হিমবাহের শ্রেণিবিভাগ করাে। Class 10 | Geography | 3/5 Marks
উত্তর:-
হিমবাহের শ্রেণিবিভাগ : অবস্থান অনুযায়ী হিমবাহ তিন রকমের হয়—
1.মহাদেশীয় হিমবাহ: উচ্চভূমি-নিম্নভূমি নির্বিশেষে মহাদেশের বিস্তীর্ণ স্থান যখন বরফে ঢাকা থাকে, তখন তার নাম মহাদেশীয় হিমবাহ।
অবস্থান: অ্যান্টার্কটিকা (প্রায় 85%) এবং গ্রিনল্যান্ডে এই ধরনের হিমবাহ রয়েছে। বর্তমানে দুই মেরু অঞলের বিস্তীর্ণ বরফক্ষেত্র মহাদেশীয় হিমবাহের প্রকৃষ্ট উদাহরণ। বরফের স্থূপ যেন চাদরের মতাে (ice sheet) দুই মেরু অঞ্চলকে ঢেকে রেখেছে।
বৈশিষ্ট্য: [a] এগুলি কেন্দ্র থেকে পাতের আকারে চারদিকে প্রসারিত এবং দেখতে অনেকটা কচ্ছপের পিঠের মতাে। [b] এই হিমবাহের প্রান্তদেশের বরফ খুব পাতলা হয়। [c] মহাদেশীয় হিমবাহ হিমসােপান সৃষ্টি করে। [d] মূলত কোয়াটারনারি ভূতাত্ত্বিক যুগে এই হিমবাহ সঞ্জিত হয়েছিল এমন ধারণা করা হয়।
উদাহরণ: অ্যান্টার্কটিকার ল্যামবার্ট এবং গ্রিনল্যান্ড আইস শিট হল। মহাদেশীয় হিমবাহের উদাহরণ।
2. পার্বত্য বা উপত্যকা হিমবাহ: পর্বতের উঁচু অংশ থেকে হিমবাহ যখন নীচের দিকে ধীরে ধীরে নামতে থাকে, তখন তাকে পার্বত্য বা উপত্যকা হিমবাহ বলে।
বৈশিষ্ট্য: [a] মনে করা হয় প্রাচীন তুষারযুগ থেকে এই বরফ সঞ্চিত হতে থাকে। [b] পার্বত্য হিমবাহ থেকেই মূলত নদীর সৃষ্টি হয়। [c] পার্বত্য হিমবাহ নানা ধরনের ফাটলযুক্ত হয়, অর্থাৎ এই হিমবাহেই বাগন্ড ও ক্রেভাস থাকে।
উদাহরণ: আলাস্কার হুবার্ড পৃথিবীর বৃহত্তম পার্বত্য হিমবাহ।
3. পাদদেশীয় হিমবাহ: হিমবাহ যখন উৎস অঞ্চল থেকে পর্বতের নীচের দিকে নেমে এসে পর্বতের পাদদেশ পর্যন্ত প্রসারিত হয়, তখন তাকে পাদদেশীয় হিমবাহ বলে। সাধারণত উচ্চ অক্ষাংশে তীব্র ঠান্ডার জন্য পর্বতের পাদদেশের উন্নতা হিমাঙ্কের নীচে থাকে। তাই অসংখ্য পার্বত্য বা উপত্যকা হিমবাহ পর্বতের পাদদেশে এসে মিলিত হয়ে পাদদেশীয় হিমবাহ সৃষ্টি করে।
বৈশিষ্ট্য: [a] এগুলির আকার অপেক্ষাকৃত ছােটো হয়। [b] পাদদেশীয় হিমবাহের সামনে গােলাকার অংশকে লােব বা পাখা (fan) বলে। [c] উচ্চ অক্ষাংশে পর্বতের পাদদেশের সমতল অংশে দেখা যায়। [d] একাধিক উপত্যকা হিমবাহ পর্বতের পাদদেশে এসে পরস্পর মিলিত হয়ে গঠিত হয়।
উদাহরণ: আলাস্কার মালাসপিনা পৃথিবীর বৃহত্তম পাদদেশীয় হিমবাহের।
Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।
Ato boro aktu choto kora dila dhalo hoto