জানলাটানলা।
উত্তর :
দ্বিরুক্তি-অর্থে | উড়িয়ে উড়িয়ে | কোথাও কোথাও, নিজে নিজে, মাঝে মাঝে, একটু একটু। |
ঈষদর্থে/ সাদৃশ্য-অর্থে | মেঘ-মেঘ | পায়ে পায়ে, কিছু কিছু, খোঁজাখুঁজি। |
প্রকৃত শব্দ+বিকৃত শব্দে | হইহই | চ্যাঁচামেচি, বোমা-টোমা, হইচই। |
সমার্থক শব্দযুগ্ম | আত্মীয় স্বজন, | খালবিল, আত্মীয়স্বজন, গাছপালা, জীবজন্তু। |
বিপরীতার্থক শব্দযুগ্ম | যোগ-বিয়োগ, | যোগ বিয়োগ, কমে বাড়ে, এদিক ওদিক। |
ধ্বন্যাত্মক/অনুকারাত্মক | হা-হা | ঝকঝক, টলটলে, ঠিকঠাক, খোঁড়াখুঁড়ি |
৭. সমার্থক শব্দ লেখো:
জব্দ, নিরুদ্দেশ, কারবার, লুপ্ত, নিখুঁত, কৃত্রিম, ধ্বংস, শ্রদ্ধা, অনুগ্রহ, স্থির।
উত্তর : জব্দ – অপদস্থ, নিরুদ্দেশ – নিখোঁজ, কারবার – ব্যবসা, লুপ্ত – বিলীন, নিখুঁত – নিটোল, কৃত্রিম – নকল, ধ্বংস – বিনাশ, শ্রদ্ধা – সম্মান, অনুগ্রহ – দয়া, স্থির – নিশ্চল/অচল
৮. নীচের শব্দগুলির দুটি করে পৃথক অর্থ জানিয়ে প্রত্যেকটির জন্য আলাদা আলাদা বাক্য লেখো:
কাণ্ড, বল, যোগ, আলাপ, ব্যাপার, অঙ্ক, পর, ধার, চেয়ে, জন
উত্তর :
কান্ড :
গাছের গোড়া, মূল – মেহগনি গাছের কান্ড খুব শক্ত ।
ঘটনা – তারপর ঘটল এক অদ্ভুত কান্ড।
বল :
খেলার বল – আমি ফুটবল খেলতে ভালোবাসি।
শক্তি – ঠিকমতো না খেলে শরীরের বল কমে যাবে।
যোগ :
ব্যায়াম বিশেষ – রোজ সকালে যোগ অভ্যাস করলে মনোসংযোগ বাড়ে।
যুক্ত – আমিও তাদের দলে যোগ দিলাম।
আলাপ :
কথাবার্তা – বাবার সাথে বন্ধুদের আলাপ করিয়ে দিলাম।
সুর ভাঁজা – মিমি গান শুরুর আগে সুরের আলাপ করে নেয়।
ব্যাপার :
ব্যবসা – গণেশ চাল-ডালের ব্যাপারী।
বিষয় – সামান্য ব্যাপারে মারামারি করা ঠিক নয়।
অঙ্ক :
গণিত – রাতুল অঙ্কে কাঁচা ।
কোল – মাতৃ অঙ্কে শিশুটি শান্তিতে ঘুমিয়ে আছে।
পর :
নিজে নয় – পরের কাছে গোপন কথা বলতে নেই।
পরিধান করা – তাড়াতাড়ি সবুজ জামাটা পর ।
ধার :
ঋণ – ধার করা অভ্যাস মোটেই ভালো নয়।
কিনারা – ছাদের ধারে যাওয়া উচিত নয়।
চেয়ে :
চাওয়া – বাকি চেয়ে লজ্জা দেবেন না।
এক দৃষ্টে তাকিয়ে থাকা – অনিক আকাশের দিকে চেয়ে রইল।
জন :
মজুর – জন খেটে স্বল্প পারিশ্রমিক মেলে।
লোক – কতজন এসেছে শুনে নেওয়া দরকার।
৯. সমোচ্চারিত/প্রায়-সমোচ্চারিত ভিন্নার্থক শব্দগুলির অর্থ লিখে আলাদা আলাদা বাক্যরচনা করো:
চাপা | যোগ | লক্ষ | দেশ | চুরি | কাটা |
চাঁপা | যুগ | লক্ষ্য | দ্বেষ | চুড়ি | কাঁটা |
উত্তর :
চাপা(পিষ্ট) – গাড়ি চাপা পড়ে মানুষটি আহত হয়েছে।
চাঁপা(ফুল বিশেষ) – চাঁপা ফুল আমার প্রিয়।
যোগ (যুক্ত) – তাদের সাথে আমিও পিকনিকে যোগ দিলাম।
যুগ(১২ বছর) – অনেক যুগ পার করে মানুষ আরও উন্নত হয়েছে।
লক্ষ(গণিতের হিসাব) – লক্ষ টাকার হিসেবে ভুল যেন না হয়।
লক্ষ্য (নিশানা ) – লক্ষ্য ঠিক রাখলে সাফল্য আসবেই।
দেশ(নিজের বাসভূমি) – আমি আমার দেশকে ভালোবাসি।
দ্বেষ (ঈর্ষা) – হিংসা, দ্বেষ ত্যাগ করো।
চুরি (চৌর্যবৃত্তি) – চুরি করা দন্ডনীয় অপরাধ।
চুড়ি (অলংকার) – মেয়েরা হাতে চুড়ি পরে।
কাটা (ছেদন করা) – গাছ কাটা উচিত নয়।
কাঁটা (কণ্টক ) – গোলাপ গাছে কাটা থাকে।
১০. স্থূলাক্ষর পদগুলির কারক-বিভক্তি নির্ণয় করো:
১০.১ আমেরিকার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে সে ইতিহাস নিয়ে গবেষণা করে।
উত্তর : কর্তৃকারকে ‘শূন্য’ বিভক্তি।
১০.২ অসীমা ইতিহাসের ছাত্রী হলেও ভূগোলও বেশ ভালই জানে।
উত্তর : কর্মকারকে ‘শূন্য’ বিভক্তি।
১০.৩ তার মধ্যে আশি হাজার কিউবিক মাইলই যায় সমুদ্র থেকে।
উত্তর : অপাদান কারকে ‘থেকে’ অনুসর্গ।
১০.৪ সাইবেরিয়ায় বড়জোর এক ইঞ্চি বেশি বরফ জমে।
উত্তর : অধিকরণ কারকে ‘য়’ বিভক্তি।
১০.৫ তাঁর নিজস্ব রকেটে তিনি অসীমাকে নিয়ে বহু জায়গায় বেড়াচ্ছেন।
উত্তর : করণকারকে ‘এ’ বিভক্তি।
১১. একটি দুটি বাক্যে উত্তর দাও:
১১.১ ‘মেঘ-চোর’-এর মতো তোমার পড়া দু-একটি কল্পবিজ্ঞানের গল্পের নাম বলো।
উত্তর : ‘মেঘ-চোর’ এর মতো আমার পড়া দুটি কল্পবিজ্ঞান গল্পের নাম ‘পাগলা গণেশ’ ও ‘বঙ্কুবাবুর বন্ধু’।
১১.২ এই গল্পে কজন চরিত্র? তাদের নাম কী ?
উত্তর : এই গল্পে মোট তিনজন চরিত্র। বৃষ্টি বিজ্ঞানী পুরন্দর চৌধুরী, বিজ্ঞানী কারপভ ও তাঁর মেয়ে অসীমা।
১১.৩ ‘মেঘ-চোর’ কাকে বলা হয়েছে?
উত্তর : সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় রচিত ‘মেঘ-চোর’ গল্পে ‘মেঘ-চোর’ বলা হয়েছে বৃষ্টি বিজ্ঞানী পুরন্দর চৌধুরীকে।
১১.৪ পুরন্দরের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।
উত্তর : সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় রচিত ‘মেঘ-চোর’ গল্পে পুরন্দর চৌধুরী একজন বৃষ্টিবিজ্ঞানী। সাহারা মরুভূমিতে এক মাসে একশো ইঞ্চি বৃষ্টিপাত ঘটিয়ে তিনি সাঙ্ঘাতিক কান্ড করেছেন। পুরন্দর চৌধুরীর বয়স পঞ্চাশের কাছাকাছি। মুখখানা ফরসা ও একেবারে গোল। তাঁর চোখের মণি দুটো নীল ।
১১.৫ অসীমা সম্বন্ধে দু-একটি বাক্য লেখো।
উত্তর : সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় রচিত ‘মেঘ-চোর’ গল্পে অসীমার আসল পরিচয় সে বিজ্ঞানী কারপভের মেয়ে। অসীমার বয়স সাতাশ, সে আমেরিকার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস নিয়ে গবেষণা করে।
১১.৬ পুরন্দর কী সাঙ্ঘাতিক কাণ্ড করেছেন?
উত্তর : সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় রচিত ‘মেঘ-চোর’ গল্পে পুরন্দর চৌধুরী সাহারা মরুভূমিতে এক মাসে একশো ইঞ্চি বৃষ্টিপাত ঘটিয়ে সাংঘাতিক কান্ড করেছেন। সাইবেরিয়া থেকে মেঘ চুরি করে এনে তিনি এই বৃষ্টিপাত ঘটিয়েছেন।
১১.৭ রাষ্ট্রসঙ্ঘে বিভিন্ন দেশ কী দাবি তুলেছে?
উত্তর : সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় রচিত ‘মেঘ-চোর’ গল্পে পুরন্দর চৌধুরী সাইবেরিয়া থেকে মেঘ চুরি করে এনে সাহারা মরুভূমিতে একশো ইঞ্চি বৃষ্টিপাত ঘটিয়েছে। তাই রাষ্ট্রসঙ্ঘের বিভিন্ন দেশ দাবি তুলেছে যে, মেঘ চুরি আইন করে বদলানো দরকার।
১১.৮ হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় কোথায়?
উত্তর : হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় আমেরিকায় অবস্থিত।
১১.৯ পুরন্দরের মুখটা হাঁ হয়ে গেল কেন?
উত্তর : সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় রচিত ‘মেঘ-চোর’ গল্পে পুরন্দর চৌধুরী যখন জানতে পারেন অসীমা আসলে তাঁর ভাইজি নয় সে কারপভের মেয়ে। আর কম্পিউটার প্রোগ্রামিং এর কৌশলে তাঁদের রকেটটা পৃথিবীর অনেক ওপরে নিয়ে আসা হয়েছে। সুতরাং পুরন্দর চৌধুরীর আর লেক শ্রেভারের জল শুকিয়ে সাইবেরিয়া পাঠানো হবে না। এই সুন্দর চেহারার মেয়েটার মাথায় এত বুদ্ধি ভেবে পুরন্দরের মুখ হাঁ হয়ে গেল।
১১.১০ জ্ঞান ফিরে পুরন্দর অবাক হয়েছিলেন কেন?
উত্তর : সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় রচিত ‘মেঘ-চোর’ গল্পে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া বিষয়ে আলোচনা সভায় এসে কারপভ নামে একজন বিজ্ঞানী পুরন্দরকে মেঘ-চোর বলে গালাগাল দিলে, পুরন্দর উত্তেজিত হয়ে জ্ঞান হারান। জ্ঞান ফিরে চোখ মেলে দেখলেন তাঁর মাথার কাছে এক সুন্দরী মেয়ে বসে মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে। বিদেশে একটি অচেনা বাঙালি মেয়েকে তাঁর সেবা করতে দেখে তিনি অবাক হন।
১১.১১ দিক্বিজয় কে ছিলেন?
উত্তর : সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় রচিত ‘মেঘ-চোর’ গল্পে দিকবিজয় ছিলেন পুরন্দর চৌধুরীর নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়া ভাই।
১১.১২ গল্পের ঘটনা যখন ঘটেছে তখন চরিত্রগুলি কোথায় ছিল?
উত্তর : সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় রচিত ‘মেঘ-চোর’ গল্পের ঘটনাগুলো যখন ঘটেছে তখন চরিত্রগুলো রকেটে করে আকাশে উড়ছিল।
১১.১৩ ইগলু-র পরিবর্তে সেখানে তখন কী দেখা যাচ্ছিল?
উত্তর : সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় রচিত ‘মেঘ-চোর’ গল্পে আলাস্কায় এস্কিমোদের ইগলুর বদলে বড়ো বড়ো এয়ারকন্ডিশানড় বাড়ি দেখা যাচ্ছিল।
১১.১৪ কেন বলা হয়েছে অসীমা ‘ভূগোলও বেশ ভালো জানে?
উত্তর : সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় রচিত ‘মেঘ-চোর’ গল্পে যদিও অসীমা আগে এই অঞ্চলে কখনো আসেনি তবুও আলাস্কার বহুদূরে অবস্থিত মাউন্ট চেম্বারলিন পাহাড় ও লেক শ্রেভারের পরিচয় সে জানত। তাই বলা হয়েছে অসীমা ইতিহাসের ছাত্রী হলেও ভূগোল ও বেশ ভালোই জানত।
১১.১৫ কে কোথা থেকে কোথায় মেঘ এনেছিল ?
উত্তর : সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় রচিত মেঘ-চোর’ গল্পে বৃষ্টি বিজ্ঞানী পুরন্দর চৌধুরী সাইবেরিয়া থেকে সাহারা মরুভূমিতে মেঘ নিয়ে এসেছিল।
১১.১৬ তুষার যুগ কাকে বলে ?
উত্তর : যে যুগে সারা পৃথিবী তুষারে আবৃত ছিল সেই সময়কে তুষার যুগ বলে ।
১১.১৭ পৃথিবী থেকে কত জল সারাবছর বাষ্প হয়ে মেঘে উড়ে যায়?
উত্তর : সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় রচিত ‘মেঘ-চোর’ গল্প অনুযায়ী পৃথিবী থেকে সারা বছর পঁচানব্বই হাজার কিউবিক মাইল জল বাষ্প হয়ে মেঘে উড়ে যায়।
১১.১৮ মানুষের জন্য বেশি বৃষ্টি দরকার কেন ?
উত্তর : বেঁচে থাকার জন্য জল মানুষের কাছে অপরিহার্য উপাদান। বিভিন্ন ভাবে মানুষ জলের ব্যবহার করে ও প্রয়োজন মেটায়। শুধুমাত্র মানুষ নয় পশুপাখি, উদ্ভিদ সকলেরই বেঁচে থাকার জন্য জল প্রয়োজন। আর বর্তমানে মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে তাই মানুষের জন্য বেশি বৃষ্টি দরকার।
১১.১৯ আটলান্টিস কী?
উত্তর : আটলান্টিস হল একটি লুপ্ত সভ্যতা। আবার কিছু সমালোচকদের মতে এই সভ্যতা আসলে প্রাচীন গ্রিক লেখকদের জল্পনা কল্পনা।
১১.২০ পুরন্দরের মতে আটলান্টিসের অবস্থান কোথায় ?
উত্তর : সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় রচিত ‘মেঘ-চোর’ গল্পে পুরন্দরের মতে আটলান্টিসের অবস্থান আলাস্কার লেক শ্রেভারের তলায়।
১১.২১ সাইবেরিয়া কোথায়?
উত্তর : সাইবেরিয়া রাশিয়ায় অবস্থিত।
১১.২২ অসীমা কেন পুরন্দরকে ফেরিওয়ালা বলে ব্যঙ্গ করেছে?
উত্তর : ফেরিওয়ালা সাধারণত নানারকম সামগ্রী নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ফেরি করে বেড়ায়। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় রচিত ‘মেঘ-চোর’ গল্পে ঠিক তেমনি বৃষ্টি বিজ্ঞানী পুরন্দর চৌধুরির ইচ্ছা ছিল সে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মেঘ ফেরি করে বেড়াবে। একারণে অসীমা ব্যঙ্গ করে পুরন্দর চৌধুরিকে ফেরিওয়ালা বলেছে।
১১.২৩ অ্যালয় কী?
উত্তর : সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় রচিত ‘মেঘ-চোর’ গল্পে বৃষ্টি বিজ্ঞানী পুরন্দর চৌধুরি মার্কারির সাথে এগারোটি ধাতু মিলিয়ে তৈরি করেছিলেন অ্যালয়।
১১.২৪ পুরন্দরের তৈরি গোলকটিতে আছে এমন কোন ধাতুর নাম গল্পে পেলে ?
উত্তর : সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় রচিত ‘মেঘ-চোর’ গল্পে গোলকে উল্লিখিত ধাতু হল পারদ বা মার্কারি।
১১.২৫ পুরন্দরের তৈরি গোলকটি এয়ারটাইট রাখতে হয় কেন?
উত্তর : সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় রচিত ‘মেঘ-চোর’ গল্পে পুরন্দরের তৈরি গোলক এয়ারটাইট রাখতে হয় কারণ, বাতাসে উপস্থিত জলকণার সংস্পর্শে আসলেই গোলকটি গরম হতে শুরু করে।
১১.২৬ “প্রকৃতিকে ধ্বংস করা একটা অপরাধ”— কে, কাকে, কখন বলেছে?
উত্তর : সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় রচিত ‘মেঘ-চোর’ গল্পে আলোচ্য উক্তিটি কারপভের মেয়ে অসীমা পুরন্দর চৌধুরির উদ্দেশ্যে করেছে।
পুরন্দর চৌধুরি নিজের তৈরি ধাতব বলের সাহায্যে লেক শ্রেভারের জল শুকিয়ে মেঘ তৈরি করতে চাইলে অসীমা রিভলবার বার করে তাকে বাঁধা দেয়। তারপর আলোচ্য উক্তিটি করে।
১১.২৭ অসীমার প্রকৃত পরিচয় কী?
উত্তর : সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় রচিত ‘মেঘ-চোর’ গল্পে অসীমার প্রকৃত পরিচয় সে বিজ্ঞানী কারপভের মেয়ে।
১১.২৮ “তাহলে আমরা গুঁড়ো হয়ে যাব”- কে, কাকে, কেন বলেছে?
উত্তর : সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় রচিত ‘মেঘ-চোর’ গল্পে প্রশ্নে উদ্ধৃত উক্তিটি অসীমা করেছে বৃষ্টি বিজ্ঞানী পুরন্দর চৌধুরির উদ্দেশ্যে।
পুরন্দর রকেটের একটা অংশ খুলে ফেলতে চাইছিল তাই অসীমা আলোচ্য উক্তিটি করেছে।
১১.২৯ অসীমার বিশেষ আগ্রহ কোন বিষয়ে ?
উত্তর : সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় রচিত ‘মেঘ-চোর’ গল্পে অসীমার বিশেষ আগ্রহ কম্পিউটার বিষয়ে।
১১.৩০ ‘পৃথিবীর জল যেমন আছে তেমনই থাকুক’ –কে কখন এই কথা বলেছে?
উত্তর : সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় রচিত ‘মেঘ-চোর’ গল্পের একদম শেষ অংশে অসীমা পুরন্দর চৌধুরির তৈরি ধাতব গোলকটি বায়ুমন্ডলের বাইরে পাঠিয়ে অকেজো করার জন্য গোলকটিকে পুরন্দরের হাত থেকে নিয়ে রকেটের সকেটে ফেলে দেয় ও আলোচ্য উক্তিটি করে।
১২. আট দশটি বাক্যে উত্তর দাও:
১২.১ এই গল্পে কাকে কেন ‘মেঘ-চোর’ বলা হয়েছে? তার মেঘ চুরির কৌশলটি সংক্ষেপে লেখো।
উত্তর : সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় রচিত ‘মেঘ-চোর’ গল্পে বিজ্ঞানী পুরন্দর চৌধুরিকে মেঘ-চোর বলা হয়েছে। কারণ তিনি সাইবেরিয়া থেকে মেঘ উড়িয়ে এনে সাহারা মরুভূমিতে বৃষ্টিপাত ঘটিয়েছেন।
পুরন্দর চৌধুরি বৃষ্টি বিজ্ঞানী, তাঁর তৈরি অভিনব ধাতব গোলক দ্বারা তিনি কোনো স্থানের জলকে বাষ্পে পরিণত করে মেঘের সৃষ্টি করেন। এভাবে অন্য দেশ থেকে মেঘ তাড়িয়ে এনে যে দেশে বৃষ্টি কম সেই দেশে বৃষ্টিপাত ঘটান। আলোচ্য গল্পে তিনি আলাস্কার লেক শ্রেভারের বরফ গলিয়ে পাঁচ মিনিটের মধ্যে পঁচানব্বই হাজার কিউবিক মাইল আয়তনের বিরাট মেঘ সৃষ্টি করে সেটি পাঠাতে চেয়েছিলেন কারপভের দেশে।
১২.২ “বিজ্ঞান মানুষকে দিয়েছে অমিত বল, কিন্তু অযোগ্য মানুষের হাতে সেই ক্ষমতা হয়ে উঠতে পারে বিপজ্জনক এবং প্রাণঘাতী”— পঠিত গল্পটি অবলম্বনে উপরের উদ্ধৃতিটি বিশ্লেষণ করো।
উত্তর : সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় রচিত ‘মেঘ-চোর’ গল্পের প্রধান চরিত্র পুরন্দর চৌধুরি একজন খ্যাতনামা বিজ্ঞানী। তিনি এমন এক ধাতব বল তৈরি করেছেন যার সাহায্যে পৃথিবীর কোনো বড়ো জলাশয়ের জল অল্প সময়ের মধ্যে শুকিয়ে বাষ্পে পরিণত করে তা দিয়ে মেঘ সৃষ্টি করা যায়। তাঁর এই সৃষ্টি ভালো কাজে ব্যবহার করা যেত ঠিকই কিন্তু মনের অহংবোধ তাকে বিপথে চালিত করেছিল। তিনি চেয়েছিলেন নিজের সৃষ্টির দ্বারা প্রকৃতিকে ভৃত্য বানাতে এবং সমগ্র পৃথিবীর বৃষ্টিকে নিজে নিয়ন্ত্রণ করতে। হতে চেয়েছিলেন আকাশের দেবতা ইন্দ্র। তবে এভাবে সমস্ত দেশের মেঘ চুরি করে তা নিজের ইচ্ছে মতো ব্যবহার করলে প্রকৃতির বিপর্যয় অনিবার্য। এর ফলে কোথাও দেখা দিতে পারে অনাবৃষ্টি কোথাও খরা। তাই বলা যায় বিজ্ঞানের অমিত বল অযোগ্য লোকের হাতে পড়লে সেই ক্ষমতা হয়ে উঠতে পারে বিপজ্জনক এবং প্রাণঘাতী।
১২.৩ পুরন্দর চৌধুরির চরিত্রটি তোমার কেমন বলে মনে হয়েছে— বিশ্লেষণ করো।
উত্তর : সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় রচিত ‘মেঘ-চোর’ গল্পের প্রধান চরিত্র বৃষ্টি বিজ্ঞানী পুরন্দর চৌধুরি। আলোচ্য গল্পে তাঁর চরিত্রের যে দিকগুলি ফুটে ওঠে তা হল, –
খ্যাতনামা বিজ্ঞানী:- বৃষ্টি বিজ্ঞানী হিসেবে সারা পৃথিবীতে পুরন্দর চৌধুরির খ্যাতি। সাহারা মরুভূমিতে এক মাসে একশো ইঞ্চি বৃষ্টিপাত ঘটিয়ে তিনি সাংঘাতিক কান্ড করেছেন।
অহংবোধ :- পুরন্দর চৌধুরি নিজের দক্ষতা নিয়ে গর্বিত ছিলেন। অসীমাকে তাই তিনি জানিয়েছেন, ‘আমি পুরন্দর চৌধুরি, আমার আবিষ্কার সব সময় মৌলিক’।
প্রতিশোধপরায়ণ:- বিজ্ঞানী কারপভ তাকে মেঘ চোর বলায় পুরন্দর আলাস্কার লেক শ্রেভারের বরফ শুকিয়ে মেঘ সৃষ্টি করে তা কারপভের দেশে পাঠিয়ে প্রতিশোধ নিতে চায়। তা তার প্রতিশোধপরায়ণ মানসিকতাকে স্পষ্ট করে।
প্রকৃতির প্রতি অবহেলা:- পুরন্দর চৌধুরি প্রকৃতিকে ভালোবাসে না, সে প্রকৃতিকে হাতের মুঠোয় রাখতে চায়। হতে চায় আকাশের দেবতা ইন্দ্র।
পরিশেষে বলা যায় পুরন্দর চৌধুরি খ্যাতনামা বিজ্ঞানী হলেও তার ক্ষমতাকে তিনি সঠিক পথে চালনা করেননি। এদিক থেকে তার চরিত্রের নৈতিক দৃঢ়তা কম তা স্পষ্টতই বলা চলে।
১২.৪ গল্পটি অবলম্বনে অসীমা চরিত্রটি সম্বন্ধে তোমার মতামত জানাও।
উত্তর : সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় রচিত ‘মেঘ-চোর’ গল্পের এক উল্লেখযোগ্য চরিত্র অসীমা। আলোচ্য গল্পে অসীমা চরিত্রের যেদিকগুলো ফুটে উঠেছে তা হল, –
জ্ঞানী:- আমেরিকার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস নিয়ে তিনি গবেষণা করেছেন । ইতিহাসের বাইরে ভূগোলে ও কম্পিউটারেও তাঁর দক্ষতা ছিল।
রহস্যময়ী:- অসীমা প্রথমে নিজের পরিচয় দিয়েছিল পুরন্দর চৌধুরির ভাইয়ের মেয়ে হিসেবে। যদিও তিনি ছিলেন কারপভের মেয়ে। তাঁর আসল উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতেই এই রহস্যময়তা।
যুক্তিবাদী :- অসীমা ছিলেন যুক্তিবাদী তাই নানাভাবে যুক্তি দিয়ে তিনি পুরন্দর চৌধুরিকে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন লেক শ্রেভারের জল শুকিয়ে মেঘ তৈরি করলে প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট হবে।
নীতিবোধ:- অসীমার নৈতিকতা বোধই তাকে পুরন্দরের অনৈতিক কাজকে বাঁধা প্রদানে উদ্বুদ্ধ করেছে।
১২.৫ এই গল্পে পুরন্দর এবং অসীমা আসলে দুটি পৃথক এবং পরস্পরবিরোধী বিজ্ঞান চেতনার প্রতিনিধিত্ব করেছেন। কে, কোন ধারণার প্রতিনিধিত্ব করেছেন জানিয়ে তুমি এঁদের মধ্যে কাকে কেন সমর্থন করো বিশদে জানাও ।
উত্তর : সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় রচিত ‘মেঘ-চোর’ গল্পে পরস্পর বিপরীতধর্মী দুটি চরিত্র পুরন্দর চৌধুরি ও অসীমা।
পুরন্দর একজন খ্যাতনামা বিজ্ঞানী। যিনি নিজের সৃষ্টি নিয়ে গর্বিত। এক দেশের মেঘ অন্য দেশে উড়িয়ে নিয়ে গিয়ে বৃষ্টিপাত ঘটিয়ে তিনি সাঙ্ঘাতিক কান্ড করেছেন। তবে নিজের এই বৈজ্ঞানিক ক্ষমতা তিনি সঠিক পথে চালিত না করে। এই ক্ষমতার দ্বারা হতে চেয়েছেন আকাশের দেবতা ইন্দ্র। সারা পৃথিবীর বৃষ্টিপাতকে করতে চেয়েছেন নিজের হাতের মুঠোয়। নৈতিকতাবোধকে বিসর্জন দিয়ে বিজ্ঞানের আশীর্বাদকে পাশে রেখে পুরন্দর চৌধুরি তাই যেন বিজ্ঞানের অভিশাপের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
অপরদিকে অসীমা আমেরিকার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের ছাত্রী। তবে ভূগোল ও কম্পিউটারেও তাঁর খুব জ্ঞান। অসীমা পুরন্দর চৌধুরিকে প্রকৃতির বিরুদ্ধ আচরণ করতে বাঁধা দিয়েছে। রক্ষা করেছে প্রকৃতির ভারসাম্য। অর্থাৎ অসীমা হয়ে উঠেছে শুভবুদ্ধির বা বিজ্ঞানের আশীর্বাদের প্রতিনিধি। তাই আমি অসীমাকে সমর্থন করি।
১২.৬ গল্পটিতে যতগুলি স্থাননাম আছে তার একটি তালিকা বানিয়ে প্রত্যেকটি স্থান সম্বন্ধে সংক্ষেপে লেখো।
উত্তর : গল্পটিতে যে স্থানগুলির নাম আছে তা হল, – সাহারা মরুভূমি, সাইবেরিয়া, আমেরিকা, আলাস্কা, বোস্টন প্রভৃতি।
সাহারা মরুভূমি :- সাহারা বিশ্বের বৃহত্তম গরম মরুভূমি। এই মরুভূমির অধিকাংশ অধিবাসীই যাযাবর।
সাইবেরিয়া:- উত্তর এশিয়ার উরাল পর্বতমালা থেকে প্রশান্ত মহাসাগর পর্যন্ত সাইবেরিয়ার বিস্তৃতি। এই অঞ্চলের বেশিরভাগ জায়গা বরফে ঢাকা।
আমেরিকা:- আমেরিকা পৃথিবীর একটি শক্তিশালী দেশ। এর একদিকে প্রশান্ত মহাসাগর ও অন্যদিকে আটলান্টিক মহাসাগর।
আলাস্কা:- আলাস্কা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি অঙ্গরাজ্য। ১৯৫৯ খ্রীস্টাব্দের ৩ জানুয়ারি তারিখে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৯তম অঙ্গরাজ্য হিসাবে এটি অন্তর্ভুক্ত হয়। আলিউট আলিয়েস্কা ভাষা হতে আলাস্কা শব্দটি নেয়া, যার অর্থ বিশাল বা মহান দেশ বা ভূখণ্ড।
বোস্টন :- বস্টন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের সবচেয়ে জনবহুল শহর এবং রাজ্যটির রাজধানী শহর। মূল বস্টন শহরটির আয়তন ৪৮ বর্গমাইল এবং এখানে প্রায় ৬ লক্ষ ৭৩ হাজার লোকের বাস। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর-পূর্বে নিউ ইংল্যান্ড অঞ্চলের বৃহত্তম শহর।
আরো পড়ুন
গল্পবুড়ো কবিতার প্রশ্ন উত্তর | সুনির্মল বসু | Golpo Buro Kobita Question Answer | Class 5 | Wbbse
বুনো হাঁস প্রশ্ন উত্তর | লীলা মজুমদার | Buno Has Class 5 Question Answer | Wbbse
দারোগাবাবু এবং হাবু কবিতার প্রশ্ন উত্তর | Daroga Babu Ebong Habu Question Answer | Class 5 | Wbbse
এতোয়া মুন্ডার কাহিনী প্রশ্ন উত্তর | Etoya Mundar Kahini Question Answer | Class 5 | Wbbse
Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।