“কর্তা বলেন, সেইখানেই তাে ভূত” কোন্ প্রসঙ্গে এবং কেন কর্তা এ কথা বলেছেন? Mark 5 | Class 11
উত্তর:- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘কর্তার ভূত’ রচনায় আমরা দেখি যে, দেশের মধ্যে দুটো-একটা মানুষ দিনের বেলায় ভূতের নায়েবের ভয়ে চুপ করে থাকে। কিন্তু তারাই গভীর রাতে বুড়াে কর্তার দ্বারস্থ হয়। তাদের মুক্তি দেবার সময় কি তার তখনও হয়নি—হাতজোড় করে এ প্রশ্নই তারা বুড়াে কর্তাকে করে। বুড়াে কর্তা এ কথা শুনে তাদের ‘অবােধ’ সম্বােধন করে বলেন যে, তিনি তাদের যেমন ধরেও রাখেননি, তেমনি ছেড়েও দেননি। তারা বুড়াে কর্তাকে ছাড়লে তবেই তিনি তাদের ছেড়ে চলে যাবেন। সেকথা শুনে তারা জানায় যে, তেমনটা করতে তারা যে ভয় পায়।
বুড়াে কর্তা সরাসরিই জানিয়েছেন যে, মানুষের মনের ভয়ের মধ্যেই ভূত অবস্থান করে। রবীন্দ্রনাথের মতে, আত্মশক্তি এবং আত্মবিশ্বাসের অভাবেই ভীত-সন্ত্রস্ত দেশবাসী আজ ‘পঞত্বপ্রাপ্ত’ ‘সর্বাঙ্গসম্পন্ন প্রাচীন সভ্যতার’ ‘প্রেতযােনি’ আঁকড়ে রয়েছে। জনগণের ভয়ের কারণেই দেশে জীর্ণ ও অপ্রাসঙ্গিক ধর্মীয় সংস্কার ও ধর্মতন্ত্র বাসা বেঁধে রয়েছে। এই কারণেই বুড়াে কর্তা আলােচ্য উক্তিটি করেছেন। আমাদের সর্বাঙ্গসম্পন্ন পঞ্চত্বপ্রাপ্ত প্রাচীন সভ্যতাই এই গল্পের ‘বুড়াে কর্তা এবং সে সভ্যতার ধর্মতন্ত্রই হল তার ‘ভূত’।
Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।