‘কর্তার ভূত’ ছােটোগল্প অবলম্বনে ‘ভূতুড়ে জেলখানা’র বর্ণনা দাও। কাদের সম্বন্ধে এবং কেন লেখক বলেছেন যে, ‘তারা ভয়ংকর সজাগ আছে’?
উত্তর:- কর্তার ভূত’ রচনায় লেখক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন যে, ভূতের নায়েব হলেন ভূতশাসিত কারাগারের পাহারাদার। সেই কারাগারের পাঁচিল অবশ্য চোখে দেখা যায় না। এ কারণে সেখানে যেসব মানুষ বন্দি থাকে, তারা বুঝে উঠতে পারে না যে, কীভাবে সে-পাঁচিল ফুটো করে সেখান থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব। ভুতুড়ে কারাগারেও সাধারণ কারাগারের মতাে অপরাধীদের ঘানি ঘােরাতে হয়। তবে অবিরাম ঘুরিয়েও সেখানকার ঘানি থেকে এক ছটাকও তেল বের হয় না। বরং সেই ঘানি ঘােরালে বের হয় কেবল ঘানি ঘােরানাে মানুষের তেজ ও শক্তি। সেই শক্তি শরীর থেকে বেরিয়ে যাওয়ায় এদেশের মানুষ ক্রমশ ঠান্ডা হয়ে আসে।
পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মানুষ ‘ভূতগ্রস্ত’ অর্থাৎ সংস্কারাচ্ছন্ন না হওয়ায় সেইসব দেশে ঘানি থেকে যে তেল বের হয়, সেই তেল দিয়ে তারা তাদের দেশের রথচক্রকে সচল রাখে। অর্থাৎ গঠনমূলক শ্রমের মধ্য দিয়ে তারা তাদের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে বদ্ধপরিপকর। তা ছাড়া, অন্য সব দেশে ভূতের বাড়াবাড়ি হলেই মানুষ অস্থির হয়ে ওঝার খোঁজ করে। অর্থাৎ ধর্মতন্ত্র ও কুসংস্কার সেখানে মাথাচাড়া দিলে বিদেশিরা বিজ্ঞানের দ্বারস্থ হয়। আর এসব কারণেই বিদেশিরা একেবারে নিরুদ্যম হয়ে পড়েনি বা নেতিয়ে যায়নি, তারা ভয়ংকর সজাগ আছে।
Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।
Thanks 👍 for all information.
It is a very important for education life.
Thank you 👍😊…..
Sayan Mondal.