এতোয়া মুন্ডার কাহিনী প্রশ্ন উত্তর | Etoya Mundar Kahini Question Answer | Class 5 | Wbbse

প্রিয় ছাত্রছাত্রীরা এই আর্টিকেলে আমরা Class 5 এর এতোয়া মুন্ডার কাহিনী প্রশ্ন উত্তর নিয়ে এসেছি। তোমাদের পঞ্চম শ্রেনীর পাঠ্যবইতে মহাশ্বেতা দেবীর লেখা এতোয়া মুন্ডার কাহিনী গল্প রয়েছে। গল্পের শেষের হাতে কলমে প্রশ্নগুলির সমাধান আমরা এখানে করে দিলাম। আশা করি সবার ভালো লাগবে।

এতোয়া মুন্ডার কাহিনী

মহাশ্বেতা দেবী


হাতে কলমে প্রশ্ন উত্তর

১.১ গ্রামটার আদি নাম ছিল (শালগাড়া / হাতিঘর / হাতিবাড়ি / শালগেড়িয়া)। 
উত্তর:
গ্রামটার আদি নাম ছিল শালগেড়িয়া। 

১.২ মোতি বাবু ছিলেন গ্রামের (আদিপুরুষ/ভগবান/জমিদার/মাস্টার)। 
উত্তর: মোতি বাবু ছিলেন গ্রামের জমিদার। 

১.৩ ‘এতোয়া’ শব্দটির অর্থ (রবিবার/ সোমবার/বুধবার/ছুটির দিন)।
উত্তর: ‘এতোয়া’ শব্দটির অর্থ রবিবার

১.৪ শূরবীর ছিলেন একজন ( সর্দার / আদিবাসী রাজা / বনজীবী /যাত্রাশিল্পী)। 
উত্তর: শূরবীর ছিলেন একজন আদিবাসী রাজা। 

১.৫ ভুলং, সুবর্ণরেখা নামগুলি (পাহাড়ের / ঝর্নার / নদীর / গাছের)।
উত্তর: ভুলং, সুবর্ণরেখা নামগুলি নদীর

২.১ আর হাতিশালাটা ছিল _________।
উত্তর: আর হাতিশালাটা ছিল পাথরের

২.২ এতোয়ার দাদু বলে এক সময় এটা ছিল _________ গ্রাম।
উত্তর: এতোয়ার দাদু বলে এক সময় এটা ছিল আদিবাসী গ্রাম।

২.৩ গাঁয়ের বুড়ো সর্দার _________ নাতিটার দিকে তাকায়।
উত্তর: গাঁয়ের বুড়ো সর্দার মঙ্গল নাতিটার দিকে তাকায়।

২.৪ তবে জঙ্গল তো _________।
উত্তর: তবে জঙ্গল তো মা

২.৫ _________ স্কুলের চালাঘরের কোল দিয়ে পথ।
উত্তর: প্রাইমারি স্কুলের চালাঘরের কোল দিয়ে পথ।

গর্জন, বাগাল, গুঞ্জন, দুলন্ত, গোড়া।

উত্তর:
গর্জন = উচ্চ ও গভীর আওয়াজ
বাগাল = রাখাল
গুঞ্জন = গুন গুন শব্দ
দুলন্ত = দুলছে এমন
গোড়া = শুরুর অংশ বা মূলদেশ

পূর্বপুরুষ, আদি, কচি, শুকনো, বিশ্বাস ।

উত্তর:
পূর্বপুরুষ = উত্তরপুরুষ
আদি = অন্ত
কচি = পাকা / বুড়ো
শুকনো = ভেজা
বিশ্বাস = অবিশ্বাস

জল, নদী, সমুদ্দুর, জঙ্গল, উলগুলান ।

উত্তর:
জল = উদক, অম্বু, বারি
নদী = তটিনী, প্রবাহিনী, স্রোতস্বিনী
সমুদ্দুর = সাগর, জলধি, রত্নাকর
জঙ্গল = বন, অরণ্য, কানন
উলগুলান = বিদ্রোহ, হুল, অভ্যুত্থান

৬.১ সাবু আর শাল গাছের পাঁচিল যেন পাহারা দিত গ্রামকে।
উত্তর: সাবু আর শাল গাছের পাঁচিল যেন পাহারা দিত গ্রামকে।

৬.২ এখন কেউ চাঁদ দিয়ে বছর হিসাব করে ?
উত্তর: এখন কেউ চাঁদ দিয়ে বছর হিসাব করে ?

৬.৩ ছোটনাগপুর ছাড়লাম।
উত্তর: ছোটনাগপুর ছাড়লাম

৬.৪ জঙ্গল নষ্ট করি নাই।
উত্তর: জঙ্গল নষ্ট করি নাই।

৬.৫ যে বাঁচায় তাকে কেউ মারে?
উত্তর: যে বাঁচায় তাকে কেউ মারে?

৭.১ গাঁয়ের বুড়ো সর্দার মঙ্গল নাতিটার দিকে তাকায়।
উত্তর:
গাঁয়ের বুড়ো সর্দার মঙ্গল। সে নাতিটার দিকে তাকায়।

৭.২ হাতিশালাটায় দেয়াল তুলে ওটা এখন ধান রাখবার গোলাঘর।
উত্তর: হাতিশালাটায় দেয়াল তুলে দিয়েছে। সেটা এখন ধান রাখবার গোলাঘর।

৭.৩ আমাদের কালে, সেই জঙ্গল দিয়ে চার মাইল যাও, তবে পাঠশালা।
উত্তর: আমাদের কালে, সেই জঙ্গল দিয়ে চার মাইল যেতে হত। তবে পাঠশালা পাওয়া যেত।

৭.৪ এখন ও লাফায় আর নদীর জল, কাশবন, বুনোফুল, আকাশ, সকলকে ডেকে বলে, সে কী ভীষণ যুদ্ধ !
উত্তর: এখন ও লাফায়। সে নদীর জল, কাশবন, বুনোফুল, আকাশ, সকলকে ডেকে বলে, সে কী ভীষণ যুদ্ধ।

৭.৫ ডুলং ও সুবর্ণরেখাও হেসে চলে যায়, বয়ে যায়।
উত্তর: ডুলং ও সুবর্ণরেখাও হেসে চলে যায়। তারা বয়ে যায়।

পাঁচিল, চাঁদ, দেশ, মানুষ, জঙ্গল।

উত্তর:
পাঁচিল = পাঁচিলের ওপাশে বড়োবাবুদের বাগান।
চাঁদ = চাঁদ পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ।
দেশ = আমার দেশ ভারতবর্ষ সকল দেশের সেরা।
মানুষ = আমি লেখাপড়া শিখে মানুষের মত মানুষ হতে চাই।
জঙ্গল = বাঘ জঙ্গলে থাকে।

৯.১ স্রোত কী জোরালো!
উত্তর: বিস্ময়বোধক বাক্য

৯.২ কচি ছেলে, কিছুই জানে না।
উত্তর: নেতিবাচক বাক্য

৯.৩ সে যেন গেরুয়া জলের সমুদ্দুর।
উত্তর: নির্দেশাত্মক বাক্য

৯.৪ নামটা বদলে গেল কেন গো?
উত্তর: প্রশ্নবাচক বাক্য

৯.৫ কী যুদ্ধ, কী যুদ্ধ!
উত্তর: বিস্ময়বোধক বাক্য

মস্ত, আমাদের, শিকার, তুই, সে, লড়াই, বুড়ো, ভীষণ, ছোট্ট, ও, চরায়, রাখে, ঝাঁকড়া, ধারালো, ওঠে, সরু।

উত্তর:

বিশেষ্য বিশেষণ সর্বনাম অব্যয় ক্রিয়া
শিকার, লড়াইমস্ত, বুড়ো, ভীষণ, ছোট্ট, ঝাঁকড়া, ধারালো, সরুআমাদের, তুই, সেচরায়, রাখে, ওঠে

১১.১ কী গল্পই বললে আজ দাদু। সবাই শুনছিল গো !
উত্তর:
দাদু আজ এমন গল্প বললে যে সবাই শুনছিল গো!

১১.২ এতোয়া রে! ছেলে তুই বড্ড ভালো।
উত্তর: তুই বড্ড ভালো রে এতোয়া।

১১.৩ তুই বড্ড বকিস এতোয়া। তোর বাপেরও এতো কথা শুধাবার সাহস হতো না।
উত্তর: এতোয়া তুই যত বকিস, তোর বাপেরও তত কথা শুধাবার সাহস হত না।

১১.৪ বাবুরা এল। আমাদের সব নিয়ে নিল।
উত্তর: বাবুরা এসে আমাদের সব নিয়ে নিল।

১১.৫ আদিবাসী আসছে। মানুষ বাড়ছে।
উত্তর: আদিবাসী আসায় মানুষ বাড়ছে।

দি সী আ বা, ব খা রে র্ণ সু, গাংড়া রদ, টি ড়া পো মা, য পু দিরু আ

উত্তর:
দি সী আ বা = আদিবাসী
ব খা রে র্ণ সু = সুবর্ণরেখা
গা ং ড়া র দ = দরংগাড়া
টি ড়া পো মা = পোড়ামাটি
ষ পু দি রু আ = আদিপুরুষ

১৩.১ ছাগল কাজ গোরু ওর চরানো।
উত্তর: ওর কাজ গোরু ছাগল চরানো।

১৩.২ তির শনশন তারা তখন ছোঁড়ে।
উত্তর: তখন তারা তির ছোঁরে শনশন।

১৩.৩ আগে হাজার চাঁদ হাজার।
উত্তর: হাজার হাজার চাঁদ আগে।

১৩.৪ ছিল পাথরের হাতিশালাটা আর।
উত্তর: আর হাতিশালাটা ছিল পাথরের।

১৩.৫ সপ্তাহে হাট প্রতি বসে তো গ্রামে।
উত্তর: গ্রামে তো প্রতি সপ্তাহে হাট বসে।

১৪.১ লেখালেখি ছাড়াও আর কী কী কাজ মহাশ্বেতা দেবী করেছেন?
উত্তর: মহাশ্বেতা দেবী লেখালেখি ছাড়াও শিক্ষকতা, সাংবাদিকতা, নানা সমাজসেবামূলক কাজ করেছেন।

১৪.২ আদিবাসী জীবন নিয়ে লেখা তাঁর একটি বইয়ের নাম লেখো।
উত্তর: আদিবাসী জীবন নিয়ে লেখা মহাশ্বেতা দেবীর আর একটি বইয়ের নাম ‘অরণ্যের অধিকার’।

১৪.৩ ছোটোদের জন্য লেখা তাঁর একটি বিখ্যাত বইয়ের নাম লেখো।
উত্তর: ছোটোদের জন্য লেখা মহাশ্বেতা দেবীর একটি বইয়ের নাম ‘গল্পের গোরু ন্যাদোশ’।

১৫.১ “সেও এক ভীষণ যুদ্ধ” – কোন যুদ্ধের কথা এখানে বলা হয়েছে?
উত্তর: মহাশ্বেতা দেবী রচিত ‘এতোয়া মুন্ডার কাহিনি’ গল্প থেকে নেওয়া প্রশ্নোদ্ধৃত অংশে সাহেবদের বিরুদ্ধে বিরসা মুন্ডার যুদ্ধের কথা বলা হয়েছে। আদিবাসীদের এলাকাকে জোর জুলুম করে কেড়ে নেওয়ার বিরুদ্ধে ছিল এই যুদ্ধ। মুন্ডাদের দিক থেকে মুহুর্মুহু তির চলেছিল সাহেবদের দিক থেকে চলেছিল গুলি। মুন্ডাদের ভাষায় এ যুদ্ধ ছিল ‘উলগুলান’।

১৫.২ গাঁয়ের নাম হাতিঘর হল কেন?
উত্তর: মহাশ্বেতা দেবী রচিত ‘এতো মুন্ডার কাহিনি’ গল্প পাঠে জানা যায় মোতিবাবুর পূর্বপুরুষরা যখন মস্ত জমিদার ছিলেন তখন তাঁদের হাতি ছিল। আর হাতিশালাটা ছিল পাথরের। সেই কারণেই হয়তো গায়ের নাম হয়েছিল হাতিঘর।

১৫.৩ ভজন ভুক্তা এতোয়াকে কী বলত ?
উত্তর: মহাশ্বেতা দেবী রচিত ‘এতোয়া মুন্ডার কাহিনি’ গল্পে ভজন ভুক্তা এতোয়াকে বলত যে, সে খুব ভালো ছেলে। কিন্তু সে লেখাপড়া শেখে না বলে ভজন ভুক্তার দুঃখ হয়। ভজন ভুক্তাদের ছোটোবেলায় স্কুলে যেতে হলে, জঙ্গলের মধ্য দিয়ে চার মাইল পথ অতিক্রম করতে হত। বর্তমানে গ্রামেই রয়েছে প্রাইমারি স্কুল। শিক্ষক মশাই ও খুব ভালো। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠানোর জন্য উৎসাহিত করেন। এতোয়া বাবুর বাড়ি রাখালের কাজ করত, তাই ভজন ভুক্তা তাকে স্কুলে যাওয়ার পরামর্শ দিত। শুধু তাই নয় ভজন ভুক্তা এতোয়াকে গল্প ও বলত।

১৫.৪ হাতিঘর-এ কেমন ভাবে যাবে সংক্ষেপে লেখো।
উত্তর: মহাশ্বেতা দেবী রচিত ‘এতোয়া মুন্ডার কাহিনি’ গল্প অনুসারে হাতিঘর যেতে হলে হাওড়া থেকে খড়গপুর গিয়ে বাস ধরতে হবে। নামতে হবে গুপ্তমণি মন্দিরের সামনে। হাঁটতে হাঁটতে ছোট নদী ও রোহিনী গ্রাম পেরিয়ে যেতে হবে দক্ষিণ দিকে। পথে পড়বে ডুলং নদী, আকাশ ছোঁয়া শাল ও অর্জুন গাছ। এভাবেই যাওয়া যাবে হাতিঘর।

১৫.৫ এতোয়া নামটি কেন হয়েছিল?
উত্তর: মহাশ্বেতা দেবী রচিত ‘এতোয়া মুন্ডার কাহিনি’ গল্প পাঠে জানা যায় আদিবাসীদের যার ইচ্ছে, তারা জন্মবারের সঙ্গে মিলিয়ে নাম রাখে। রবিবারে জন্মানোর কারণে ঠাকুরদা মঙ্গল মুন্ডা ‘এতোয়া’ নামটি রেখেছিল।

১৫.৬ এতোয়ার রোজকার কাজের বর্ণনা দাও।
উত্তর: মহাশ্বেতা দেবী রচিত ‘এতোয়া মুন্ডার কাহিনি’ গল্পে এতোয়া হাটের দোকানির দোকান ঝাঁটপাট দিয়ে একটি বস্তা চেয়ে নেয়। পুরোনো আমবাগানে বাবুদের গরু চরাতে চরাতে কুড়িয়ে নেয় টোকো আম, শুকনো কাঠ। মাটি খুঁড়ে বের করে মেটে আলু, মজা পুকুরে পার থেকে তোলে শাক। সব চলে যায় ওর বস্তায়। এরপর সে গরু নিয়ে ডুলং নদী পেরিয়ে চরে ওঠে। সেখানে নানা কথা ভাবতে ভাবতে খিদে ভুলে যায়। এগুলোই তার রোজকার কাজ।

১৫.৭ ‘এখন গ্রামে ইস্কুল, তবু… – বক্তা কে? আগে কী ছিল ?
উত্তর: মহাশ্বেতা দেবী রচিত ‘এতোয়া মুন্ডার কাহিনি ‘ গল্প থেকে নেওয়া প্রশ্নোদ্ধৃত উক্তিটির বক্তা, ভজন ভুক্তা। এখন গ্রামে স্কুল, তবে ভজন ভুক্তাদের ছেলেবেলায় জঙ্গল দিয়ে চার মাইল পথ পেরিয়ে পাঠশালায় পৌঁছতে হত।

হাতিপল্লি
চালজ্যোৎস্না
গ্রামশুঁড়
চাঁদগাছ
পাতাধান

উত্তর:

হাতিশুঁড়
চালধান
গ্রামপল্লি
চাঁদজ্যোৎস্না
পাতাগাছ

নদীর পাড়ে সূর্য অস্ত গেল। কোনো গ্রামে মাদল বাজছে। পরব এসে গেল। এখানে সব স্কুলে ছুটি পড়ে গেছে। এবারের ছুটিতে আমরা বন্ধুরা মিলে…

উত্তর: নিজে করো।

আরো পড়ুন

গল্পবুড়ো কবিতার প্রশ্ন উত্তর | সুনির্মল বসু | Golpo Buro Kobita Question Answer | Class 5 | Wbbse

বুনো হাঁস প্রশ্ন উত্তর | লীলা মজুমদার | Buno Has Class 5 Question Answer | Wbbse

Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।

Leave a Comment