হিন্দুমেলা – টীকা লেখাে l

টীকা লেখাে : হিন্দুমেলা। 4 Marks/Class 10

উত্তর:

মূলত রাজনারায়ণ বসুর জাতীয় গৌরব সারিণী সভা’র আদর্শেই “চৈত্র মেলা’ বা ‘হিন্দুমেলা’-র সূচনা হয়। নবগােপাল মিত্র ১৮৬৭ খ্রিস্টাব্দে এটি প্রতিষ্ঠা করেন এবং এ কাজে নবগােপালকে সাহায্য করেছিল দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও গণেন্দ্রনাথ ঠাকুর। 

হিন্দুমেলার উদ্দেশ্য : নবগােপাল মিত্র কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হিন্দুমেলার উদ্দেশ্যগুলি হল—

প্রথমত, জাতীয় ভাবের প্রসারসাধন, দেশাত্মবােধ সৃষ্টি এবং হিন্দুদের মধ্যে আত্মনির্ভরশীলতার মনােভাব গঠন। 

দ্বিতীয়ত, হিন্দুদের মধ্যে বিদ্বেষভাব দূর করে ঐক্য প্রতিষ্ঠা এবং হিন্দুসমাজে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ সংগঠিত করা। 

তৃতীয়ত, স্বদেশি বিদ্যানুশীলনে উৎসাহ দেওয়া, শিল্পকর্মে উৎসাহ দেওয়া এবং এমনকি শরীরচর্চার মধ্যে দিয়েও হিন্দুমেলা দেশবাসীর কাছে স্বদেশিভাব প্রচারের চেষ্টা করেছিল। 

হিন্দুমেলার কার্যাবলি : হিন্দুমেলা যেভাবে ভারতে  জাতীয়তাবাদী আদর্শের প্রচার করেছিল তা হল —

প্রথমত, প্রতিবছর চৈত্রসংক্রান্তির দিনে কলকাতার নিকটবর্তী এলাকায় তিন-চারদিন ধরে মেলা অনুষ্ঠিত করত এবং এখানে দেশীয় জিনিসের প্রদর্শনী, জাতীয় সঙ্গীত, বক্তৃতার মাধ্যমে দেশের লােকদের মনে স্বদেশপ্রেম সারের চেষ্টা করত।

দ্বিতীয়ত, ‘ন্যাশনাল পেপার’ নামক একটি পত্রিকা প্রকাশ এবং একটি ন্যাশনাল স্কুল ও ন্যাশনাল জিমনেশিয়াম গড়ে তুলে, যথাক্রমে জাতীয়তাবাদী ভাবধারা, জাতীয়তাবাদী শিক্ষা ও শরীরচর্চার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল।

তৃতীয়ত, জাতীয়তাবাদী সঙ্গীত (যেমন, সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘মিলে সব ভারত সন্তান, এক তান মন প্রাণ, গাও ভারতের যশােগান’)-এর মাধ্যমে স্বদেশি ভাবনার প্রসার ঘটানাের চেষ্টা করা হয়েছিল।

Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।

Leave a Comment