ধর্মাশ্রয়ী রাষ্ট্র বলতে কী বোঝায় ?
উত্তর:
ধর্মাশ্রয়ী রাষ্ট্র :-
গ্রিক শব্দ Theos থেকে Theoeracy শব্দটির উৎপত্তি। Theos কথাটির অর্থ ঈশ্বর, অর্থাৎ Theoeracy শব্দটির অর্থ হলো দেবতান্ত্রিক রাষ্ট্র বা ধর্মাশ্রয়ী রাষ্ট্র। এই দেবতান্ত্রিক রাষ্ট্র বা ধর্মাশ্রয়ী রাষ্ট্রে কতকগুলি বৈশিষ্ট্য দেখা যায়-
সর্বশক্তিমান ঈশ্বর সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী।
এখানে মানব সৃষ্টি আইনের পরিবর্তে ঈশ্বর নির্দিষ্ট বিধান আইন হিসেবে প্রযুক্ত হয় ।
অদৃশ্যমান ঈশ্বরের প্রতিনিধি হিসাবে পুরোহিত শ্রেণী ব্যক্তিগত বা গোষ্ঠীগত ভাবে রাষ্ট্রীয় কাজ সম্পাদন করেন।
এরই পেক্ষাপটে সুলতানি আমলে ভারতবর্ষে ধর্মাশ্রয়ী রাষ্ট্র ছিল কিনা- এই প্রশ্ন কে কেন্দ্র করে ঐতিহাসিকদের মধ্যে মতপার্থক্য করা যায়। আর. পি. ত্রিপাঠি, ঈশ্বরী প্রসাদ প্রমূখ ঐতিহাসিকেরা মনে করেন- তুর্কি-আফগান যুগে ভারতবর্ষে ছিল ধর্মাশ্রয়ী রাষ্ট্র। অন্যদিকে ড: কুরেশী, সতীশচন্দ্র, ড: হাবিব প্রমুখরা এর বিরোধিতা করেছেন।
আপাতত বিচারে দিল্লির সুলতানি ধর্মাশ্রয়ীতা গ্রহণযোগ্য বলেই মনে হয়। দিল্লির সুলতানরা ইসলামের বিধি অনুসারে খলিফাকে পরিপাকে নিজের প্রভু বলে মনে করতেন। বলবন নিজেকে খলিফার সহকারীর নামে অভিহিত করে গর্ববোধ করতেন এবং খলিফা নামে “খুৎবা” পাঠ করতেন।
এছাড়া সুলতানি আমলে শরীয়ত আইন ছিল সর্বোচ্চ বা মৌলিক। শরীয়তী আইনের ব্যাখ্যাকার হিসাবে সুলতানি আমলে রাষ্ট্র ব্যবস্থায় উলেমারা বিশেষ ক্ষমতার অধিকারী হয়েছিলেন।
Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।