কম্পােস্টিং বা জৈব সার উৎপাদন পদ্ধতিটি কীভাবে কার্যকরী করা হয়? Class 10 | Geography (বর্জ্য ব্যাবস্থাপনা) | 3 Marks
উত্তর:-
ধারণা: কম্পােস্টিং হল ব্যাকটেরিয়া বা জীবাণু দ্বারা জৈব বর্জ্য থেকে জৈব সার বা হিউমাস উৎপাদনের একটি পদ্ধতি। এই জৈব সারকে কম্পােস্ট বা মিশ্র সার বলে। এভাবে উৎপন্ন জৈব সারে উদ্ভিদের বৃদ্ধির জন্য প্রয়ােজনীয় নাইট্রোজেন, ফসফেট প্রভৃতি পুষ্টিকর উপাদান যথেষ্ট পরিমাণে থাকে।
পদ্ধতিসমূহ: ভারতে প্রধানত দুটি পদ্ধতিতে এই কম্পােস্টিং হয়। এগুলি হল—
1) ব্যাঙ্গালাের পদ্ধতি বা অবাত কম্পােস্টিং: প্রথমে মাটিতে পরিখা বা ট্রেঞ্চের মতাে একটি অগভীর লম্বা গর্ত করা হয় এবং তার মধ্যে নানা ধরনের জৈব বর্জ্য ফেলে তার ওপরে পয়ঃপ্রণালী ও গবাদিপশুর মলমূত্রের একটি স্তর তৈরি করা হয়। এর ওপর মাটি চাপা দিয়ে 15-20 দিন রেখে দিলে নীচের জৈব পদার্থ অবাত ব্যাকটেরিয়া দ্বারা বিয়ােজিত হয়ে কম্পােস্ট সার তৈরি হয়। একেই ব্যাঙ্গালাের পদ্ধতি বা অবাত কম্পােস্টিং বলে।
2) যান্ত্রিক পদ্ধতি বা সবাত কম্পােস্টিং: প্রথমে বর্জ্য পদার্থ থেকে ধাতুখণ্ড, কাচ প্রভৃতি আলাদা করা হয় এবং তারপর অবশিষ্ট জৈব বর্জ্য পদার্থকে যন্ত্রের সাহায্যে চূর্ণবিচূর্ণ করা হয়। এরপর ওগুলির সঙ্গে মলমূত্র মেশানাে হয় এবং শেষে ঘূর্ণায়মান যন্ত্রে রেখে সবাত ব্যাকটেরিয়া দ্বারা বিয়ােজন ঘটানাে হয়। এইভাবে এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে বর্জ্য বিয়ােজিত হয়ে কম্পােস্ট সার তৈরি হয়। এটি যান্ত্রিক পদ্ধতি বা সবাত কম্পােস্টিং নামে পরিচিত।
Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।