Madhyamik Bengali Suggestion 2023 – মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন ২০২৩ | জ্ঞানচক্ষু (আশাপূর্ণা দেবী) MCQ, সংক্ষিপ্ত, অতি সংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর

Madhyamik Bengali Suggestion 2023  ” মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন ২০২৩ | জ্ঞানচক্ষু (আশাপূর্ণা দেবী) MCQ, সংক্ষিপ্ত, অতি সংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর “ একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ টপিক মাধ্যমিক পরীক্ষা (Madhyamik / WB Madhyamik / MP Exam Class 10 Exam / West Bengal Board of Secondary Education – WBBSE Madhyamik Exam / Madhyamik Class 10th / Class X / Madhyamik Pariksha) পরীক্ষায় এখান থেকে কিছু প্রশ্ন অবশ্যই থাকবে । সে কথা মাথায় রেখে Wbshiksha.com এর পক্ষ থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের দের জন্য় অতি আবশ্যক কিছু প্রশ্নোত্তর এবং সাজেশন

জ্ঞানচক্ষু (আশাপূর্ণা দেবী)

Madhyamik Bengali Suggestion 2023 – মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন ২০২৩ | জ্ঞানচক্ষু (আশাপূর্ণা দেবী) MCQ, সংক্ষিপ্ত, অতি সংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর

সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখা । প্রশ্নের মান ১

১। জ্ঞানচক্ষু’ শব্দের অর্থ হল –

(ক) বােধােদয়।

(খ) জ্ঞানের চক্ষু 

(গ) চাক্ষুষ জ্ঞান 

(ঘ) চক্ষু সম্বন্ধীয় জ্ঞান।

উত্তর – (ক) বােধােদয়।

২। তপনের নতুন মেলােমশাই ছিলেন একজন —

 (ক) অভিনেতা

(খ) খেলােয়াড় 

(গ) নেতা।

(ঘ) লেখক 

উত্তর – (ঘ) লেখক 

৩। যেন নেশায় পেয়েছে’ কাকে নেশা পাওয়ার কথা বলা হয়েছে – 

(ক) ছােটোমাসি

(খ) তপন

(গ) ছােটো মামা

(ঘ) বাবা 

উত্তর – (খ) তপন

৪। তপন যে আত্মীয়ার বিয়েতে এসেছিল – 

(ক) ছােটোপিসির

(খ) ছােটোমামার 

(গ) ছােটো মাসির

(ঘ) মেজোমামার

উত্তর – (গ) ছােটো মাসির

৫ | চোখ মার্বেল হয়ে গেল’ – কার —

 (ক) তপনের

(খ) ছােটোমাসির। 

(গ) ছােটোমেসাের।

(ঘ) তপনের মায়ের।

উত্তর – (ক) তপনের

৬। এ তপনের পুরাে নাম –

(ক) তপন কুমার রায়। 

(খ) তপন রায় 

(গ) তপন কান্তি রায় । 

(ঘ) তপন কুমার সেন।

উত্তর – (ক) তপন কুমার রায়। 

৭।  তপনের গল্প শুনে সবাই — 

(ক) হাসে।

(খ) দুঃখ পায় 

(গ) রাগ হয়

(ঘ) কেদে দেয় 

উত্তর – (ক) হাসে।

৮। তপনের লেখা গল্পের নাম ছিল –

(ক) প্রথম পরীক্ষা। 

(খ) প্রথম দিন। 

(গ) শেষ রাত

(ঘ) শেষ দিন 

উত্তর – (খ) প্রথম দিন।

৯। পৃথিবীতে এমন অলৌকিক ঘটনাও ঘটে ?– অলৌকিক ঘটনাটি হল –

 (ক) বাড়িতে তপনের নাম হয়ে গেছে কবি, সাহিত্যিক। 

(খ) তপনের লেখা গল্প সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় ছাপানাে হয়েছে।

(গ) তপনের মাসির বিয়ে হয়েছিল। 

(ঘ) এক লেখকের সঙ্গে তপনের ছােটোমাসির বিয়ে হয়েছে।

উত্তর – (খ) তপনের লেখা গল্প সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় ছাপানাে হয়েছে।

১০।  রত্নের মূল্য জহুরির কাছেই’ – জহুরি কে? 

(ক) ছােটোমাসি।

(খ) ছােটোমেসাে 

(গ) প্রকাশক

(ঘ) তপন। 

উত্তর – (খ) ছােটোমেসাে 

১১। তপনের গল্প যে পত্রিকায় ছাপা হয় তা হল –

(ক) সন্ধ্যাতারা।

(খ) সন্ধ্যাবাতি 

(গ) সন্ধ্যাপ্রদীপ

(ঘ) সাঁঝবেলা।

উত্তর – (ক) সন্ধ্যাতারা।

১২। ‘চায়ের টেবিলে কথা ওঠে’ – কখন –

 (ক) সকালে ।

(খ) দুপুরে 

(গ) বিকেলে 

(ঘ) সন্ধ্যাবেলা

উত্তর – (গ) বিকেলে

অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন (প্রশ্নমান – ১)

জ্ঞানচক্ষু (আশাপূর্ণা দেবী) প্রশ্ন উত্তর – মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন ২০২৩ – Madhyamik Bengali Suggestion 2023

১. “এ বিষয়ে সন্দেহ ছিল তপনের”—কোন বিষয়ে তপনের সন্দেহ ছিল?

উত্তরঃ একজন লেখকও যে সাধারণ মানুষের মতো হতে পারে, তাদের আচরণও যে আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মতোই হয়ে থাকে সেই বিষয়ে তপনের সন্দেহ ছিল।

২. “অনেক বই ছাপা হয়েছে”—কার অনেক বই ছাপা হয়েছে?

উত্তরঃ তপনের ছোটোমেসো, যিনি আসলে লেখক, তাঁরই অনেক বই ছাপা হয়েছে।

৩. “তবে তপনেরই বা লেখক হতে বাধা কী?” তপনের লেখক হতে বাধা ছিল কেন?

অথবা, তপনের লেখক হতে বাধা নেই কেন?

উত্তরঃ তপন মনে করত লেখকরা তার মতো সাধারণ মানুষ নয়, হয়তো তারা অন্য গ্রহের জীব—তাই তার লেখক হতে বাধা ছিল। অথবা, নতুন মেসোকে দেখে তপন বুঝতে পারল তিনি তাদের মতোই মানুষ, আকাশ থেকে পড়া কোনো জীব নয়। তাই তপনেরও লেখক হতে কোনো বাধা নেই।

৪. কাকে দেখে তপনের জ্ঞানচক্ষু খুলে গেল?

উত্তরঃ নতুন মেসো অর্থাৎ ছোটো মেসোমশাইকে দেখে তপনের জ্ঞানচক্ষু খুলে গেল।

৫. তপনের ছোটোমেসো ছোটোমামার মতো কী করেন?

উত্তরঃ তপনের ছোটোমেসো ছোটোমামার মতো খবরের কাগজের সব কথা নিয়ে প্রবলভাবে গল্প করেন, তর্ক করেন, ‘এদেশের কিছু হবে না’ বলেন।

৬. তপনের ছোটো মেসোমশাইয়ের পরিচয় কী?

উত্তরঃ তপনের ছোটো মেসোমশাই একজন কলেজের অধ্যাপক। তিনি একজন লেখক, সত্যিকারের লেখক।

৭. তপনের ছোটো মেসোমশাই সুযোগ পেলে কী করতেন?

উত্তরঃ তপনের ছোটো মেসোমশাই সুযোগ পেলে দিবানিদ্রা যেতেন।

৮. “তা হলে বাপু তুমি ওর গল্পটা ছাপিয়ে দিও”—এই কথাটি কে, কাকে বলেছে?

উত্তরঃ লেখিকা আশাপূর্ণা দেবীর লেখা ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে তপনের ছোটোমাসি তার স্বামীকে অর্থাৎ ছোটোমেসোকে এই কথাটি বলেছে।

৯. বিকেলে চায়ের টেবিলে কী কথা ওঠে?

উত্তরঃ লেখিকা আশাপূর্ণা দেবীর লেখা ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে তপনের গল্প লেখার ব্যাপারটা বিকেলে চায়ের টেবিলে ওঠে।

১০. লেখার প্রকৃত মূল্য কে বুঝবে বলে তপন মনে করেছিল?

উত্তরঃ তপনের ছোটোমেসো লেখালেখি করতেন। তার অনেকগুলো বই ছিল। তিনি যেহেতু অনেক বই লিখেছেন, তাই লেখক মানুষ হিসেবে তিনিই লেখার প্রকৃত মূল্য বুঝবেন বলে তপন মনে করেছিল।

১১. “লেখার প্রকৃত মূল্য বুঝলে নতুন মেসোই বুঝবে।”—লেখার প্রকৃত মূল্য কেবল নতুন মেসোই বুঝবে কেন?

উত্তরঃ নতুন মেসো একজন নামকরা লেখক। তাই তিনিই তপনের লেখার প্রকৃত মূল্য বুঝবেন।

১২. ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকায় লেখা ছাপা প্রসঙ্গে তপনের মেলোমশাই কী বলেছিলেন?

উত্তরঃ ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন তপনের মেসোমশাইয়ের পরিচিত তপনের লেখা দেখে মেসোমশাই বলেছিলেন, তিনি যদি ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকার সম্পাদককে লেখা ছাপানোর কথা বলেন তাহলে সম্পাদকমশাই না বলতে পারবেন না।

১৩. গল্প লেখার পর তপনের কী মনে হয়েছিল?

উত্তরঃ একটা গোটা গল্প সে লিখে ফেলেছে এটা ভেবেই তপনের সারা গায়ে কাটা দিয়ে উঠল, মাথার চুল পর্যন্তখাড়া হয়ে উঠল। সে ভাবল এখন তাকেও লেখক বলা যায়।

১৪. বিয়ে হয়ে ছোটোমাসি কীরকম হয়ে গেছে?

উত্তরঃ লেখিকা আশাপূর্ণা দেবীর লেখা “জ্ঞানচক্ষু গল্পে তপনের ছোটোমাসি বিয়ে হওয়ার পর একটু মুরুব্বি হয়ে গেছে।

১৫. তপনের গল্প ছাপা হলে তার মা প্রথমে কী বলেন?

উত্তরঃ তপনের গল্প ছাপা হলে তার মা প্রথমে বলেন, “কই তুই নিজের মুখে একবার পড় তো শুনি! বাবা, তোর পেটে পেটে এত।”

১৬. “মেসো অবশ্য মৃদু মৃদু হাসেন।”- মেসোর হাসির কারণ কী?

উত্তরঃ মেসো জানেন তপনের গল্প তিনি সংশোধন করে নিজে সম্পাদকের হাতে জমা দিয়েছেন আর তা ছাপানোর কাজে সার্থক হয়েছেন, তাই তিনি মৃদু মৃদু হাসেন।

১৭. “ক্রমশ ও কথাটা ছড়িয়ে পড়ে।”—কোন কথাটি ছড়িয়ে পড়ে?

উত্তরঃ ছােটোমাসির বিয়েতে এসে একটা আস্ত গল্প লিখে ফেলে, সেই গল্প ছাপার পর মেসাের কারেকশনের কথা ছড়িয়ে পড়ে।

১৮. “ছোটোমাসি সেই দিকে ধাবিত হয়।”—ছোটোমাসি কোন দিকে ধাবিত হয়?

উত্তরঃ মেসোমশাই যেখানে দিবানিদ্রা দিচ্ছিলেন সেদিকে ছোটোমাসি ধাবিত হয়।

১৯. “তপন অবশ্য মাসির এই হইচইতে মনে মনে পুলকিত হয়।”- তপনের এই পুলকের কারণ কী?

উত্তরঃ তপনের মাসি তপনের লেখা নিয়ে মেসোমশাইয়ের কাছে গিয়ে হইচই করলে সে পুলকিত হয় কারণ তার লেখার মূল্য একমাত্র মেসোমশাইয়ের পক্ষেই বোঝা সম্ভব।

কমবেশি ৬০ টি ব্দের মধ্যে উত্তর লেখাে (প্রশ্নমান – ৩)

জ্ঞানচক্ষু (আশাপূর্ণা দেবী) প্রশ্ন উত্তর – মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন ২০২৩ – Madhyamik Bengali Suggestion 2023

1। কথাটা শুনে তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল! কেন কথা শুনে তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল ? কারণ কী? অথবা, “এ বিষয়ে সন্দেহ ছিল তপনের”—তপনের কোন বিষয়ে সন্দেহ ছিল ? অথবা, “একেবারে নিছক মানুষ।”– কোন্ মানুষকে কেন নিছক বলা হয়েছে?

উত্তর – আশাপূর্ণা দেবী রচিত ‘জ্ঞানচক্ষু গল্পে তপনের ছােটো মাসির সঙ্গে একজন লেখকের বিয়ে হয়েছিল। এই কথা শুনে তপনের চোখ মার্বেল হয়ে যায়। তপন ভেবেছিল লেখকরা হয়তাে অন্য গ্রহের মানুষ। কিন্তু বিয়ের পর ছােটো মেসাে অর্থাৎ লেখক মেসােকে দেখে তপন অবাক হয়ে যায়। জলজ্যান্ত একজন লেখককে এত কাছ থেকে সে কখনাে দেখেনি। তিনিও যে তপনের বাবা, কাকা, মামার মতাে সাধারণ মানুষ হবেন এই বিষয়ে তপনের সন্দেহ ছিল। তিনিও যে একজন সাধারণ নিছক মানুষ একথা তপন প্রথমে ভাবতে পারে নি।

২। জ্ঞানচক্ষু খুলে গেল’ কার কীভাবে জ্ঞানচক্ষু খুলেছিল লেখাে। অথবা, নতুন মেসসাকে দেখে জ্ঞানচক্ষু খুলে গেল তপনের’ – তপনের কীভাবে জ্ঞানচক্ষু খুলে যায় ?

উত্তর – আশাপূর্ণা দেবীর লেখা ‘জ্ঞানচক্ষু গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র তপনের জ্ঞানচক্ষু খুলে গিয়েছিল অর্থাৎ বােধােদয় হয়েছিল। তপনের ধারণায় লেখকেরা সাধারণ মানুষ নন, আকাশ থেকে পড়া কোনাে জীব। সে কখনাে কোনাে লেখককে চাক্ষুষ দেখেনি কিন্তু মামাবাড়িতে নিজের লেখক ছােটোমেসােকে দেখে তার সেই ধারণা সম্পূর্ণ পাল্টে যায়। লেখক সম্পর্কে বাস্তব পর্যবেক্ষণলব্ধ জ্ঞান দিয়ে তার বােধােদয় হয়। সে জানতে পারে লেখকরা তার বাবা, মামা কিংবা কাকার মতােই নিছক একজন মানুষ।

৩। জহুরি’ কাকে বলা হয়? জ্ঞানচক্ষু গল্পে কাকে, কেন জহুরি’ বলা হয়েছে? অথবা, রত্নের মূল্য জহুরির কাছেই’ – রত্ন’ ও ‘জহুরি’ কী? প্রসঙ্গটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা কর।

উত্তর – ‘জওহর’ শব্দ থেকে ‘জহর’ শব্দটি এসেছে। জহর’ শব্দের অর্থ মহামূল্যবান রত্ন। সেই রত্ন বণিক এবং যিনি রত্নের আসল নকল নির্বাচন করেন তিনিই ‘জহুরি’। গল্পে বিশেষ দক্ষতা বােঝাতে শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে।

“জ্ঞানচক্ষু গল্পে ‘জহুরি’ বলতে তপনের লেখক মেসােকে বােঝানাে হয়েছে। তিনি একদিকে কলেজের অধ্যাপক সেই সঙ্গে লেখকও। তাই তপনের ধারণা ছিল তিনিই লেখার প্রকৃত মূল্য বুঝবেন এবং তার লেখার মা। যাচাই করতে পারবেন একজন প্রকৃত জহুরির মতােই। একজন জ্ঞানী মানুষের। দ্বারা মূল্যায়ন প্রকৃতই সার্থকতার ও যথার্থতার দাবী রাখে।।

৪। ‘সারা বাড়িতে শােরগােল পড়ে যায়’ – সারা বাড়িতে শােরগােল পড়ে যাওয়ার কারণ কী?

উত্তর –  দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় তপনের লেখা গল্প ছাপা হলে সারা বাড়িতে শােরগােল পড়ে যায়। জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে তপনের কাঁচা হাতের লেখা বিদ্যালয় জীবনের অভিজ্ঞতা ও অনুভূতি সমৃদ্ধ ‘প্রথম দিন’ গল্পটি নতুন মেসাে নিজের পাকা হাতের কলমে কারেকশান করেন এবং সন্ধ্যাতারা। পত্রিকার সম্পাদকের বদান্যতায় আঁটসাঁট ছাপার অক্ষরে প্রকাশিত হয়। সেই খবরে সারা বাড়িতে শােরগােল পড়ে যায়।

৫। ‘পৃথিবীতে এমন অলৌকিক ঘটনাও ঘটে’ – কার এমন ধারণা হয়েছিল? ‘অলৌকিক ঘটনাটি কী?

উত্তর – সাহিত্য স্রষ্টাদের প্রতি তপনের ধরণা ছিল, তারা এজগতের নয় বরং আকাশ থেকে পড়া জীব। কিন্তু লেখক ছােটোমেসােকে দেখার পর তপনের সেই ধারণার আমূল পরিবর্তন হয়।

তপনের লেখা গল্প লেখক ছােটোমেসাে ছাপিয়ে দেওয়ার অঙ্গীকার করে চলে যায়। দীর্ঘ প্রতীক্ষায় হাল ছেড়ে তপন উদাস নয়নে দিনগুণতে থাকে। হঠাৎ একদিন সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকা হাতে নতুন মেসাে-মাসি তাদের বাড়িতে আসায় আনন্দে উদ্বেগে ‘বুকের রক্ত ছলকে ওঠে’ তপনের। তার লেখা গল্প পত্রিকায় ‘প্রথম দিন’ নামাঙ্কিত হয়ে প্রকাশিত হয়েছে, আবার তা হাজার হাজার ছেলের হাতে ঘুরবে এবং সবাই তা পড়বে – এই অলৌকিক ঘটনার কথা তপন ব্যক্ত করেছে।

৬। তপন পড়তে গিয়ে পড়তে পারল না’ – এখানে কী পড়ার কথা বলা হয়েছে? তপন তা পড়তে পারেনি কেন?

উত্তর – গ্রীষ্মের দুপুরে একান্তে বসে লেখা তপনের গল্প। সেটা সন্ধ্যাতারা। পত্রিকায় প্রথম দিন’ শিরােনামে প্রকাশিত হয়। এখানে সেই গল্পটি পড়ার কথা। বলা হয়েছে। 

একেবারে কাঁচা হাতের লেখা তপনের গল্প ছাপার অক্ষরে পত্রিকায়। প্রকাশিত হলে বাড়িতে সকলের সামনে তপনের মা তপনকে সেই গল্প পড়ে। শােনাতে বলেন। তপন যখন গল্পটি পড়তে যায় তখন সে পড়তে পারেনি তার। কারণ –

(ক) নিজের লেখাকে অপরিচিত মনে হয়। (খ) মেসাে নিজের পাকা। হাতের কলমে গল্পটি আগাগােড়া কারেকশান করেছেন। (গ) গল্পে তপন নিজেকে। খুঁজে পায়নি। (ঘ) লজ্জায়, অপমানে তার গলা দিয়ে স্বর বের হতে চায়না

৭। ‘মেসাের উপযুক্ত কাজ হবে সেটা’—কোন্ কাজকে মেশাের উপযুক্ত বলা হয়েছে ? অথবা, ‘তােমার গল্প আমি ছাপিয়ে দেবাে।বক্তা কে ? বক্তার কোন মানসিকতার প্রকাশ পেয়েছে ? অথবা, ‘একটু কারেকশান করে ইয়ে করে দিলে ছাপতে দেওয়া চলে’—বক্তা কে? এই রকম উক্তির কারণ কী ? 

উত্তর – বক্তা হল তপনের নতুন ছােটো মেসাে।

আশাপূর্ণা দেবীর ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে ছােটো মাসির বিয়েতে এসে তপন স্কুলের প্রথম অভিজ্ঞতা নিয়ে প্রথম দিন’ গল্পটি চুপিচুপি লিখে ফেলে। তপনের লেখা পড়ে ছােটোমেসাে তাকে উৎসাহ দেন ও বলেন——“তােমার গল্প তাে দিব্যি হয়েছে। একটু কারেকশান করে ইয়ে করে দিলে ছাপতে দেওয়া চলে। আর এই কথা শুনেই মাসি সেটা ছাপিয়ে দেওয়ার অনুরােধ জানান, যেটা কিনা মেসাের উপযুক্ত কাজ হবে। 

৮।  আর সবাই তপনের গল্প শুনে হাসে। — সকলে তপনের গল্প শুনে। হাসার কারণ কী? অথবা, ‘বিকেলে চায়ের টেবিলে ওঠে কথাটা’ – চায়ের টেবিলে কী কথা উঠেছিল?

উত্তর – আধুনিক বাংলা সাহিত্যের নারীবাদী সাহিত্যিক আশাপূর্ণা দেবীর ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে নায়ক তপন ছােটোমাসির বিয়েতে এসে যে আস্ত একটা গল্প লিখে ফেলে, আর সেটা ছাপাও হয়। সেই কথাটাই তপনের বাড়িতে বিকেল বেলা চায়ের আড্ডায় উঠেছিল। তপন ছােটো হয়েও যে সে একটা আস্ত গল্প লিখতে পারে প্রথমে কেউই বিশ্বাস করতে পারেনি। তাই তপনের গল্প শুনে সকলে হেসেছিল।

৯। ‘তার চেয়ে দুঃখের কিছু নেই, তার থেকে অপমানের’—তার চেয়ে বলতে কী বােঝানাে হয়েছে ? অথবা, তপনকে যেন আর কখনাে শুনতে না হয়”কী না শােনার কথা বলা হয়েছে ? অথবা, যদি কখনাে লেখা ছাপাতে দয়ে তাে তপন নিজে গিয়ে দেবে’ – তপন কখন এই সংকল্প গ্রহণ করে? অথবা, শুধু এই দুঃখের মুহূর্তে গভীর সংকল্প করে তপন’দুঃখের। মুহুর্তটি কী ? তপন কী সংকল্প করেছিল ?

উত্তর – জ্ঞানচক্ষু গল্পের বালক তপনের গল্পটি ছােটো মেসাে সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় ছাপিয়ে দিলে তপন প্রথমে আনন্দে বিহুল হয়ে যায় এবং সে মনে করেছিল আজকে তার সব চেয়ে সুখের দিন। কিন্তু পত্রিকায় ছাপানাে গল্পটি পড়ে তপন অবাক হয়ে যায় এবং বুঝতে পারে গল্পটি ছােটো মেসাে সম্পূর্ণ কারেকশান করে বদলে ফেলেছেন। আত্মসম্মানে আহত তপনের কাছে দুঃখের। সে সংকল্প করে— “যদি কখনাে লেখা ছাপতে দেয় তাে তপন নিজে গিয়ে দেবে। নিজের কাঁচা লেখা, ছাপা হয় তােক, না হয় না তােক।”

রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর (প্রশ্নমান – ৫)

জ্ঞানচক্ষু (আশাপূর্ণা দেবী) প্রশ্ন উত্তর – মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন ২০২৩ – Madhyamik Bengali Suggestion 2023

১। জ্ঞানচক্ষু’ অবলম্বনে তপন চরিত্রটি বিশ্লেষণ করাে।

উত্তর – এখানে ক্লিক করুন

২। জ্ঞানচক্ষু গল্পে মেসােমশাইয়ের চরিত্র আলােচনা করাে।

উত্তর – এখানে ক্লিক করুন

3। “পৃথিবীতে এমন অলৌকিক ঘটনাও ঘটে”– অলৌকিক ঘটনাটি কী? একে অলৌকিক বলার কারণ কী? অথবা, “এমন সময় ঘটল সেই ঘটনা ঘটনাটির উল্লেখ করাে

উত্তর – এখানে ক্লিক করুন

4। ছাপা হয় হােক, না হয় না হােক। – এখানে কী ছাপার কথা বলা হয়েছে ? বক্তার এরকম প্রতিজ্ঞা করার কারণ বর্ণনা করাে।

অথবা,বকের রক্ত ছলকে ওঠে তপনের’– তপনের এই অনুভুতির কারন কি ?.

অথবা, তপনের মনে হয় আজ যেন তার জীবনের সবচেয়ে দুঃখে আজ বলতে কোন দিনের কথা বলা হয়েছে ? এ রকম মনে কারণ আলােচনা করাে।

অথবা, “মনে হল দুঃখে লজ্জায় ঘৃণায় নিজেই যেন মাটির সঙেগ মিশে যাই”- কার মনে হয়েছিল? কোন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তার এই অনুভূতি হয়েছিল?

উত্তর – এখানে ক্লিক করুন

5. জ্ঞানচক্ষু গল্পের নামকরণের সার্থকতা বিচার করাে ?

অথবা, নতুন মেসােকে দেখে জ্ঞানচক্ষু খুলে গেল তপনের” – কীভাবে তপনের জ্ঞানচক্ষু খুলেছিল? প্রথমবার ও দ্বিতীয়বার জ্ঞানচক্ষু খােলার তুলনা করাে।

উত্তর – এখানে ক্লিক করুন

পরীক্ষায় এখান থেকে কিছু প্রশ্ন অবশ্যই থাকবে । সে কথা মাথায় রেখে Wbshiksha.com এর পক্ষ থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের দের জন্য় অতি আবশ্যক কিছু প্রশ্নোত্তর এবং সাজেশন

Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।

1 thought on “Madhyamik Bengali Suggestion 2023 – মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন ২০২৩ | জ্ঞানচক্ষু (আশাপূর্ণা দেবী) MCQ, সংক্ষিপ্ত, অতি সংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর”

Leave a Comment