দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা গড়ে ওঠার কারণগুলি লেখাে। Class 10 | Geography (ভারতের অর্থনৈতিক পরিবেশ) | 5 Marks
উত্তর:-
দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা গড়ে ওঠার কারণসমূহ
অবস্থান: দুর্গাপুরে দামােদর নদের তীরে রানিগঞ্জ কয়লাখনির পূর্ব সীমায় পূর্ব রেলপথের পাশে দুর্গাপুর স্টিল প্লান্ট (DSP) টি অবস্থিত।
স্থাপনকাল: ব্রিটিশ কোম্পানি ‘ইস্কন’-এর সহযােগিতায় স্থাপিত রাষ্ট্রায়ত্ত এই কারখানাটি স্থাপনের কাজ 1956 সালে শুরু হলেও 1962 সাল থেকে উৎপাদন শুরু হয়।
দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা গড়ে ওঠার কারণগুলি হল—
1) কাঁচামালের সুবিধা: রানিগঞ্জ (পশ্চিমবঙ্গ) ও ঝরিয়া (ঝাড়খণ্ড) থেকে কয়লা, গােরুমহিষানি ও বাদামপাহাড় (ওডিশা); গুয়া ও নােয়ামুণ্ডি (ঝাড়খণ্ড) থেকে আকরিক লােহা, বীরমিত্রপুর ও গাংপুর (ওডিশা) থেকে চুনাপাথর এবং গাংপুর (ওডিশা) থেকে ম্যাঙ্গানিজ পাওয়ার সুবিধা এই শিল্প গড়ে তােলার সহায়ক।
2) জলের সহজলভ্যতা: শিল্পের প্রয়ােজনীয় জল দামােদর নদ থেকে পাওয়া যায়।
3) বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অবস্থান: দুর্গাপুর ও ওয়ারিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রয়ােজনীয় বিদ্যুৎশক্তির চাহিদা মেটায়।
4) সুলভ শ্রমিক: বিহার, ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গের সুলভ এবং দক্ষ শ্রমিক শ্রমশক্তির চাহিদা মেটায়।
5) উন্নত পরিবহণ ব্যবস্থা: NH-19 (NH-2) এবং পূর্ব রেলপথের মাধ্যমে কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের সঙ্গে যােগাযােগ থাকায় কাঁচামাল আনা ও পণ্যদ্রব্য রপ্তানিতে সুবিধা হয়।
অন্যান্য কারণ
1) বন্দরের অনুকূল অবস্থান: 172 কিমির মধ্যে কলকাতা বন্দর ও 264 কিমির মধ্যে হলদিয়া বন্দর অবস্থিত হওয়ায় প্রয়ােজনীয় কাঁচামাল আমদানি ও উৎপাদিত দ্রব্যের রপ্তানিতে সুবিধা হয়।
2) ক্রমবর্ধমান চাহিদা: পশ্চিমবঙ্গ ও পূর্ব ভারতের বিভিন্ন অংশে ভারী ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পের বিকাশ ও বিশ্বজুড়ে ইস্পাতের চাহিদা বৃদ্ধি এই শিল্পকেন্দ্রের উন্নতির সহায়ক হয়েছে।
Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।
It’s very helpful thank you