‘কর্তার ভূত’ রচনায় ‘ওঝা’ প্রসঙ্গটির তাৎপর্যটি লেখাে।

‘কর্তার ভূত’ রচনায় ‘ওঝা’ প্রসঙ্গটির তাৎপর্যটি লেখাে। Mark 5 | Class 11

উত্তর:- ‘কর্তার ভূত’ রচনার মধ্য দিয়ে লেখক রবীন্দ্রনাথ পরাধীন ভারতবাসীর নির্বিকার গতানুগতিক জীবনপ্রণালীকে বিদ্রুপ করেছেন। এদেশের মানুষ ‘ভূত’ অর্থাৎ অতীতের জরাজীর্ণ সংস্কারকে আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকতে ভালােবাসে। কর্তা মরলে কর্তার ভূতও তাই তাদের কাছে নতুনের চেয়ে অনেক বেশি গ্রহণযােগ্য। ফলে নতুনত্বের আহ্বানে এরা সহজে সাড়া দিতে পারে না। তাই অন্য দেশের প্রগতির সঙ্গে এরা তাল মিলিয়ে চলতেও পারে না। উলটোদিকে অন্য দেশগুলিকে ভূতে পায় না, পেলেও তারা দ্রুত ওঝার ব্যবস্থা করে। অর্থাৎ সে দেশগুলিতে প্রাচীনত্বের রেশ কাটাবার ব্যবস্থা থাকে। সে ব্যবস্থা করে থাকেন ওঝা অথচ এদেশের মানুষ সেই প্রাচীনত্বকেই আঁকড়ে থাকে, যা এক অর্থে স্থবিরতা।

আবার যারা বিদেশে গিয়ে পাশ্চাত্য শিক্ষায় অভিভূত হয়ে দেশে তা প্রয়ােগ করতে চান, সমাজের উচ্চপদস্থ ধর্মের ধ্বজাধারীরা তাদেরকেই অপবিত্র বলে দূর করে দেয়। কিন্তু প্রাচীনপন্থী ভারতবাসীর ভূত ছাড়াবার মতাে ওঝার বড়াে অভাব এদেশে। তাই ভারতবাসীর উন্নতি হয় না, অন্যের শাসনের অত্যাচারে পিষ্ট হতে থাকে ক্রমাগত। আসলে মানুষের সচেতনতা না এলে পরিবর্তন সম্ভব নয়। এই সচেতনতা বাড়ানোর জন্য ভালাে ওঝার প্রয়ােজনের কথা লেখক বলেছেন।

Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।

Leave a Comment