প্রিয় ছাত্রছাত্রীরা আজকের এই আর্টিকেলে আমরা জীববিদ্যা ও মানবকল্যাণ প্রশ্ন উত্তর নিয়ে আলোচনা করব । এখানে তোমাদের জন্য সাঁতরা পাবলিকেশনের পাঠ্যবই অনুসারে Class 9 Life Science Chapter 4 Question Answer দিয়ে দিলাম। পরীক্ষায় ভালো ফল পাবার জন্য তোমরা টেক্সট বই খুঁটিয়ে আরো ভালোভাবে পড়বে।
জীববিদ্যা ও মানবকল্যাণ (Chapter 4)
Class 9 Life Science
A) বহু বিকল্প ভিত্তিক প্রশ্ন [MCQ]: [প্রশ্ন মান 1]
1. সব অ্যান্টিবডিই
(A) অ্যালবুমিন
(B) আলফা গ্লোবিউলিন
(C) গ্লোবিউলিন
(D) ডেল্টা গ্লোবিউলিন
উত্তর : (C) গ্লোবিউলিন
2. নীচে উল্লিখিত কোন রোগে দেহের স্বাভাবিক ইমিউনিটি নষ্ট হয়ে যায়?
(A) সিফিলিস
(B) গনোরিয়া
(C) AIDS
(D) হেপাটাইটিস-B
উত্তর : (C) AIDS
3. টিকাকরণ প্রদান করে
(A) সক্রিয় অনাক্রম্যতা
(B) নিষ্ক্রিয় অনাক্রম্যতা
(C) প্রাকৃতিক অনাক্রম্যতা
(D) a ও b উভয়
উত্তর : (A) সক্রিয় অনাক্রম্যতা
4. কোন্ ভ্যাকসিন মুখ দিয়ে গ্রহণ করা হয়?
(A) টাইফয়েড
(B) পোলিও
(C) কলেরা
(D) টিটেনাস
উত্তর : (B) পোলিও
5. গুটি বসন্তের টিকা কে আবিষ্কার করেন?
(A) ফ্লেমিং
(B) পাস্তুর
(C) কচ
(D) জেনার
উত্তর : (D) জেনার
6. অ্যান্টিবডি-র চারটি পলিপেপটাইড চেন যে বন্ড দ্বারা সংলগ্ন তা হল
(A) পেপটাইড
(B) গ্লাইকোসাইডিক
(C) সালফাইড
(D) হাইড্রোজেন বন্ড
উত্তর : (C) সালফাইড
7. সহজাত অনাক্রম্যতা গড়ে ওঠে
(A) নিউট্রোফিল দ্বারা
(B) B-cell দ্বারা
(C) T-cell দ্বারা
(D) অ্যান্টিবডি দ্বারা
উত্তর : (A) নিউট্রোফিল দ্বারা
8. কোন্ অ্যান্টিবডি রক্তে বেশি পরিমাণে থাকে?
(A) IgE
(B) IgG
(C) IgM
(D) IgA
উত্তর : (B) IgG
9. ডিপথেরিয়া ভ্যাকসিন তৈরি করা হয়
(A) মৃত ব্যাকটেরিয়ার কোষ থেকে যে বিষ নির্গত হয় তার দ্বারা
(B) জীবিত ব্যাকটেরিয়ার কোষ থেকে যে বিষ নির্গত হয় তার দ্বারা
(C) পোষক দেহের অতিরিক্ত অনাক্রম্যতার প্রকাশ দ্বারা
(D) ভাইরাস কর্তৃক নির্গত বিষ পদার্থের দ্বারা
উত্তর : (B) জীবিত ব্যাকটেরিয়ার কোষ থেকে যে বিষ নির্গত হয় তার দ্বারা
10. কোন্ অ্যান্টিবডি আকারে সবচেয়ে বড়ো?
(A) IgE
(B) IgM
(C) IgA
(D) IgD
উত্তর : (B) IgM
11. ম্যালেরিয়া রোগে উচ্চ তাপমাত্রার কারণ
(A) রক্ত জালকের মধ্যে স্পোরোজয়েটসের প্রবেশ
(B) লোহিত কণিকা থেকে মেরোজয়েটসের নির্গমন
(C) ক্রিপ্টোজয়েটসের লোহিত কণিকায় প্রবেশ
(D) মেরোজয়েটসের লোহিত কণিকায় প্রবেশ
উত্তর : (A) রক্ত জালকের মধ্যে স্পোরোজয়েটসের প্রবেশ
12. ইমিউনোলজির জনক কে?
(A) Louis Pasteur
(B) Edward Jenner
(C) Ferdinand Kohn
(D) Robert Koch
উত্তর : (B) Edward Jenner
13. যে ব্যাকটেরিয়ার জন্য যক্ষ্মা রোগ হয়, তা হল
(A) Mycobacterium
(B) Streptococcus
(C) Pneumococcus
(D) Salmonella
উত্তর : (A) Mycobacterium
14. ভ্যাকসিনের ভিত্তি হিসেবে অর্জিত অনাক্রম্যতার কোন বৈশিষ্ট্যটিকে ধরা হয়?
(A) ডাইভারসিটি
(B) মেমরি
(C) a এবং b উভয়ই
(D) স্পেসিফিসিটি
উত্তর : (B) মেমরি
15. কোলোস্ট্রামে কোন প্রকার অ্যান্টিবডি পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে?
(A) IgA
(B) IgM
(C) IgE
(D) কোনোটিই নয়
উত্তর : (A) IgA
16. ডিপথেরিয়া ভ্যাকসিন তৈরি করা হয়
(A) মৃত ব্যাকটেরিয়ার কোষ থেকে
(B) মৃত ব্যাকটেরিয়ার কোষ থেকে যে বিষ নির্গত হয় তার দ্বারা
(C) জীবন্ত ব্যাকটেরিয়ার কোষ থেকে যে বিষ নির্গত হয় তার দ্বারা
(D) পোষক দেহের অতিরিক্ত অনাক্রম্যতার প্রকাশ দ্বারা
(E) ভাইরাস কর্তৃক নির্গত বিষ পদার্থের দ্বারা
উত্তর : (B) মৃত ব্যাকটেরিয়ার কোষ থেকে যে বিষ নির্গত হয় তার দ্বারা
17. কোন অ্যান্টিবডি আকারে সবচেয়ে বড়ো?
(A) IgE
(B) IgM
(C) IgA
(D) IgD
উত্তর : (B) IgM
18. নিউমোনিয়া যা ফুসফুসের অ্যালভিওলাইকে সংক্রামিত করে, এটি হয় কোনটি দ্বারা?
(A) Haemophilus influenzae
(B) Plasmodium
(C) Salmonella typhii
(D) কোনোটিই নয়
উত্তর : (D) কোনোটিই নয়
19. ডিপথেরিয়া রোগের একটি প্রধান উপসর্গ হল
(A) জলাতঙ্ক
(B) জলোচ্ছ্বাস
(C) রক্তপাতযুক্ত মাড়ি
(D) গলা ব্যথা
উত্তর : (D) গলা ব্যথা
20. ম্যালেরিয়া রোগে উচ্চ তাপমাত্রার কারণ
(A) রক্ত জালকের মধ্যে স্পোরোজয়েটের প্রবেশ
(B) লোহিত কণিকা থেকে মেরোজয়েটের নির্গমন
(C) ক্রিপটোমোজয়েটের লোহিত কণিকায় প্রবেশ
(D) মেরোজয়েটসের লোহিত কণিকায় প্রবেশ
উত্তর : (A) রক্ত জালকের মধ্যে স্পোরোজয়েটের প্রবেশ
21. অ্যান্টিবডি হল একটি যৌগিক
(A) প্রোস্টাগ্লান্ডিন
(B) গ্লাইকোপ্রোটিন
(C) স্টেরয়েড
(D) লিপিওপ্রোটিন
উত্তর : (B) গ্লাইকোপ্রোটিন
22. হেপাটাইটিস B-এর অপর নাম
(A) ক্যাটারাছাল জন্ডিস
(B) সিরাম জন্ডিস
(C) এপিডেমিক জন্ডিস
(D) কোনোটিই নয়
উত্তর : (B) সিরাম জন্ডিস
23. ইমিউনোলজির জনক কে?
(A) Louis Pasteur
(B) Edward Jenner
(C) Ferdinand Kohn
(D) Robert Koch
উত্তর : (B) Edward Jenner
24. যে ব্যাকটেরিয়ার জন্য যক্ষ্মা রোগ হয়, তা হল
(A) Mycobacterium
(B) Streptococcus
(C) Pneumococcus
(D) Salmonella
উত্তর : (A) Mycobacterium
25. অনাক্রম্যতা গঠিত হয় যার দ্বারা
(A) রসভিত্তিক এবং কোশভিত্তিক অনাক্রম্যতা
(B) অ্যান্টিজেন ইনডিউসড অনাক্রম্যতা
(C) রসভিত্তিক তন্ত্র
(D) রক্তভিত্তিক এবং ফাইব্রাস তন্ত্র
উত্তর : (A) রসভিত্তিক এবং কোশভিত্তিক অনাক্রম্যতা
B) অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন: [প্রশ্ন মান 1]
1. কাকে অনাক্রম্যবিদ্যার জনক বলা হয়?
উত্তর : এডওয়ার্ড জেনার (Edward Jenner)।
2. অ্যান্টিবডির চেন দুটি কী দিয়ে সংলগ্ন থাকে?
উত্তর : ডাইসালফাইড বন্ড (Disulfide bond)।
3. অ্যান্টিবডি কত প্রকারের হয়?
উত্তর : পাঁচ প্রকারের।
4. একটি অ্যান্টিজেনের উদাহরণ দাও।
উত্তর : ফরস্ম্যান অ্যান্টিজেন l
5. ডিপথেরিয়া রোগের রোগজীবাণুর নাম কী?
উত্তর :কোরাইনিব্যাকটেরিয়াম ডিফথেরিয়া (Corynebacterium diphtheriae)।
6. যক্ষ্মা রোগের ভ্যাকসিনের নাম কী?
উত্তর : BCG (Bacille Calmette-Guérin) ভ্যাকসিন।
7. AIDS-এর পুরো নাম কী?
উত্তর : Acquired Immunodeficiency Syndrome।
৪. ডেঙ্গু ভাইরাসের বাহক পতঙ্গের নাম কী?
উত্তর :স্ত্রী এডিস মশা (Aedes aegypti)।
9. কোন্ তন্ত্র মানুষের রোগাক্রমণকে প্রতিহত করে?
উত্তর : অনাক্রম্যতন্ত্র (Immune system)।
10. রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণু, ভাইরাস ইত্যাদি বিজাতীয় পদার্থের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলাকে কী বলে?
উত্তর : অনাক্রম্যতা (Immunity)।
11. অ্যান্টিজেন কত প্রকার ও কী কী?
উত্তর : অ্যান্টিজেন মূলত দুই প্রকার: এক্সোজেনাস অ্যান্টিজেন (Exogenous antigen) এবং এন্ডোজেনাস অ্যান্টিজেন (Endogenous antigen)।
12. এক্সোজেনাস অ্যান্টিজেনের উদাহরণ দাও।
উত্তর : ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, পরাগরেণু, ধুলিকণা ইত্যাদি যা দেহের বাইরে থেকে প্রবেশ করে।
13. এন্ডোজেনাস অ্যান্টিজেনের উদাহরণ দাও।
উত্তর : ফরস্ম্যান অ্যান্টিজেন l।
14. অ্যান্টিবডি কত রকমের?
উত্তর : অ্যান্টিবডি পাঁচ রকমের: IgA, IgM, IgG, IgE, IgD।
15.অ্যান্টিবডিতে ক-টি পলিপেপটাইড চেন থাকে?
উত্তর : চারটি (দুটি ভারী চেন ও দুটি হালকা চেন)।
16. অ্যান্টিবডির প্রতিটি ভারী চেনে কতকগুলি অ্যামাইনো অ্যাসিড থাকে।
উত্তর : প্রায় 440টি অ্যামাইনো অ্যাসিড।
17. চেনের প্রতিটি অর্ধাংশ কী দিয়ে যুক্ত থাকে?
উত্তর : S-S বন্ধনী দিয়ে (ডাইসালফাইড বন্ড Disulfide bond)।
18. উভয় চেনের অগ্রভাগের অংশকে কী বলে?
উত্তর : V অঞ্চল (Fab region) বা অ্যান্টিজেন বাইন্ডিং সাইট।
19. ইমিউন রেসপন্স কত রকমের?
উত্তর : ইমিউন রেসপন্স মূলত দুই রকমের: রসভিত্তিক অনাক্রম্যতা (Humoral immunity) এবং কোশভিত্তিক অনাক্রম্যতা (Cell-mediated immunity)।
20. DPT-র পুরো নাম কী?
উত্তর : Diphtheria, Pertussis, Tetanus।
21. BCG-র পুরো নাম কী?
উত্তর : Bacille Calmette-Guérin।
22. OPV-র পুরো নাম কী?
উত্তর : Oral Polio Vaccine।
23. MMR-এর পুরো নাম কী?
উত্তর : Measles, Mumps, Rubella।
24. TT-র পুরো নাম কী?
উত্তর : Tetanus Toxoid।
25. দুটি পরজীবী আক্রান্ত রোগের নাম কী?
উত্তর : ম্যালেরিয়া এবং আমাশা ।
26. নিউমোনিয়া রোগের জীবাণুর নাম কী?
উত্তর : ডিপ্লোকক্কাস নিউমোনিয়ে (Diplococcus pneumoniae)।
27. লক-জ কোন্ রোগের অপর নাম? এই রোগের জীবাণুর নাম কী?
উত্তর : লক-জ (Lockjaw) হল টিটেনাস (Tetanus) রোগের অপর নাম। এই রোগের জীবাণুর নাম ক্লসট্রিডিয়াম টিটেনি (Clostridium tetani)।
28. Mycobacterium tuberculosis কোন্ রোগের জীবাণু?
উত্তর : যক্ষ্মা (Tuberculosis)।
29. দুটি ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রোগের নাম কী?
উত্তর : নিউমোনিয়া এবং টিটেনি ।
30. হেপাটাইটিস-B রোগের ভাইরাসের নাম কী?
উত্তর : হেপাটাইটিস B ভাইরাস (HBV)।
31. দুটি পরজীবী ঘটিত রোগের নাম কী?
উত্তর : ম্যালেরিয়া এবং আমাশা ।
32. অনাক্রম্যতায় অংশ নেয় এমন একটি উৎসেচকের উদাহরণ দাও।
উত্তর : লাইসোজাইম (Lysozyme)।
33. ক্ষত পরিষ্কারের জন্য কী রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়?
উত্তর : বিটাডিন ।
34. HIV-র পুরো নাম কী?
উত্তর : Human Immunodeficiency Virus।
35. দুটি আদ্যপ্রাণী ঘটিত রোগের নাম কী?
উত্তর : ম্যালেরিয়া এবং কালাজ্বর (বা অ্যামিবিয়াসিস)।
36. দুটি ভাইরাস আক্রান্ত রোগের নাম কী?
উত্তর : AIDS এবং পোলিও ।
37. কোন্ ভ্যাকসিন হেপাটাইটিস-B রোগ সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে?
উত্তর : হেপাটাইটিস B ভ্যাকসিন (HBV)।
38. কোশভিত্তিক অনাক্রম্যতায় কোন্ ধরনের লিম্ফোসাইট কোশ সক্রিয় হয়?
উত্তর : T-লিম্ফোসাইট (T-lymphocytes)।
39. রসভিত্তিক অনাক্রম্যতায় কোন্ প্রকার লিম্ফোসাইট কার্যকরী হয়?
উত্তর : B-লিম্ফোসাইট (B-lymphocytes)।
40. প্লাজমা কোশ কোন্ অ্যান্টিবডি সৃষ্টি করে?
উত্তর : গামা গ্লোবিউলিন।
41. প্রথম কোন্ বিজ্ঞানী কোন্ রোগের টিকা আবিষ্কার করেন?
উত্তর : এডওয়ার্ড জেনার (Edward Jenner) বসন্ত রোগের টিকা আবিষ্কার করেন।
42. পুষ্টিগত উপাদানের অভাবজনিত দুটি রোগের নাম করো।
উত্তর : রাতকানা (ভিটামিন A এর অভাব) এবং স্কার্ভি (ভিটামিন C এর অভাব) বা কোয়াশিয়রকর (প্রোটিনের অভাব)।
43. ডায়ারিয়ার রোগজীবাণুর নাম কী?
উত্তর : Escherichia coli, Salmonella, Shigella, Vibrio cholerae ইত্যাদি।
44. ম্যালেরিয়ার রোগজীবাণুর নাম কী?
উত্তর : প্লাজমোডিয়াম (Plasmodium) প্রজাতির আদ্যপ্রাণী (যেমন – Plasmodium vivax, Plasmodium falciparum)।
C) শূন্যস্থান পূরণ কর :
1. পলিস্যাকারাইড একপ্রকারের __________।
উত্তর : অ্যান্টিজেন।
2. ইমিউনোগ্লোবিউলিন একপ্রকারের __________।
উত্তর : প্রোটিন।
3. রক্তের মনোসাইট একপ্রকারের __________ সেল।
উত্তর : শ্বেত রক্তকণিকা।
4. অ্যান্টিবডি দেখতে __________ এর মতো।
উত্তর : Y অক্ষরের।
5. অ্যান্টিবডির রাসায়নিক প্রকৃতি হল __________।
উত্তর : পলিপেপটাইড ।
6. টিটেনাস রোগের জীবাণু হল __________।
উত্তর : Clostridium tetani।
7. HIV হল __________ রোগের ভাইরাস।
উত্তর : AIDS।
8. ORS পান করতে হয় __________ রোগে।
উত্তর : ডায়ারিয়া।
9. অ্যান্টিজেন অনাক্রম্যতন্ত্রকে __________ করে।
উত্তর : ধ্বংস।
10. ফুলের রেণু হল একপ্রকার __________।
উত্তর : এক্সোজেনাস অ্যান্টিজেন।
11. অ্যান্টিবডিতে __________ ভারী শৃঙ্খল ও __________ হালকা শৃঙ্খল থাকে।
উত্তর : দুটি, দুটি।
12. অ্যান্টিবডি সাধারণত __________ জাতীয় প্রোটিন।
উত্তর : গ্লাইকোপ্রোটিন।
13. __________ সর্বপ্রথম জলাতঙ্ক রোগের টিকা প্রস্তুত করেন।
উত্তর : লুই পাস্তুর।
14. গুদামজাত শস্য বিনষ্টকারী পতঙ্গাদের দমনে __________ নামক প্রোটোজোয়া ব্যবহার করা হয়।
উত্তর : নোসিমা (Nosema)।
15. বিন জাতীয় উদ্ভিদের মূলে __________ নামক মিথোজীবী ব্যাকটেরিয়া থাকে।
উত্তর : রাইজোবিয়াম।
16. মটর গাছের মূলে বসবাসকারী মিথোজীবী ব্যাকটেরিয়াটি হল __________।
উত্তর : রাইজোবিয়াম ।
17. ডেঙ্গু রোগের অপর নাম __________।
উত্তর : ব্রেক-বোন ফিভার।
18. অনাক্রম্যবিদ্যার জনক হলেন __________।
উত্তর : এডওয়ার্ড জেনার।
19. ভ্যাকসিন প্রয়োগে __________ রোগটি পৃথিবী থেকে সম্পূর্ণ নির্মূল হয়েছে।
উত্তর : গুটি বসন্ত।
20. অর্কিড জাতীয় উদ্ভিদের মূলে __________ গঠিত না হলে স্বাভাবিক বৃদ্ধি সম্ভব হয় না।
উত্তর : মাইকোরাইজা।
21. মাইকোরাইজার __________ মাটি দৃঢ় ভাবে আঁকড়ে রেখে ভূমি ক্ষয় রোধ করে।
উত্তর : অনুসূত্র।
22. নস্টক হল একটি __________ সায়ানোব্যাকটেরিয়া।
উত্তর : স্বাধীনজীবি।
23. মাইকোরাইজা বোদ বা __________ সৃষ্টি করে।
উত্তর : হিউমাস।
24. __________ নামক ছত্রাক পাইন গাছের মূলে বসবাস করে।
উত্তর : মাইকোরাইজা ।
D) সত্য (T) বা মিথ্যা(F) নির্ধারণ করো :
1. ম্যালেরিয়া রোগের প্যাথোজেনের নাম ডিপ্লোকক্কাস।
উত্তর : (F) মিথ্যা।
2. তড়িৎ শক্তি একপ্রকার ভৌত এজেন্ট।
উত্তর : (T) সত্য।
3. Vitamin B12 উৎপাদনে ব্যাকটেরিয়া ব্যবহার করা হয়।
উত্তর : (T) সত্য।
4. নস্টক স্বাধীনজীবী সায়ানোব্যাকটেরিয়া।
উত্তর : (T) সত্য।
5. লুই পাস্তুর জলবসন্ত রোগের টিকা আবিষ্কার করেন।
উত্তর : (F) মিথ্যা।
6. অ্যান্টিবডি দেহ প্রতিরক্ষায় অংশগ্রহণ করে না।
উত্তর : (F) মিথ্যা।
7. নিউট্রোফিল, মনোসাইট ফ্যাগোসাইটোসিসে অংশ নেয়।
উত্তর : (T) সত্য।
৪. IgA অ্যান্টিবডিকে ম্যাটারন্যাল অ্যান্টিবডি বলে।
উত্তর : (F) মিথ্যা।
9. অন্ত্রে বসবাসকারী E. coli ব্যাকটেরিয়া ভিটামিন B12 সংশ্লেষ করে।
উত্তর : (T) সত্য।
10. দেহে বিজাতীয় বস্তু প্রবেশ করলে ম্যাক্রোফাজ তাদের ফ্যাগোসাইটোসিস পদ্ধতিতে আত্মসাৎ করে।
উত্তর : (T) সত্য।
11. এডিস মশকী ম্যালেরিয়া রোগ ছড়ায়।
উত্তর : (F) মিথ্যা।
12. অ্যাজোলা একধরনের নীলাভ সবুজ শৈবাল।
উত্তর : (F) মিথ্যা।
13. সজীব ছত্রাক এবং শৈবালের সহাবস্থানকে মাইকোরাইজা বলে।
উত্তর : (F) মিথ্যা।
14. বোতলের জলের স্বচ্ছতা বজায় রাখতে পেকটিনেজ মেশানো হয়।
উত্তর : (T) সত্য।
15. বেকারি শিল্পে ময়দার মন্ডের সঙ্গে ইস্ট মেশানো হয়।
উত্তর : (T) সত্য।
16. ব্যাসিলাস পলিমিক্সা একটি স্বাধীনজীবী ব্যাকটেরিয়া।
উত্তর : (T) সত্য।
E) প্রথম জোড়টির সম্পর্ক বুঝে দ্বিতীয় জোড়টির শূন্যস্থানে উপযুক্ত শব্দ বসাও :
1. রসনির্ভর অনাক্রম্যতা : B কোশ : : কোশনির্ভর অনাক্রম্যতা : ___________ l
উত্তর : T কোশ l
2. লুই পাস্তুর : জলাতঙ্ক রোগ :: এডওয়ার্ড জেনার : ___________ l
উত্তর : গুটি বসন্ত
3. AIDS : HIV : : ডেঙ্গু : ___________ l
উত্তর : ফ্ল্যাভি ভাইরাস (Flavi Virus) l
। 4. পোলিও : OPV : : যক্ষ্মা : ___________ l
উত্তর : BCG l
F) বিসদৃশটি বেছে লেখো :
1. IgG, IgD, IgM, IgE ।
উত্তর : IgM
2. টিটেনাস, যক্ষ্মা, ডেঙ্গু, নিউমোনিয়া ।
উত্তর : ডেঙ্গু
3. ম্যালেরিয়া, ডিপথেরিয়া,নিউমোনিয়া, টিটেনাস।
উত্তর : ম্যালেরিয়া
4. ডেঙ্গু, হেপাটাইটিস-A, যক্ষ্মা, হেপাটাইটিস-B ।
উত্তর : যক্ষ্মা
5. ডেঙ্গু, হেপাটাইটিস, ম্যালেরিয়া, AIDS l
উত্তর : ম্যালেরিয়া
6. Boletus eduhis, Laccaria laccata, Amanita muscaria, Glomus
উত্তর : Glomus
7.ক্লোরামফেলিকল, টেট্রাসাইক্লিন, ক্লসট্রিডিয়াম, টেরামাইসিন।
উত্তর : ক্লসট্রিডিয়াম
G) অন্তর্গত বিষয়টি খুঁজে বার করো :
1. অ্যাজোটোব্যাকটার, ক্লসট্রিডিয়াম, ব্যাসিলাস পলিমিক্সা, মুক্তজীবী ব্যাকটেরিয়া।
উত্তর : মুক্তজীবী ব্যাকটেরিয়া
2. Bacillus, Calmette, Guerin, BCG ।
উত্তর : BCG
3. Diptheria, Pertussis, Tetanus, DPT ।
উত্তর : DPT
4. AIDS, ডায়ারিয়া, নিউমোনিয়া, ওজন হ্ৰাস ।
উত্তর : ওজন হ্ৰাস
H) বাম ও ডান স্তম্ভ মিলাও :
1.বাম স্তম্ভ ও ডান স্তম্ভের উত্তরগুলি মিলিয়ে দেওয়া হল :
বাম স্তম্ভ | ডান স্তম্ভ |
i. সায়ানোব্যাকটেরিয়া | b. অলোসিরা |
ii. পাইনাস | e. মাইকোরাইজা |
iii. অ্যান্টিবায়োটিক | a. নিওমাইসিন |
iv. HBV ভ্যাকসিন | c. হেপাটাইটিস B |
2.বাম স্তম্ভ ও ডান স্তম্ভের উত্তরগুলি মিলিয়ে দেওয়া হল :
বাম স্তম্ভ | ডান স্তম্ভ |
i. এপিটোপ | d. অ্যান্টিজেন |
ii. প্যারাটোপ | a. অ্যান্টিবডি b. |
iii. রসনির্ভর অনাক্রম্যতা | B-লিম্ফোসাইট |
iv. কোষনির্ভর অনাক্রম্যতা | c. T-লিম্ফোসাইট |
3.বাম স্তম্ভ ও ডান স্তম্ভের উত্তরগুলি মিলিয়ে দেওয়া হল :
বাম স্তম্ভ | ডান স্তম্ভ |
i. অমরা অতিক্রম করতে পারে | d. IgG |
ii. কোলোস্টামে উপস্থিত | a. IgA |
iii. প্রোটোজোয়াঘটিত রোগ | e. ম্যালেরিয়া |
iv. ব্যাকটেরিয়াঘটিত রোগ | c. ডিপথেরিয়া |
4.বাম স্তম্ভ ও ডান স্তম্ভের উত্তরগুলি মিলিয়ে দেওয়া হল :
বাম স্তম্ভ | ডান স্তম্ভ |
i. BCG | b. যক্ষ্মার টিকা |
ii. DPT | c. ডিপথেরিয়া টিকা |
iii. OPV | d. ওরাল পোলিও টিকা |
iv. MMR | e. হামের টিকা |
I) সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন: [প্রশ্নমান-2]
1. ইমিউনিটি কাকে বলে?
উত্তর : আমাদের দেহে কোনো ক্ষতিকর জীবাণু, ভাইরাস বা কোনো টক্সিক পদার্থ প্রবেশ করলে দেহ এক বিশেষ ব্যবস্থার সাহায্যে তাদের নির্মূল করে বা ধ্বংস করে। এই বিশেষ পদ্ধতিকে ইমিউনিটি বা অনাক্রম্যতা (Immunity) বলে।
2. অ্যান্টিজেন কাকে বলে?
উত্তর : যেসব বিজাতীয় পদার্থ দেহে প্রবেশ করলে অ্যান্টিবডি সৃষ্টি হয় তাদের অ্যান্টিজেন বলে। অ্যান্টিজেনের আণবিক গুরুত্ব 10,000 ডালটনের অধিক হওয়া উচিত। যেমন—প্রোটিন, বৃহদাকার পলিস্যাকারাইড, বৃহদাকার লাইপোপ্রোটিন, নিউক্লিয় প্রোটিন ইত্যাদি।
3. অ্যান্টিবডি কাকে বলে?
উত্তর : দেহের মধ্যে বাইরে থেকে অ্যান্টিজেন প্রবেশ করলে তাদের বাধা দেওয়ার জন্য যেসব প্রোটিনের আবির্ভাব ঘটে তাদের অ্যান্টিবডি বলে। সব অ্যান্টিবডিই গ্লোবিউলিন নামে পরিচিত। এদের আণবিক ওজন 1,50,000-9,00,000-এর মধ্যে সীমিত। প্লাজমা প্রোটিনের প্রায় 20 শতাংশ ইমিউনোগ্লোবিউলিন।
4. MMR-এর পুরো নাম কী?
উত্তর : MMR-এর পুরো নাম হলো Measles, Mumps, Rubella l এই ভ্যাকসিনটি হাম, রুবেলা ও মাম্পস্-এর বিরুদ্ধে সুরক্ষা প্রদান করে।
5. ডায়ারিয়ার দুটি উপসর্গ উল্লেখ করো ।
উত্তর : উপসর্গগুলি হল –
(i) কখনও কখনও উদরাময়ের সঙ্গে গা বমি-বমি ভাব বা বমি হতে পারে।
(ii) দুর্বলতা, হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যাওয়া, শুষ্কতা (dehydration) ইত্যাদি লক্ষণ প্রকাশ পায় ।
6. টিটেনাসের প্রতিকারের উপায় কী?
উত্তর : Tetanus Toxoid ভ্যাকসিন এই রোগের একমাত্র প্রতিষেধক।
7. অ্যান্টিবডি কত প্রকারের?
উত্তর : দেহে পাঁচ রকমের ইমিউনোগ্লোবিউলিন অর্থাৎ অ্যান্টিবডি দেখা যায়। এগুলি হল IgG, IgA, IgM, IgD, IgE |
৪. এক্সোজেনাস ও এন্ডোজেনাস অ্যান্টিবডি কাকে বলে?
উত্তর : এক্সোজেনাস অ্যান্টিজেন (Exogenous antigen) : যেসব অ্যান্টিজেন প্রাণীদেহের বাইরে উৎপন্ন হয়, তাদের এক্সোজেনাস অ্যান্টিজেন বলে। যেমন— পরাগরেণু, দূষক পদার্থ, ভেষজ পদার্থ, রোগসৃষ্টিকারী জীবাণু ইত্যাদি।
এন্ডোজেনাস অ্যান্টিজেন (Endogenous antigen ) : যেসব অ্যান্টিজেন প্রাণীদেহের ভিতরে উৎপন্ন হয় তাদের এন্ডোজেনাস অ্যান্টিজেন বলে। যেমন—ইঁদুর, বেড়াল, ভেড়া, ঘোড়া প্রভৃতির লোহিতকণিকায় অবস্থিত ফরম্যান অ্যান্টিজেন (forssman antigen), স্তন্যপায়ী প্রাণীর হৃৎপিণ্ডে অবস্থিত কার্ডিওলিপিন (cardiolipin) অ্যান্টিজেন এইরকমের অ্যান্টিজেন।
9. ডেঙ্গু জ্বরের দুটি লক্ষণ উল্লেখ করো।
উত্তর : ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ গুলি হল –
(i) মাথার যন্ত্রণাসহ প্রবল জ্বর।
(ii) গাঁটে গাঁটে ব্যথা, হাড় ভেঙে যাওয়ার মতো যন্ত্রণা ।
(iii) তাপমাত্ৰা 104°F – 105°F হয়।
(iv) পেশিতে ব্যথা।
10. ইন্টারফেরন অনাক্রম্যতা কাকে বলে ?
উত্তর : যে অনাক্রম্যতায় ভাইরাস আক্রান্ত কোশ থেকে ইন্টারফেরন নিঃসৃত হয়ে ভাইরাসের বিভাজনকে রোধ করে তাকে ইন্টারফেরন অনাক্রম্যতা বলে।
11. কোশভিত্তিক অনাক্রম্যতা কীভাবে কাজ করে?
উত্তর :

12. রসভিত্তিক অনাক্রম্যতা কীভাবে কাজ করে?
উত্তর :

13. হেপাটাইটিস-B সংক্রমণের দুটি কারণ লেখো।
উত্তর : রোগীর ব্যবহৃত সিরিঞ্জ ও ছুঁচ থেকে; রোগীর ব্যবহৃত ব্লেড থেকে; মার দেহ থেকে শিশুর দেহে বিশেষ করে গর্ভকালীন অবস্থায় ; অসুরক্ষিত যৌন সঙ্গম; আক্রান্ত রোগীর থেকে রক্ত নেওয়া।
14. বুস্টার ডোজ কাকে বলে?
উত্তর : দেহে বেশি পরিমাণে অ্যান্টিবডি সৃষ্টির জন্য প্রথমে একবার ভ্যাকসিন দেওয়ার পর নির্দিষ্ট সময় ব্যবধানে যে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়, তাকে বুস্টার ডোজ বলে।
15. ধৌতকরণের কয়েকটি উপাদান উল্লেখ করো ।
উত্তর : ধৌতকরণের জন্য বিভিন্ন উপাদানের প্রয়োজন হয়। যেমন—(i) দাঁত মাজা ও মুখ ধোয়ার জন্য টুথপেস্ট (tooth paste)। (ii) হাত-মুখ ধোয়ার জন্য জীবাণুনাশক সাবান (যেমন—লাইফবয়, ডেটল সাবান, নিম সাবান ইত্যাদি)। (iii) স্নানের সময় সারাদেহ পরিষ্কার করার জন্য নানারকমের সুগন্ধি ও জীবাণুনাশক সাবান, যেমন – লাইফবয়, মার্গো সাবান, ডেটল সাবান, লাক্স, ভিভেল সাবান, গোদরেজ সাবান, ডাভ সাবান ইত্যাদি। (iv) পোশাক-পরিচ্ছদ পরিষ্কার করার জন্য বিভিন্ন প্রকারের ডিটারজেন্ট। (v) ক্ষতস্থান ধোয়ার জন্য অ্যান্টিসেপটিক লোশন, যেমন— ডেটল, স্যাভলন, স্পিরিট, বিটাডিন ইত্যাদি ।
16. এপিটোপ ও প্যারাটোপ কী ?
উত্তর : এপিটোপ : অ্যান্টিজেনের যে নির্দিষ্ট অংশের সঙ্গে অ্যান্টিবডি সংযুক্ত হয়, তাকে এপিটোপ বলে।
প্যারাটোপ : অ্যান্টিবডির উভয় চেনের অগ্রভাগে পরিবর্তনশীল অঞ্চল বা v-অঞ্চল থাকে। এই অঞ্চলে অ্যান্টিজেন বন্ধনকারী স্থান থাকে, যাকে প্যারাটোপ বলা হয়।
17. OPV-এর পুরো নাম কী?
উত্তর : পোলিও (OPV) ভ্যাকসিন এর পুরো নাম হলো Oral Polio Vaccine l পোলিও প্রতিরোধ করে।
18. MMR-এর পুরো নাম কী?
উত্তর : MMR-এর পুরো নাম হলো Measles, Mumps, Rubella l এই ভ্যাকসিনটি হাম, রুবেলা ও মাম্পস্-এর বিরুদ্ধে সুরক্ষা প্রদান করে।
19. অ্যান্টিজেন ও অ্যান্টিবডির দুটি পার্থক্য লেখো ।
উত্তর :

20. ইমিউন রেসপন্স কাকে বলে?
উত্তর : কোনো রোগ-জীবাণু, ভাইরাস বা বিষাক্ত পদার্থ দেহের মধ্যে প্রবেশ করলে আমাদের ইমিউন তন্ত্র ওই রোগজীবাণু, ভাইরাস কিংবা বিষাক্ত পদার্থকে নিষ্ক্রিয় বা ধ্বংস করার জন্য যে প্রতিরক্ষামূলক সাড়া জাগায় তাকে অনাক্রম্যতাজনিত সাড়া বা ইমিউন রেসপন্স বলে।
21. কোশভিত্তিক অনাক্রম্যতা কীভাবে কাজ করে?
উত্তর : ১১ নম্বর প্রশ্নের উত্তর l
22. রসভিত্তিক অনাক্রম্যতা কীভাবে কাজ করে?
উত্তর : ১২ নম্বর প্রশ্নের উত্তর l
23. ডায়ারিয়া বা উদরাময়ের দুটি উপসর্গ উল্লেখ করো।
উত্তর : ৫ নম্বর প্রশ্নের উত্তর l
24. ম্যালেরিয়া রোগের প্রধান তিনটি লক্ষণ কী কী ?
উত্তর : (i) শীতাবস্থা : প্রচণ্ড শীত করে এবং কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে। (ii) তাপ অবস্থা : 103°- 104°F জ্বর হয়, অর্থাৎ উচ্চ তাপমাত্রা। (iii) ঘাম দিয়ে জ্বর ছেড়ে যায়, তখন শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। ঘামে পোশাক ভিজে যায়। এই তিনটি রোগলক্ষণকে একত্রে ফেব্রাইল পারক্সিজোম বলা হয় ।
J) দীর্ঘ উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন: প্রশ্নমান-5
1. অ্যান্টিবডির গঠন চিত্রের সাহায্যে বর্ণনা করো।
উত্তর : অ্যান্টিবডি Y আকৃতিবিশিষ্ট পলিপেপটাইড শৃঙ্খল- বিশেষ। অধিকাংশ অ্যান্টিবডিতে দু-জোড়া পেপটাইড চেন থাকে। এদের দুটি ভারী চেন বা H-চেন এবং দুটি হালকা চেন বা L-চেন থাকে। প্রতিটি ভারী চেন 400টির অধিক অ্যামাইনো অ্যাসিড এবং প্রতিটি হালকা চেন 200টি অ্যামাইনো অ্যাসিড নিয়ে গঠিত। চারটি পেপটাইড চেন পরস্পর ডাইসালফাইড বন্ড (SS) দ্বারা সংলগ্ন হয়ে ‘Y’ আকৃতির গঠন সৃষ্টি করে। প্রতিটি অর্ধাংশ একটি হালকা চেন ও একটি ভারী চেন নিয়ে গঠিত, তারা s s বন্ধনী দিয়ে যুক্ত। ভারী ও হালকা চেনের মধ্যে দুটি সুস্পষ্ট অঞ্চল থাকে। উভয় চেনের অগ্রভাগে পরিবর্তনশীল অঞ্চল বা v-অঞ্চল থাকে। এই অঞ্চলে অ্যান্টিজেন বন্ধনকারী স্থান থাকে, যাকে প্যারাটোপ বলা হয়। এটি অ্যান্টিজেনের এপিটোপ অঞ্চলের সাথে যুক্ত হয়। প্রতিটি পলিপেপটাইড বন্ধনীর অবশিষ্ট অংশকে ধ্রুবক বা অপরিবর্তনশীল অংশ বা কনস্ট্যান্ট অঞ্চল বা C-অঞ্চল বলে।

2. অ্যান্টিজেন ও অ্যান্টিবডির পার্থক্য দেখাও।
উত্তর :
বিষয় | অ্যান্টিজেন | অ্যান্টিবডি |
১. প্রকৃতি | প্রধানত প্রোটিন বা পলিস্যাকারাইডধর্মী। | প্রধানত গ্লোবিউলিন জাতীয় প্লাজমাপ্রোটিন দ্বারা তৈরি। |
২. সক্রিয় স্থান | এদের সক্রিয় স্থানকে এপিটোপ বলে। এর সাহায্যে অ্যান্টিবডির সঙ্গে যুক্ত হয়। | এদের সক্রিয় স্থানটিকে প্যারাটোপ বলে। এর সাহায্যে অ্যান্টিজেনের সঙ্গে যুক্ত হয়। |
৩. কাজ | অ্যান্টিবডি উৎপাদন করে। | অ্যান্টিজেনকে ধ্বংস করে। |
৪. উৎসস্থল | এরা সাধারণত বহিরাগত বস্তু, যা অ্যান্টিবডি তৈরিতে উদ্দীপনা জোগায়। | রক্তের প্লাজমায় উপস্থিত যা নির্দিষ্ট অ্যান্টিজেনের বিরুদ্ধে কাজ করে। |
৫. বৈশিষ্ট্য | অ্যান্টিজেন রোগ সৃষ্টি করে বা অ্যালার্জি সৃষ্টি করে। | দেহকে রোগজীবাণুর হাত থেকে রক্ষা করে। |
৬ . প্রকারভেদ | চার প্রকার—এন্ড্রোজেনাস অ্যান্টিজেন, এক্সোজেনাস অ্যান্টিজেন, অটোঅ্যান্টিজেন ও নিওঅ্যান্টিজেন। | অ্যান্টিবডি পাঁচ প্রকার—IgG, IgM, IgE, IgD, IgA। |
3. বিভিন্ন রকমের টিকার নাম ও যে রোগে ব্যবহৃত হয় তার নাম উল্লেখ করো।
উত্তর : (i) DPT (Diptheria, Pertussis, Tetanus) : এই টিকাটি ডিপথেরিয়া, হুপিং কাফ এবং টিটেনাসের বিরুদ্ধে সুরক্ষা প্রদান করে।
(ii) BCG (Bacillus Calmette, Guerin) : এই টিকাটি যক্ষ্মা বা টিউবারকিউলোসিসের বিরুদ্ধে সুরক্ষা প্রদান করে।
(iii) পোলিও (OPV) ভ্যাকসিন (Oral Polio Vaccine) : পোলিও প্রতিরোধ করে।
(iv) টাইফয়েড ভ্যাকসিন (Typhoid Vaccine) : টাইফয়েড প্রতিরোধ করে।
(v) হেপাটাইটিস B ভ্যাকসিন (Hepatitis B Vaccine) : হেপাটাইটিস B প্রতিরোধ করে।
(vi) নিউমোকক্কাল ভ্যাকসিন (Pneumo coccal Vaccine) : নিউমোনিয়া প্রতিরোধ করে।
(vi) MMR (Measles, Mumps, Rubella) : এই ভ্যাকসিনটি হাম, রুবেলা ও মাম্পস্-এর বিরুদ্ধে সুরক্ষা প্রদান করে।
(vii) TT (Tetanus toxoid) : এই ভ্যাকসিনটি টিটেনাসের বিরুদ্ধে সুরক্ষা প্রদান করে।
4. ম্যালেরিয়া রোগের উপসর্গ ও প্রতিকার উল্লেখ করো।
উত্তর :
ম্যালেরিয়া রোগের উপসর্গ :
(i) শীতাবস্থা : প্রচণ্ড শীত করে এবং কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে।
(ii) তাপ অবস্থা : 103°- 104°F জ্বর হয়, অর্থাৎ উচ্চ তাপমাত্রা।
(iii) ঘাম দিয়ে জ্বর ছেড়ে যায়, তখন শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। ঘামে পোশাক ভিজে যায়। এই তিনটি রোগলক্ষণকে একত্রে ফেব্রাইল পারক্সিজোম বলা হয় ।
ম্যালেরিয়া রোগের প্রতিকার : ম্যালেরিয়া শনাক্ত হলে এর ধরন এবং সংক্রমণের তীব্রতার ওপর এই রোগের চিকিৎসা নির্ভর করে | সাধারণত তীব্রতা কম হলে চিকিৎসকরা খাওয়ার ওষুধ দিয়ে থাকেন | তবে সেরিব্রাল ম্যালেরিয়ার ক্ষেত্রে রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করে ইনজেকশনের মাধ্যমে চিকিৎসা প্রদান করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন ডাক্তাররা l
এই রোগের প্রতিকার গুলি হল –
1. ম্যালেরিয়ার মরশুমে বা ম্যালেরিয়া প্রবণ এলাকায় লম্বা হাতার জামাকাপড় পরার অভ্যাস করতে হবে।
2. সন্ধ্যার আগে ঘরের জানালা বন্ধ করতে হবে l
3. দিনে রাতে যে কোন সময় ঘুমানোর জন্য অবশ্যই মশারি বা মশার ওষুধ ব্যবহার করতে হবে |
4. মশা প্রতিরোধক ক্রিম বা স্প্রে ব্যবহার করতে হবে।
5. ঘরের আশেপাশে, বাগানে বা ছাদের কোথাও জল জমতে দেওয়া যাবে না, যাতে মশা বংশবিস্তার না করতে পারে l
5. দুটি ভাইরাসঘটিত রোগের উদাহরণ দাও।
উত্তর :
(i) ডেঙ্গু বা হাড় ভাঙা জ্বর (Dengue- Break bone fever)
প্যাথোজেনের প্রকৃতি: ডেঙ্গু ভাইরাস Flavivirus-এর আক্রমণে হয়।উপসর্গ: (i) মাথার যন্ত্রণাসহ প্রবল জ্বর। (ii) গাঁটে গাঁটে ব্যথা, হাড় ভেঙে যাওয়ার মতো যন্ত্রণা। (iii) পিঠে র্যাশ বের হয়। (iv) তাপমাত্রা 104°F – 105°F হয়। (v) পেশীতে ব্যথা। (vi) লসিকা গ্রন্থির স্ফীতি। (vii) মিউকাস পর্দা থেকে রক্তক্ষরণ হয় এবং অণুচক্রিকার হার কমে যায়।
সংক্রমণ পদ্ধতি: ডেঙ্গু ভাইরাস স্ত্রী এডিস মশা (Aedes aegypti) দ্বারা বাহিত হয়। মশকী যখন আক্রান্ত রোগীর রক্ত পান করে তখন ডেঙ্গু ভাইরাস মশকীর দেহে প্রবেশ করে। আক্রান্ত মশকী যখন সুস্থ লোকের রক্ত পান করে তখন ভাইরাস সুস্থ দেহে প্রবেশ করে, ফলে সুস্থ লোকটি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়।
(ii) হেপাটাইটিস A (Hepatitis A)
প্যাথোজেনের প্রকৃতি: HAV অর্থাৎ হেপাটাইটিস A ভাইরাস আক্রান্ত রোগ।
উপসর্গ: বমি-বমি ভাব, বমি, উদরাময়, হলুদ চর্ম, হলুদ প্রস্রাব (জন্ডিস), জ্বর, উদরে ব্যথা ইত্যাদি রোগলক্ষণ প্রকাশ পায়।
সংক্রমণ পদ্ধতি: এই রোগ সাধারণত আঁটা কাঁচা খাবার, অবিশুদ্ধ পানীয় জল, অন্যান্য পানীয় ইত্যাদির সঙ্গে আক্রান্ত রোগীর মল মিশে গেলে তা থেকে রোগ বিস্তার হয়।
6. যক্ষ্মা রোগের উপসর্গ ও সংক্রমণ পদ্ধতি উল্লেখ করো।
উত্তর :
উপসর্গ: (i) ওজন হ্রাস, দুর্বলতা। (ii) বহুদিন ধরে কাশি এবং কাশির সঙ্গে রক্ত ওঠা। (iii) জ্বর, বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট। (iv) ক্ষুধামান্দ্য। (v) বিকালে সামান্য জ্বর এবং রাতে ঘাম ।
সংক্রমণ পদ্ধতি: রোগীর কাশি, গয়ের বা স্পুটাম ইত্যাদির মাধ্যমে রোগ ছড়ায়। অর্থাৎ কফ বা থুথু থেকে মাছির সাহায্যে রোগ ছড়ায়।
7. রোগ নিরাময়ে ধৌতকরণের ভূমিকা ব্যাখ্যা করো।
উত্তর : দেহের বিভিন্ন স্থানের রোগজীবাণুদের দমন করার জন্য ধৌতকরণের ভূমিকাগুলি হল—
মুখ ধোয়া : রাতে খাবার পর দাঁতের ফাঁকে ফাঁকে খাবারের টুকরো আটকেথাকে। ওই খাবার জীবাণু দ্বারা পচে যায় এবং মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়। সময়মতো মুখ না ধুলে দাঁতের গোড়া আলগা হয়ে যায়, মাড়ি ফুলে যায় এবং পুঁজ-রক্ত বেরোতে থাকে। শেষে পায়োরিয়ার মতো কঠিন ব্যাধির সৃষ্টি হয়। অবশেষে দাঁত অকালে পড়ে যায়। এই জন্য সকালে উঠে ব্রাশ ও টুথপেস্টের সাহায্যে ভালো করে দাঁত ব্রাশ করা প্রয়োজন ৷ শেষে পরিষ্কার জল দিয়ে মুখ ও চোখ ধুয়ে নিতে হবে। সম্ভব হলে শোওয়ার পূর্বে একবার ব্রাশ করে নাও ।
হাত-পা ধোয়া : আমরা সারাদিন নানারকম কাজ করি, নানারকম দ্রব্য ব্যবহার করি, খেলাধুলা করি। ফলে বিভিন্ন অদৃশ্য রোগজীবাণু আমাদের হাতে-পায়ে লেগে থাকে। হাত ধুয়ে না খেলে ওইসব রোগজীবাণু খাবারের সঙ্গে আমাদের দেহে প্রবেশ করে এবং রোগাক্রমণ ঘটায়। সেইজন্য প্রতিবার খাওয়ার পূর্বে সাবান দিয়ে ভালো করে হাত-পা ধোয়া দরকার। এ ছাড়া খেলাধুলা করে এসে সাবান দিয়ে ভালো করে হাত-পা ধুয়ে নিয়ে ফ্রেস হয়ে, জামাকাপড় বদলে সন্ধ্যায় পড়তে বসবে।
স্নান : স্নান করলে যে কেবল দেহ পরিষ্কার হয় তাই নয়, দেহ শীতল ও নির্মল থাকে। সারা শরীরে সাবান দিয়ে পরিষ্কার জলে ধুয়ে নিতে হবে। তাহলে নানারকম চর্মরোগ – চুলকানি, খোস পাঁচড়া ইত্যাদির হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। শীতকালে উয়ু জলে স্নান করা স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো ।
পোশাক-পরিচ্ছদ ধৌতকরণ : আমাদের ব্যবহৃত পোশাকে নানারকম জীবাণু লেগে থাকে। তা ছাড়া ঘামে পোশাক ভিজেও দুর্গন্ধ হয়। তার থেকে ত্বকে ছত্রাক জন্মে, বিশেষ করে দাদ, হাজা প্রভৃতি রোগ সৃষ্টি হয়। এই জন্য প্রতিদিনের পরিহিত জামাকাপড় ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলা দরকার। তাহলে ছোঁয়াচে রোগ আক্রমণ কমে যাবে। বর্ষাকালে বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকে বলে ছত্রাকঘটিত রোগ বেশি হয়।
ক্ষতস্থান ধৌতকরণ : অনেক সময় খেলাধুলা করতে গিয়ে, মারামারি করতে গিয়ে দেহের ত্বক ছড়ে যায়, কখনও-বা হাত কেটে যায়। এসব ক্ষেত্রে তৎক্ষণাৎ জীবাণুনাশক বা অ্যান্টিসেপটিক ওষুধ দিয়ে পরিষ্কার করে ব্যান্ডেজ না করলে ওই ক্ষতস্থান দিয়ে রোগ-জীবাণু প্রবেশ করবে এবং ক্ষতস্থানকে বিষিয়ে দেবে। তাই ক্ষতস্থান স্যাভলন বা ডেটল বা বিটাডিন বা স্পিরিট দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এরপর কোনো অ্যান্টিবায়োটিক মলম লাগিয়ে গজ বসিয়ে ব্যান্ডেজ বেঁধে দিতে হবে।
৪. মানবকল্যাণে জীবাণুর চটি ভূমিকা উল্লেখ করো ।
উত্তর : জীবাণু (Microbes) যে আমাদের কেবল ক্ষতি করে তাই নয়, অনেক জীবাণু নানাভাবে আমাদের উপকারও করে। মানবকল্যাণে জীবাণুদের উল্লেখযোগ্য কয়েকটি ভূমিকা হল –
খাদ্যসামগ্রী উৎপাদনে : দই, পনির, মাখন, ঘোল, কেফির, কুমিসা, ইডলি, কিমচি, ফিস সস ইত্যাদি উৎপাদনের জন্য বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়াদের কাজে লাগানো হয়।
মদ্যশিল্পে : বিভিন্ন ফলের রস, খেজুরের রস ইত্যাদি গেঁজিয়ে মদ উৎপাদন করা হয়। গ্যাজানোর জন্য জীবাণুদের (ক্লসট্রিডিয়াম, লিউকোনস্টক, জাইমোমোনাস, সারসিনা ইত্যাদি প্রজাতির) ব্যবহার করা হয়।
ওষুধ উৎপাদনে : নানারকম অ্যান্টিবায়োটিক, যেমন- স্ট্রেপটোমাইসিন, নিওমাইসিন, এরিথ্রোমাইসিন, ক্লোরামফেনিকল, টেট্রাসাইক্লিন, অ্যাজিথ্রোমাইসিন, টেরামাইসিন ইত্যাদি উৎপাদনের জন্য নানান জীবাণুদের ব্যবহার করা হয়।
ভ্যাকসিন উৎপাদনে : যক্ষ্মা, কলেরা, প্লেগ, টিটেনাস, হুপিং কফ ইত্যাদির ভ্যাকসিন তৈরিতে মৃত বা জীবিত জীবাণুদের ব্যবহার করা হয়।
ভিটামিন উৎপাদনে : ভিটামিন B2, B12, ভিটামিন C উৎপাদনের জন্য বিশেষ কয়েকটি ব্যাকটেরিয়া ব্যবহার করা হয় ।
9. অনাক্রম্যতন্ত্র কাকে বলে? অনাক্রম্যতন্ত্রের অন্তর্গত কোশগুলি কী কী? ছকের সাহায্যে দেখাও।
উত্তর : বিভিন্ন কোশ ও তাদের সমন্বয়ে গঠিত যে তন্ত্র দেহকে রোগ আক্রমণের হাত থেকে এবং রোগসৃষ্টিকারী জীবাণুর ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে রক্ষা করে তাকে অনাক্রম্য তন্ত্র (Immunity System) বলে। Edward Jenner-কে অনাক্রম্যবিদ্যার জনক বলা হয়।

10. আদর্শ অ্যান্টিবডির গঠন চিত্রের সাহায্যে বর্ণনা করো।
উত্তর : 1 নম্বর প্রশ্নের উত্তর l
11. B-কোশ ও T-কোশের মধ্যে পার্থক্য দেখাও।
উত্তর :
বৈশিষ্ট্য | B কোশ | T কোশ |
১. নাম | B লিম্ফোসাইট | T লিম্ফোসাইট |
২. উৎপত্তি | অস্থিমজ্জা | থাইমাস |
৩. অবস্থান | লিম্ফ নোডের বাইরে | লিম্ফ নোডের অভ্যন্তরে |
৪. ঝিল্লি রিসেপটর | অ্যান্টিজেনের জন্য BCR (ইমিউনোগ্লোবুলিন) | অ্যান্টিজেনের জন্য TCR |
৫. সংযোগ | B- কোশ আক্রমণকারী ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার পৃষ্ঠে অ্যান্টিজেনের সাথে সংযোগ করতে পারে। | T- কোশ শুধুমাত্র সংক্রামিত কোশের বাইরের ভাইরাস অ্যান্টিজেনের সাথে সংযোগ করতে পারে। |
৬. টিস্যু বিতরণ | লিম্ফ নোড, প্লীহা, শ্বাসতন্ত্রের জীবাণু, এছাড়াও লিম্ফ নোডের সাবক্যাপসুলার এবং মেডুলারি কর্ড। | কর্টেক্সের প্যারাফোলিকুলার এলাকায় নোড প্লীহা মধ্যে Periarteriolar। |
৭. জীবন কাল | আয়ুষ্কাল কম। | আয়ুষ্কাল দীর্ঘতম। |
৮. সারফেস অ্যান্টিবডি | সারফেস অ্যান্টি বডি উপস্থিত। | পৃষ্ঠ অ্যান্টিবডি উপস্থিত। |
৯. সিক্রিশন | এরা অ্যান্টিবডি নিঃসরণ করে। | এরা লিম্ফোকাইন নিঃসরণ করে। |
১০. কাজ | B-কোশগুলি হিউমারাল বা অ্যান্টিবডি মিডিয়েটেড ইমিউন সিস্টেম (AMI) গঠন করে। | T – কোশ কোশমধ্যস্থ প্রতিরোধ ব্যবস্থা (CMI) গঠন করে। |
12. টিকা বা ভ্যাকসিন কাকে বলে? টিকাকরণ কাকে বলে? টিকাকরণের গুরুত্ব কী?
উত্তর : টিকা বা ভ্যাকসিন : কোনো রোগজীবাণু থেকে প্রস্তুত যে উপাদান মানুষের শরীরে প্রবেশ করলে ওই রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ জন্মায়, তাকে ভ্যাকসিন (Vaccine) বা টিকা বলে।
টিকাকরণ : অনাক্রম্যতা অর্জনের জন্য দেহের মধ্যে টিকা বা ভ্যাকসিন দেওয়ার পদ্ধতিকে টিকাকরণ বা ভ্যাকসিনেশন (Vaccination) বলে।
টিকাকরণের গুরুত্ব : (i) টিকাকরণের ফলে দেহে নির্দিষ্ট অ্যান্টিজেনের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য অ্যান্টিবডি সৃষ্টি হয়, ফলে রোগ আক্রমণ প্রতিরোধ করে। (ii) টিকার মাধ্যমেভ্যাকসিন দেহের মধ্যে প্রবিষ্ট হয় এবং ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার প্রজনন ক্ষমতাকে হ্রাস করে। (iii) টিকাকরণের মাধ্যমে দেহে কৃত্রিম অনাক্রম্যতা সৃষ্টি করা হয়।
13. রোগ কত রকমের হয় তা ছকের সাহায্যে দেখাও।
উত্তর :
রোগ | ব্যাকটেরিয়া / ভাইরাস / প্রোটোজোয়া |
1. ডায়ারিয়া (Diarrhoea) | ব্যাকটেরিয়া : ই. কোলি |
2. ম্যালেরিয়া (Malaria) এটি হল একটি আদ্যপ্রাণী ঘটিত রোগ। | প্রোটোজোয়া : প্লাসমোডিয়াম ফ্যালসিপেরাম |
3. ডিপথেরিয়া (Diptheria) | ব্যাকটেরিয়া : করিনিব্যাকটেরিয়াম ডিপথেরি |
4. নিউমোনিয়া (Pneumonia) | ব্যাকটেরিয়া : ডিপ্লোকক্কাস নিউমোনি |
5. টিটেনাস বা লক-জ (Tetanus or Lock-Jaw) | ব্যাকটেরিয়া : ক্লসট্রিডিয়াম টিটেনি |
6. যক্ষ্মা বা টিউবারকিউ- লোসিস (Tuberculosis) | ব্যাকটেরিয়া : মাইকোব্যাকটেরিয়াম টিউবারকিউলোসিস |
7. ডেঙ্গু বা হাড় ভাঙা জ্বর (Dengue- Break bone fever) | ভাইরাস : Flavivirus |
৪. হেপাটাইটিস A (Hepatitis A) | ভাইরাস : হেপাটাইটিস A |
9. হেপাটাইটিস B (Hepatitis B) | ভাইরাস : হেপাটাইটিস B |
10. AIDS (Acquired Immuno Deficiency Syndrome) | ভাইরাস : Human Immuno Deficiency Virus |
14. নিউমোনিয়া এবং টিটেনাসের প্রকৃতি, উপসর্গ ও সংক্রমণ পদ্ধতি সংক্ষেপে বর্ণনা করো।
উত্তর :
(i) নিউমোনিয়া (Pneumonia)
- প্যাথোজেনের প্রকৃতি: এটি ডিপ্লোকক্কাস নিউমোনি (Diplococcus pneumoniae) নামক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট একটি রোগ।
- উপসর্গ:
- ফুসফুস আক্রান্ত হওয়ায় ফুসফুস থেকে মিউকাস ক্ষরিত হলে অ্যালভিওলাই, ব্রঙ্কিওল ইত্যাদি মিউকাসে ভরে যায়, ফলে শ্বাসকষ্ট দেখা যায়।
- জ্বর, মাথার যন্ত্রণা, শীত-শীত ভাব লক্ষণ দেখা যায়।
- ফুসফুসের লোব সলিড হতে থাকে।
- রোগীর ঠোঁট ও নখ নীলাভ বা ধূসর রঙের হয়ে যায়।
- সংক্রমণ পদ্ধতি:
- রোগীর স্পুটাম অর্থাৎ গায়ের থেকে কফাদির সাহায্যে রোগ বিস্তার করে।
- এ ছাড়া রোগীর পোশাক-পরিচ্ছদ, আসবাবপত্র থেকেও রোগ ছড়াতে পারে।
(ii) টিটেনাস বা লক-জ (Tetanus or Lock-Jaw)
- প্যাথোজেনের প্রকৃতি: এটি ক্লসট্রিডিয়াম টিটেনি (Clostridium tetani) নামক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট একটি রোগ।
- উপসর্গ:
- চোয়ালের পেশি শক্ত হয়ে যায় এবং লক্ড হয়ে যায়। হাঁ করতে পারে না।
- ধনুকের মতো পিছন দিক বেঁকে যেতে থাকে।
- তীব্র জ্বর এবং মাথার যন্ত্রণা হয়।
- সংক্রমণ পদ্ধতি:
- শরীরের কোনো অংশ কেটে গেলে বা ক্ষত তৈরি হলে, সেই ক্ষতের মাধ্যমে জীবাণু দেহে প্রবেশ করে।
- ঘোড়ার বিষ্ঠায় পা দিলে, পায়ে পেরেক বিঁধলে ক্ষতস্থান দিয়ে এই রোগজীবাণু মানবদেহে প্রবেশ করে।
15. হেপাটাইটিস-A ও B এবং AIDS-এর প্রকৃতি, উপসর্গ ও সংক্রমণ পদ্ধতি বর্ণনা করো ।
উত্তর :
(i) হেপাটাইটিস এ (Hepatitis A)
- প্যাথোজেনের প্রকৃতি: এটি হেপাটাইটিস এ ভাইরাস (HAV) দ্বারা সৃষ্ট একটি রোগ।
- উপসর্গ:
- বমি বমি ভাব ও বমি হওয়া।
- উদরাময় (ডায়রিয়া)।
- জন্ডিস (হলুদ ত্বক ও হলুদ প্রস্রাব)।
- জ্বর এবং পেটে ব্যথা।
- সংক্রমণ পদ্ধতি:
- সাধারণত সংক্রামিত খাবার বা অবিশুদ্ধ পানীয় জলের মাধ্যমে এই রোগ ছড়ায়।
- আক্রান্ত রোগীর মল খাবারের সঙ্গে মিশে গেলে রোগ বিস্তার লাভ করে।
(ii) হেপাটাইটিস বি (Hepatitis B)
- প্যাথোজেনের প্রকৃতি: এটি হেপাটাইটিস বি ভাইরাস (HBV) দ্বারা সৃষ্ট একটি রোগ।
- উপসর্গ:
- সহজেই স্বাস্থ্য ভেঙে পড়ে এবং দ্রুত ওজন কমে যায়।
- খিদে কমে যায় এবং গা বমি বমি করে।
- মূত্রের রঙ কালচে হয়ে যায়।
- ভয়ানক জন্ডিস এবং ত্বকে চুলকানি দেখা দেয়।
- সংক্রমণ পদ্ধতি:
- আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত সিরিঞ্জ ও সূঁচ ব্যবহার করলে।
- সংক্রমিত ব্যক্তির ব্যবহৃত ব্লেড ব্যবহার করলে।
- গর্ভকালীন অবস্থায় মায়ের শরীর থেকে শিশুর শরীরে।
- অসুরক্ষিত যৌন মিলনের মাধ্যমে।
- আক্রান্ত ব্যক্তির রক্ত গ্রহণ করলে।
(iii) এইডস (AIDS – Acquired Immuno Deficiency Syndrome)
- প্যাথোজেনের প্রকৃতি: এটি হিউম্যান ইমিউনো ডেফিসিয়েন্সি ভাইরাস Human Immuno Deficiency Virus অর্থাৎ HIV দ্বারা সৃষ্ট একটি রোগ।
- উপসর্গ:
- জ্বর, মাথাব্যথা, গলাব্যথা এবং নাক দিয়ে সর্দি পড়া।
- যকৃতের সংক্রমণে জন্ডিস, বমি-বমি ভাব এবং ক্ষুধামান্দ্য।
- লসিকা গ্রন্থির প্রদাহ এবং রক্তে অণুচক্রিকার সংখ্যা কমে যাওয়া।
- দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা (Immunity) বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।
- সংক্রমণ পদ্ধতি: এই রোগ যেভাবে সংক্রমিত হয় তা হল—
- HIV আক্রান্ত রোগীর সঙ্গে অসুরক্ষিত যৌন সংসর্গ।
- HIV পজিটিভ রক্ত গ্রহণ করা।
- আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত সিরিঞ্জ, ব্লেড, রেজার ইত্যাদি ব্যবহার করা।
- গর্ভাবস্থায় মায়ের শরীর থেকে প্লাসেন্টা (placenta) বা অমরা-র মাধ্যমে শিশুর দেহে সংক্রমণ।
- বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই রোগে শরীরের TH লিম্ফোসাইটের সংখ্যা অত্যাধিক হারে হ্রাস পায়।
আরো পড়ুন
Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।