ইংল্যান্ডের শিক্ষাব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য গুলি উল্লেখ করাে

ইংল্যান্ডের শিক্ষাব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য গুলি উল্লেখ করাে। 

উত্তর :

ইংল্যান্ডের শিক্ষাব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য

ইংল্যান্ডের শিক্ষাব্যবস্থা অন্যান্য দেশের তুলনায় যথেষ্ট উন্নত। এই শিক্ষাব্যবস্থার মূল বৈশিষ্ট্যগুলি হলাে—

(1) 5 থেকে 11 বছর বয়সি শিক্ষার্থীকে আইনানুযায়ী অবশ্যই বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকতে হবে, অথবা L.E.A অনুমােদিত অন্য কোনাে পন্থায় শিক্ষাগ্রহণ করতে হবে। পাঠ্যপুস্তক, অন্যান্য শিখন সামগ্রী এবং বিনা খরচে অথবা ভর্তুকি সহ খাবার সরবরাহ করতে হবে।

(2) প্রাথমিক স্তরের শিক্ষাক্ষেত্রে বিদ্যালয় পছন্দের ব্যাপারে অভিভাবকদের পছন্দকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার্থীর আগ্রহ, প্রবণতা, ব্যক্তিত্ব এবং সাফল্যের ভিত্তিতে কোনাে উপযুক্ত শিক্ষাধারার বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে হবে।

(3) শিক্ষাব্যবস্থায় নানা ধরনের সমাবেশ রয়েছে এবং এগুলির কোনাে একটি বিশেষ কাঠামােগত বিন্যাস করা কষ্টসাধ্য।

(4)  বিদ্যালয়কে সমাজের অংশ হিসাবে গণ্য করা হয় বলে শিক্ষাকে বিদ্যালয়ের চার দেওয়ালের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা যায় না। ধর্মীয় শিক্ষার সঙ্গে সমাজসেবার ওপর যথেষ্ট গুরুত্ব আরােপ করা হয়। এছাড়া খেলাধুলা, আমােদপ্রমােদ ও অন্যান্য সহশিক্ষাক্রমিক কাজের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।

(5) 95% বিদ্যালয়ই সরকারি এবং বিনা বেতনে পরিচালিত হয়। মাত্র 5% বিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের থেকে বেতন গ্রহণ করে। এদের বেশিরভাগই হলাে পাবলিক স্কুল (ইন্ডিপেনডেন্ট স্কুল)। এইসব বিদ্যালয় অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং এখানে সমাজের উচ্চশ্রেণি বা বিত্তবানদের সন্তানেরা পড়ালেখার কাজে নিয়ােজিত থাকে।

(6) বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসাবে যথেষ্ট মর্যাদা দেওয়া হয়, যদিও এগুলাের 80% ব্যয় সরকারি কোষাগার থেকে নির্বাহ করা হয়।

(7) শিক্ষাব্যবস্থা কেন্দ্রীয় সরকার, L.E.A এবং ভলান্টরি সংস্থাসমূহের পারস্পরিক সহযােগিতা ও সমন্বয়ের ওপর প্রতিষ্ঠিত।

Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।

Leave a Comment

error: Content is protected !!