কুলটি বার্নপুর লৌহ ইস্পাত শিল্প গড়ে ওঠার কারণগুলি লেখাে।

কুলটি বার্নপুর লৌহইস্পাত শিল্প গড়ে ওঠার কারণগুলি লেখাে। Class 10 | Geography (ভারতের অর্থনৈতিক পরিবেশ) | 5 Marks

উত্তর:-

কুলটি বার্নপুর লৌহ ইস্পাত শিল্প গড়ে ওঠার কারণসমূহ 

অবস্থান: পশ্চিম বর্ধমান জেলায় দামােদর ও বরাকর নদের ধারে পূর্ব রেলপথের দ্বারা সংযুক্ত কুলটিবার্নপুর লৌহ-ইস্পাত কারখানা (ইন্ডিয়ান আয়রন অ্যান্ড স্টিল কোম্পানি বা IISC0)। এই কারখানার একটি অংশ কুলটিতে এবং অপর একটি অংশ নিকটবর্তী বার্নপুরে অবস্থিত।

স্থাপনকাল: ব্যক্তিগত উদ্যোগে কুলটির কারখানাটি 1870 সালে এবং বার্নপুরের কারখানাটি 1918 সালে স্থাপিত হয়। 1972 সাল থেকে এই দুটি কারখানা ভারত সরকারের নিয়ন্ত্রণে আসে। কুলটি বার্নপুর লৌহ-ইস্পাত শিল্প গড়ে ওঠার কারণগুলি হল— 

1) কাঁচামালের সুবিধা: রানিগঞ্জ (পশ্চিমবঙ্গ) ও ঝরিয়া (ঝাড়খণ্ড) থেকে কয়লা;গুয়া, নােয়ামুণ্ডি (ঝাড়খণ্ড); বােলানি, গােরুমহিষানি, বাদামপাহাড় (ওডিশা) থেকে আকরিক লােহা; গাংপুর ও বীরমিত্রপুর (ওডিশা)-এর চুনাপাথর এবং গাংপুর (ওডিশা)-এ ডলােমাইট ও ম্যাঙ্গানিজ পাওয়ার সুবিধা এই অঞ্চলে লৌহইস্পাত শিল্প স্থাপনে সহায়ক। 

2) জলের সহজলভ্যতা: দামােদর এবং বরাকর নদের জল এই শিল্পে প্রয়ােজনীয় জলের চাহিদাপূরণ করে। 

3) তাপসহনক্ষম ইট: রানিগঞ্জ কয়লাখনি অঞ্চলের তাপসহনক্ষম ইট এই লােহা ও ইস্পাত কারখানার চাহিদা মেটায়। 

4) বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অবস্থান: দুর্গাপুর, ওয়ারিয়া, দিশেরগড় ও মেজিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র এই শিল্পকেন্দ্রের প্রয়ােজনীয় বিদ্যুৎশক্তির জোগান দেয়। 

5) সুলভ শ্রমিক: বিহার, ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গের সুলভ এবং দক্ষ শ্রমিক শ্রমশক্তির চাহিদা পূরণ করে।

অন্যান্য কারণ

1) উন্নত পরিবহণ ব্যবস্থা: AH-19 (NH-2) এবং পূর্ব রেলপথের মাধ্যমে প্রয়ােজনীয় কাঁচামাল পরিবহণ ও পণ্যদ্রব্য রপ্তানিতে সুবিধা হয়।

2) বন্দরের অনুকূল অবস্থান: নিকটবর্তী কলকাতা (230 কিমি) ও হলদিয়া (300 কিমি) বন্দর দিয়ে প্রয়ােজনীয় কাঁচামাল আমদানি ও উৎপাদিত দ্রব্যের রপ্তানিতে সুবিধা হয়। 

3) ক্রমবর্ধমান চাহিদা ও উন্নত বাজার: সমগ্র দেশজুড়ে ইস্পাতের চাহিদা বৃদ্ধি এই শিল্পকেন্দ্রের উন্নতির সহায়ক হয়েছে।

Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।

Leave a Comment