খেলার ইতিহাসচর্চার বৈশিষ্ট্যগুলি লেখাে। 

খেলার ইতিহাসচর্চার বৈশিষ্ট্যগুলি লেখাে। Mark 4 | Class 10

উত্তর:-

ভূমিকা : প্রাচীন গ্রিসে অলিম্পিক ক্রীড়া প্রতিযােগিতার মাধ্যমে খেলাধুলার যে ঐতিহ্য শুরু হয়েছিল আজ তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ফুটবল, ক্রিকেট, হকি, টেনিস, গল্ফ, পােলাে প্রভৃতি খেলা। বিশ শতকের শেষ দুই দশক থেকে এই সমস্ত খেলা সম্পর্ক যে ইতিহাসচর্চা শুরু হয়েছে তা খেলার ইতিহাস নামে পরিচিত। 

 বৈশিষ্ট্য : খেলার ইতিহাসচর্চার বৈশিষ্ট্যগুলি হল—

১) উদ্ভব ও বিবর্তন : বিভিন্ন খেলার উদ্ভব ও বিবর্তন কীভাবে হয়েছিল এবং এগুলির সঙ্গে যে দেশগুলি ও তাদের পৃষ্ঠপােষকরা জড়িয়ে ছিলেন তাদের চিহ্নিত করা। 

২) সরঞ্জাম : বিভিন্ন খেলার বিভিন্ন রকম সরঞ্জাম শিল্পবিপ্লবের আগে কেমন ছিল এবং শিল্পবিপ্লবের পরে কেমন হল তা চিহ্নিত করাই এই ইতিহাসের একটি বিশিষ্ট দিক। 

৩) ঔপনিবেশিক শাসনে সংহতি : ঔপনিবেশিক শক্তিগুলি তাদের উপনিবেশে ক্রিকেট, ফুটবল, হকি, টেনিস খেলা চালু করে ঔপনিবেশিক শাসনে সংহতি আনতে চেয়েছিল। এ প্রসঙ্গে সাম্রাজ্যবাদী দেশ ইংল্যান্ড কর্তৃক উপনিবেশগুলিতে সংহতি প্রতিষ্ঠার জন্য ক্রিকেট খেলাকে ব্যবহার করার কথা বলা যায়। 

৪) জাতীয়তাবাদের উন্মেষ : খেলাকে কেন্দ্র করে দেশীয় জনগণের মধ্যে কীভাবে বিদেশি শাসনের বিরুদ্ধে জাতীয়তাবাদের উন্মেষ ঘটে তা ব্যাখ্যা করা এই ইতিহাসের একটি দিক।

উপসংহার : কেবলমাত্র খেলার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে খেলার সঙ্গে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় সংস্কৃতি কীভাবে জড়িয়ে পড়েছে তা অনুসন্ধান করাও এই ইতিহাসচর্চার বৈশিষ্ট্য।

Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।

Leave a Comment