ফরাজি আন্দোলনের প্রসারে দুদু মিঞার ভূমিকা আলােচনা করাে। 4 Marks/Class 10
উত্তর:–
ভূমিকা : ভারতে উনিশ শতকে মুসলিম সমাজের পুনরুজ্জীবন ও সংস্কার সাধনের লক্ষ্যে গড়ে ওঠা ফরাজি আন্দোলনের জনক শরিয়ত উল্লাহের মৃত্যুর পর আন্দোলনের দায়িত্ব নেন তাঁর পুত্র দুদু মিঞা (১৮৩৭-১৮৬২ খ্রিস্টাব্দ)।
১) আন্দোলনের প্রাণপুরুষ : দুদু মিঞার নেতৃত্বেই পূর্ববঙ্গের অত্যাচারী জমিদার, নীলকর ও তাদের কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ফরাজি আন্দোলন আরও সুসংহতভাবে পরিচালিত হয়। তাঁর নেতৃত্বে ফরাজি আন্দোলন ধর্মসংস্কার আন্দোলন থেকে ধর্মীয়-সামাজিকরাজনৈতিক আন্দোলনের রূপ নেয়।
২) দুদু মিঞার আহ্বান : দুদু মিঞা ঘােষণা করেন, ‘জমির মালিক আল্লাহ, তাই জমিদারদের খাজনা আদায় করার কোনাে অধিকার নেই। তিনি তার সমর্থকদের কাছে জমিদারদের খাজনা দেওয়ার, নীলচাষ না করার এবং বিদেশি শাসক ইংরেজদের অগ্রাহ্য করার আহ্বান জানান। তাঁর এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে পূর্ববঙ্গের লক্ষ লক্ষ দরিদ্র কৃষক তার শিষ্যত্ব গ্রহণ করে।
৩) ফরাজি-খিলাফত : দুদু মিঞা ফরাজি খিলাফত নামে একটি প্রশাসন গড়ে তােলেন। এই প্রশাসনের শীর্ষে ছিলেন তিনি স্বয়ং।
৪) জমিদার ও নীলকরদের আক্রমণ : লাঠিয়াল ও গুপ্তচর বাহিনী গঠন করে দুদু মিঞা নিজ প্রভাবাধীন এলাকায় কৃষকদের ঐক্যবদ্ধ করে জমিদার ও নীলকরদের আক্রমণ করেন। জমিদার ও নীলকরদের প্রচেষ্টায় ১৮৪৭ খ্রিস্টাব্দে দুদু মিঞাকে ব্রিটিশ সরকার গ্রেপ্তার করে তাকে জেলে বন্দি করে। উচ্চতর আদালতের নির্দেশে তিনি ছাড়া পান।
Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।
খুব সুন্দর। খুব ভালো হয়েছে।