জ্ঞানচক্ষু’ অবলম্বনে তপন চরিত্রটি বিশ্লেষণ করাে।
উত্তর – আশাপূর্ণা দেবী রচিত ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র তপন। গল্পে তপনের মধ্যে সব শিশু মনের মতােই আশা-আকাঙ্খা, স্বপ্ন-স্বপ্নভগ্ন, কল্পনা বাস্তব ও আনন্দ-অভিমানের টানাপােড়েনের ভাস্বর। তার চরিত্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্যগুলি হল – .
(ক) কল্পনা প্রবণতা : তপন একজন কল্পনাপ্রবণ শিশু। লেখক সম্পর্কে তার ধারণা ছিল তারা অন্যগ্রহের বাসিন্দা। অবশ্য শেষে তার বাস্তব বাধােদয় ঘটে। তখন সে বুঝতে পারে লেখকেরা তার পরিচিত মানুষের মতােই সাধারণ মানুষ।
(খ) শিশুসুলভ সারল্য : ছােটোমেসেসার কাছে প্রশংসার কথা শুনে তপন শিশুসুলভ মানসিকতায় সহজভাবে তা বিশ্বাস করে এবং মনে মনে কৃতজ্ঞ হয়। সে ভাবে – ‘রত্নের মূল্য জহুরির কাছেই।
(গ) স্বাতন্ত্র দক্ষতা : শিশু তপনের বিষয় নির্বাচনের দক্ষতা মেসাের ভালাে লাগে। তপন সমবয়সীদের মতাে গতানুগতিক ধারার বাইরে গিয়ে বিদ্যালয় জীবনের প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা ও অনুভূতি নিয়ে গল্প লেখে। এবিষয়ে মোের পর্যবেক্ষণ – (ক) ‘ওর হবে’ (খ) তপনের হাত আছে’, ‘চোখও আছে।
(ঘ) উৎসাহী: লেখক মেসােকে চাক্ষুষ দেখে উৎসাহী তপনের লেখক হওয়ার বাসনা দৃঢ় হয়। ঠাট্টা, বিদ্রুপ উপেক্ষা করে সে লক্ষ্যে অবিচল থাকে অর্থাৎ ব্যাঙগ বিদ্রুপ তাকে বরং উৎসাহী করে তােলে। গল্প লেখার নেশায় সে আরাে দু-তিনটে গল্পও লিখে ফেলে।
(ঙ) আত্মমর্যাদা বােধদীপ্ত : মেসসার কারেকশানে তপনের লেখা গল্প আমূল বদলে যায়। ফলে তপনের মধ্যে রাগ, অভিমানের উদ্রেক হয়। সে এভাবে সকলের বাহবা পেতে চায়নি। গল্প পড়ে তাই তার মনে হয় এই দিনটা পেতে চায়নি। গল্প পড়ে তার মনে হয় এই দিনটা ছিল তার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিন। আত্মমর্যাদায় আঘাত পাওয়া তপন তাই দৃঢ় সংকল্প গ্রহণ করে। নিজের লেখা গল্প নিজেই ছাপাতে দেবে কিন্তু কারাে অপমান সহ্য করবে না।
Read Also
জ্ঞানচক্ষু’ অবলম্বনে তপন চরিত্রটি বিশ্লেষণ করাে।
জ্ঞানচক্ষু গল্পে মেসােমশাইয়ের চরিত্র আলােচনা করাে।
পৃথিবীতে এমন অলৌকিক ঘটনাও ঘটে – অলৌকিক ঘটনাটি কী? একে অলৌকিক বলার কারণ কী?
Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।
I am back