কোন্ কোন্ ক্ষেত্রে A বচনের সরল আবর্তন সম্ভব?

কোন্ কোন্ ক্ষেত্রে A বচনের সরল আবর্তন সম্ভব?
অথবা, A বচনের সরল আবর্তনের ক্ষেত্রগুলি কী কী? উদাহরণসহ আলােচনা করাে।   Class 12 | Philosophy (দর্শন) | 8 Marks

উত্তর:-

A বচনের সরল আবর্তনের বিভিন্ন ক্ষেত্র: সাধারণভাবে A বচনের সরল আবর্তন করা না গেলেও তিনটি বিশেষ ক্ষেত্রে A বচনের সরল আবর্তন করা সম্ভব। অর্থাৎ, এই তিনটি বিশেষ ক্ষেত্রে A বচনের আবর্তনের ফলে সিদ্ধান্তে A বচনই পাওয়া যায়। এই তিনটি ক্ষেত্রকে পরপর উদাহরণ সহযােগে উল্লেখ করা হল। 

[1] সংজ্ঞাবাচক পদের ক্ষেত্রে A বচনের সরল আবর্তন সম্ভব: কোনাে বচনের ক্ষেত্রে বিধেয় পদটি যদি উদ্দেশ্য পদের সংজ্ঞাবাচক হয় তবে সেক্ষেত্রে A বচনের সরল আবর্তন সম্ভব। অর্থাৎ, এরূপ ক্ষেত্রে আবর্তনের ফলে A বচন থেকে A বচনই পাওয়া যায়।

উদাহরণ


সকল মানুষ হয় বুদ্ধিবৃত্তিসম্পন্ন জীব (A)।

→ 

আবর্তনীয়

∴ সকল বুদ্ধিবৃত্তিসম্পন্ন জীব হয় মানুষ (A)।

→ 

আবর্তিত

ব্যাখ্যা 

এক্ষেত্রে যুক্তিবাক্যের উদ্দেশ্য পদ হল মানুষ। এই মানুষ পদটির  সংজ্ঞা হল মানুষ বুদ্ধিমান জীব। সুতরাং দেখা যায় যে, বিধেয় পদ তথা বুদ্ধিবৃত্তিসম্পন্ন জীব পদটি মানুষ পদের সংজ্ঞা থেকেই নিঃসৃত হয়েছে। এর ফলে মানুষ বলতে আমরা যা বুঝি, বুদ্ধিবৃত্তিসম্পন্ন জীব বলতেও আমরা ঠিক একই বিষয়কেই বুঝে থাকি। এক্ষেত্রে তাই A বচনের সরল আবর্তন করে সিদ্ধান্তে A প্রতিষ্ঠা করা যায়।

 

[2] বিশিষ্ট নামবাচক পদের ক্ষেত্রে A বচনের সরল আবর্তন সম্ভব : উদ্দেশ্য এবং বিধেয় পদ দুটি যদি বিশিষ্ট নামবাচক পদ হয়, তাহলে সেক্ষেত্রে A বচনের সরল আবর্তন সম্ভব। অর্থাৎ, সেক্ষেত্রে A বচনের সরল আবর্তন করে সিদ্ধান্তে A বচনই লাভ করা যায়।

উদাহরণ


অধ্যাপক প্রণব মুখার্জী হন বর্তমান ভারতের রাষ্ট্রপতি (A) l

→ 

আবর্তনীয়

∴ বর্তমান ভারতের রাষ্ট্রপতি হন অধ্যাপক প্রণব মুখার্জী (A)।

→ 

আবর্তিত

ব্যাখ্যা 

এক্ষেত্রে যুক্তিবাক্যের উদ্দেশ্য পদ তথা অধ্যাপক প্রণব মুখার্জী একটি কটি বিশিষ্ট নামপদ | আবার বর্তমান ভারতের রাষ্ট্রপতি তথা বিধেয়টিও হল একটি বিশিষ্ট নামপদ | অর্থাৎ, আমরা অধ্যাপক প্রণব মুখার্জী বলতে যা বুঝি, বর্তমান ভারতের রাষ্ট্রপতি বলতেও আমরা ঠিক একই ব্যক্তিকে বুঝে থাকি। এক্ষেত্রে তাই A বচনের সরল আবর্তন করে সিদ্ধান্তে A বচনই পাওয়া যায়।

 

[3] পুনরুক্তিমূলক পদের ক্ষেত্রে A বচনের সরল আবর্তন সম্ভব: কোনাে A বচনের বিধেয় পদটি যদি উদ্দেশ্যের পুনরুক্তিমূলক হয় তবে সেক্ষেত্রে আমরা A বচনের সরল আবর্তন করতে পারি। অর্থাৎ, সেরূপ ক্ষেত্রে আমরা A বচনের আবর্তন করে সিদ্ধান্তে A বচনই লাভ করে থাকি।

উদাহরণ


সকল বিড়াল হয় মার্জার (A)।

→ 

আবর্তনীয়

∴ সকল মার্জার হয় বিড়াল (A)।

→ 

আবর্তিত

ব্যাখ্যা 

এক্ষেত্রে যুক্তিবাক্যের উদ্দেশ্য পদ তথা বিড়াল পদটির পুনরুক্তি হল বিধেয় পদ তথা মার্জার। অর্থাৎ, বিড়াল বলতে আমরা যা বুঝে থাকি, মার্জার বলতেও ঠিক একই প্রাণীকেই বুঝে থাকি |  একটি পদ তাই অন্যটির পুনরুক্তিমূলক প্রতিশব্দ। এক্ষেত্রে তাই আমরা A বচনের সরল আবর্তন ঘটিয়ে সিদ্ধান্তে A বচনই লাভ করে থাকি।

 

Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।

Leave a Comment