যানবাহন-যােগাযােগ ব্যবস্থার ইতিহাসচর্চার বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করাে। 

যানবাহন-যােগাযােগ ব্যবস্থার ইতিহাসচর্চার বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করাে। Mark 4 | Class 10

উত্তর:-

ভূমিকা : ১৯৬০ থেকে ১৯৭০-এর দশকে আধুনিক ইতিহাসচর্চার বৈচিত্র্যের অন্যতম দিক হিসেবে যানবাহন ও যােগাযােগ ব্যবস্থার ইতিহাসচর্চার সূচনা হয়। 

বৈশিষ্ট্য : যানবাহন-যােগাযােগ ব্যবস্থার ইতিহাসের বৈশিষ্ট্যগুলি হল—

১) পরিধি : যানবাহন মূলত তিন ধরনের যথা—জল, স্থল ও আকাশপথের যানবাহন। অন্যদিকে, যােগাযােগ ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র হল টেলিগ্রাফ, টেলিফোন, চিঠিপত্র, রেডিয়াে, টিভি, ফ্যাক্স, মােবাইল ফোন প্রভৃতি। 

২) উদ্ভব ও উন্নতি : এই ইতিহাসচর্চায় চাকা আবিষ্কার থেকে শুরু করে যানবাহনের উদ্ভব ও তার বিবর্তন এবং যানবাহন ও যােগাযােগ ব্যবস্থার বিভিন্ন ধরনকে চিহ্নিত করা হয়। এর পাশাপাশি প্রাচীন যানবাহন ও যােগাযােগ ব্যবস্থার সঙ্গে সমসাময়িক যানবাহন ও যােগাযােগ ব্যবস্থার পাথর্ক্য ও অগ্রগতি চিহ্নিত করাও এই ইতিহাসচর্চার অন্যতম উদ্দেশ্য। 

৩) প্রযুক্তিগত উন্নতি : যানবাহন ও যােগাযােগ ব্যবস্থার উন্নয়নের মূলে থাকে যে প্রযুক্তিগত উন্নতি, সেই অগ্রগতিকে খুঁজে বের করাও  এই ইতিহাসচর্চার বিশেষ বৈশিষ্ট্য। 

৪) প্রভাব : বাণিজ্য, যাতায়াত, সাম্রাজ্যবাদের প্রসার, নগরায়ণ ও পরিবেশ প্রভৃতি ক্ষেত্রে পরিবহণ ও যােগাযােগ ব্যবস্থার প্রভাবকে চিহ্নিত করে এই ইতিহাস বৈশিষ্ট্য। 

উপসংহার : যানবাহন ও যােগাযােগ ব্যবস্থা আমাদের  জীবনকে সহজ করে তুলেছে; যানবাহন ও যােগাযােগ ব্যবস্থার ইতিহাস একটি রাষ্ট্রে সংহতি ও জাতীয়তাবাদ যেমন সৃষ্টি করে,  তেমনি তা আন্তর্জাতিকতাবাদের বিকাশেও সাহায্য করে।

Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।

Leave a Comment