জনঘনত্বের তারতম্য অনুযায়ী ভারতের রাজ্যগুলির বণ্টন আলােচনা করাে

জনঘনত্বের তারতম্য অনুযায়ী ভারতের রাজ্যগুলির বণ্টন আলােচনা করাে
অথবা, জনঘনত্ব অনুযায়ী রাজ্যগুলির শ্রেণিবিভাগ করাে। Class 10 | Geography (ভারতের অর্থনৈতিক পরিবেশ) | 5 Marks

উত্তর:-

জনঘনত্বের তারতম্য অনুযায়ী ভারতের রাজ্যগুলির বণ্টন 

রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল-সহ ভারতের বিভিন্ন অংশে বিভিন্ন কারণে জনঘনত্বের তারতম্য লক্ষ করা যায়। জনঘনত্বের ভিত্তিতে ভারতের রাজ্যগুলিকে 5টি ভাগে ভাগ করা যায়, যথা— 

1. অত্যধিক জনঘনত্বযুক্ত অঞ্চল: জনঘনত্ব: প্রতি বর্গকিমিতে 800 জনের বেশি। অন্তর্গত রাজ্যসমূহ: বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, কেরল, উত্তরপ্রদেশ। অন্তর্গত কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলসমূহ: দিল্লি, চণ্ডীগড়, পুদুচেরি (পণ্ডিচেরি), লাক্ষাদ্বীপ এবং দমন ও দিউ। কারণ: শিল্প ও বাণিজ্যের প্রসার, প্রশাসনিক ক্রিয়াকলাপ প্রভৃতি। 

2. অধিক জনঘনত্বযুক্ত অঞ্চল: জনঘনত্ব: প্রতি বর্গকিমিতে 401-800 জন। অন্তর্গত রাজ্যসমূহ: পাঞ্জাব, তামিলনাড়ু, হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ড। অন্তর্গত কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলসমূহ: দাদরা ও নগর হাভেলি। কারণ: কৃষিপ্রধান এই রাজ্যগুলিতে শিল্প, বাণিজ্য ও যােগাযােগ ব্যবস্থার প্রভূত উন্নতি।

3. মধ্যম জনঘনত্বযুক্ত অঞ্চল: জনঘনত্ব: প্রতি বর্গকিমিতে 201-400 জন। অন্তর্গত রাজ্যসমূহ: ওড়িশা, মহারাষ্ট্র, গুজরাত, অর্ধপ্রদেশ (অবিভক্ত), কর্ণাটক, ত্রিপুরা, অসম, গােয়া, মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থান। কারণ:কৃষি ও শিল্পে উন্নতি, খনিজ সম্পদের উত্তোলন। 

4. স্বল্প জনঘনত্বযুক্ত অঞ্চল: জনঘনত্ব: প্রতি বর্গকিমিতে 101-200 জন। অন্তর্গত রাজ্যসমূহ: হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মেঘালয়, ছত্তিশগড় এবং জম্মু ও কাশ্মীর। কারণ: বন্ধুর ও পর্বতময় দুর্গম ভূপ্রকৃতি, অনুর্বর মৃত্তিকা, প্রতিকূল ও শীতল জলবায়ু, কৃষিজমির অভাব।

5. অতি স্বল্প জনঘনত্বযুক্ত অঞ্চল: জনঘনত্ব: প্রতি বর্গকিমিতে 100 জনের কম। অন্তর্গত রাজ্যসমূহ: সিকিম, মিজোরাম ও অরুণাচল প্রদেশ। অন্তর্গত কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলসমূহ: আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ। কারণ: জলবায়ু ও ভূপ্রকৃতির বিরূপতার জন্য জীবনধারণের সমস্যা।

Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।

Leave a Comment