Madhyamik Bengali Suggestion 2022 | পথের দাবী (শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়) MCQ, সংক্ষিপ্ত, অতি সংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর । মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন

Madhyamik Bengali Suggestion 2022  ” মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন ২০২২ | পথের দাবী (শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়) MCQ, সংক্ষিপ্ত, অতি সংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর “ একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ টপিক মাধ্যমিক পরীক্ষা (Madhyamik / WB Madhyamik / MP Exam Class 10 Exam / West Bengal Board of Secondary Education – WBBSE Madhyamik Exam / Madhyamik Class 10th / Class X / Madhyamik Pariksha) পরীক্ষায় এখান থেকে কিছু প্রশ্ন অবশ্যই থাকবে । সে কথা মাথায় রেখে Wbshiksha.com এর পক্ষ থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের দের জন্য় অতি আবশ্যক কিছু প্রশ্নোত্তর এবং সাজেশন

পথের দাবী

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

Madhyamik Bengali Suggestion 2022 | পথের দাবী (শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় | সংক্ষিপ্ত, অতি সংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর | Class 10 Bengali Suggestion 2022

সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখাে – প্রশ্নের মান ১

১। পুলিশ স্টেশনে বসে থাকা বাঙালীরা কাজ করত –

(ক) ভামাে শহরে 

(খ) ম্যানডালে 

(গ) বর্মা ওয়েল কোম্পানীতে 

(ঘ) রেঙ্গুনে 

উত্তর – (গ) বর্মা ওয়েল কোম্পানীতে

২। সব্যসাচী মল্লিক পেশায় ছিলেন –

(ক) শিক্ষক

(খ) উকিল

(গ) পুলিশ।

(ঘ) ডাক্তার

উত্তর – (ঘ) ডাক্তার

৩। বড়াে সাহেব অপূর্বকে পাঠিয়েছিলেন – 

(ক) রেগুনে

(খ) দিল্লিতে 

(গ) ভামােতে

(ঘ) ম্যানডালে

উত্তর – (গ) ভামােতে

৪। ‘বুড়াে মানুষের কথাটা শুনাে – বুড়াে মানুষটি হলেন

(ক) গিরিশ মহাপাত্র 

(খ) নিমাই বাবু 

(গ) জগদীশ বাবু। 

(ন) ভগদীশ বাব

(ঘ) অপূর্ব। 

উত্তর – (খ) নিমাই বাবু 

৫। পলিটিক্যাল সাসপেক্টের নাম ছিল –

(ক) সব্যসাচী মল্লিক | 

(খ) জগদীশ বাবু

(গ) গিরিশ মহাপাত্র 

(ঘ) নিমাই বাবু । 

উত্তর – (ক) সব্যসাচী মল্লিক | 

৬। গিরিশ মহাপাত্রের চুলে যে গন্ধ ছিল –

(ক) নারকেল তেলের 

(খ) সুগন্ধি তেলের

(গ) নেবুর তেলের 

(ঘ) সরিষার তেলের

উত্তর – (গ) নেবুর তেলের

৭। গিরীশ মহাপাত্রের সঙ্গে অপূর্বর পুনরায় দেখা হয়েছিল – 

(ক) বাস স্টেশনে

(খ) রেল স্টেশনে 

(গ) জাহাজ ঘাটে 

(ঘ) রাস্তায়।

উত্তর – (খ) রেল স্টেশনে

৮। ‘দয়ার সাগর! পরকে সেজে দি, নিজে খাইনে।বক্তা হলেন

(ক) অপূর্ব।

(খ) গিরীশ মহাপাত্র 

(গ) নিমাই বাবু। 

(ঘ) জগদীশ বাবু। |

উত্তর – (খ) গিরীশ মহাপাত্র 

৯। পুলিশস্টেশনে মােটমাট নিয়ে বসে থাকা বাঙালীর সংখ্যা হল –

(ক) পাঁচ জন।

(খ) চার জন।

(গ) ছয় জন। 

(ঘ) সাত জন

উত্তর – (গ) ছয় জন।

Madhyamik Bengali Suggestion 2022 | পথের দাবী (শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় | সংক্ষিপ্ত, অতি সংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর | Class 10 Bengali Suggestion 2022

 অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী (প্রশ্নোত্তর প্রশ্নের মান – ১)

১. টিফিনের সময় কারা একসঙ্গে জলযোগ করত?

উত্তরঃ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা ‘পথের দাবী’ রচয়িা বনদাস ও পূর্ণ টিফিনের সময় একসঙে লযোগ করত।

২.  “ইহার আপাদমস্তক অপূর্ব বারবার নিরীক্ষণ করিয়া কহিল …।”—অপূর্ব কী বলেছিল?

উত্তরঃ সন্দেহভাজন গিরীশ মহাপাত্রের আপাদমস্তক নিরীক্ষণ করে অপূর্ব বলেছিল—লোকটিকে নিমাইবাবু কোনো কথা জিজ্ঞেস না-করেই ছেড়ে দিতে পারেন। কারণ যাকে খোঁজা হচ্ছে সে যে এই ব্যক্তি নন, তার জামিন সে হতে পারে।

৩. “সম্মুখে হাজির করা হইল।”—কাকে, কার সামনে হাজির করা হয়?

উত্তরঃ ‘পোলিটিক্যাল সাসপেক্ট’ গিরীশ মহাপাত্র ওরফে সব্যসাচী মল্লিককে পুলিশ অফিসার নিমাইবাবুর সামনে হাজির করা হয়।

৪. “এইটুকু কাশির পরিশ্রমেই সে হাঁপাইতে লাগিল।”—এখানে কার কথা বলা হয়েছে?

উত্তরঃ এখানে পোলিটিক্যাল সাসপেক্ট’গিরীশ মহাপাত্র ওরফে সব্যসাচী মল্লিকের কথা বলা হয়েছে।

৫. “কেবল আশ্চর্য সেই রোগা মুখের অদ্ভুত দুটি চোখের দৃষ্টি।”—চোখের দৃষ্টিটি অদ্ভুত কেন?

উত্তরঃ সন্দেহভাজন গিরীশ মহাপাত্র ওরফে সব্যসাচী মল্লিকের চোখের পরিচয়। দিতে গিয়ে বলা হয়েছে—চোখের বর্ণনা দেওয়া বৃথা, তা গভীর জলাশয়ের মতো, সেখানে কী যেন একটা আছে, আর সেখানে কোনো খেলা চলবে না। তার অতলে প্রাণশক্তি লুকানো, মৃত্যুও সেখানে প্রবেশ করতে ভয় পায়।

৬. “মৃত্যুও সেখানে প্রবেশ করতে সাহস করে না।”—মৃত্যু কোথায় প্রবেশ করতে সাহস করে না?

উত্তরঃ পোলিটিক্যাল সাসপেক্ট’ গিরীশ মহাপাত্র ওরফে সব্যসাচী মল্লিকের চোখের অতল তলে যেখানে তার ক্ষীণ প্রাণশক্তিটুকু লুকানো—সেখানে মৃত্যু প্রবেশ করতে সাহস করে না।

৭. রামদাসের স্ত্রী অপূর্বকে একদিন সনির্বন্ধ অনুরোধ করে কী বলেছিলেন?

উত্তরঃ রামদাসের স্ত্রী অপূর্বকে একদিন সনির্বন্ধ অনুরোধ করে বলেছিলেন—যতদিন তার মা কিংবা বাড়ির কোনো আত্মীয় মহিলা এদেশে এসে বাসার উপযুক্ত ব্যবস্থা না-করেন, ততদিন তার তৈরি মিষ্টান্ন তাকে খেতে হবে। 

৮. “মুখ ফিরাইয়া হাসি গোপন করিল।”—কে, কেন হাসি গোপন করে?

উত্তরঃ সন্দেহভাজন গিরীশ মহাপাত্রের পোশাক ভীষণ রকমের অস্বাভাবিক ও হাস্যকর হওয়ায় অপূর্ব সেদিকে তাকিয়ে হাসি গোপন করে।

৯. জনছয়েক বাঙালি কোথায় কাজ করত?

উত্তরঃ জনছয়েক বাঙালি উত্তরব্রষ্মে বর্মা-অয়েল-কোম্পানির তেলের কারখানায় মিস্ত্রির কাজ করত।

১০. “নিমাইবাবু চুপ করিয়া রহিলেন,”—নিমাইবাবুচুপ থাকায় অপূর্ব কী বলে?

উত্তরঃ নিমাইবাবু চুপ করে থাকলে অপূর্ব বলে, “আর যাই হোক, যাকে খুঁজছেন তাঁর কালচারের কথাটা একবার ভেবে দেখ।।”

১১. পুলিশস্টেশনে প্রবেশ করে কী দেখা গেল?

উত্তরঃ পুলিশস্টেশনে প্রবেশ করে দেখা গেল, সামনের হলঘরে জনছয়েক বাঙালি মোট-ঘাট নিয়ে বসে আছে।

১২. “তবে এ বস্তুটি পকেটে কেন?”—এই প্রশ্নের উত্তরে উদ্দিষ্ট ব্যক্তি কী বলেছিলেন?

উত্তরঃ উপ্ত প্রশ্নের উত্তরে উদ্দিষ্ট ব্যক্তি বলেছিলেন—“আজ্ঞে, পথে কুড়িয়ে পেলাম, যদি কারও কাজে লাগে তাই তুলে রেখেছি।”

১৩. “ক্ষণকাল মৌন থাকিয়া কহিলেন”—উদ্দিষ্ট ব্যক্তি কী বলেছিলেন?

উত্তরঃ ক্ষণকাল মৌন থেকে নিমাইবাবু গিরীশ মহাপাত্রকে বলেন, গাঁজা খাওয়ার সব লক্ষণ তার মধ্যে আছে। তবে কথাটি সে বলতে পারত। তা ছাড়া এই দেহে সে বেশিদিন বাঁচবে বলে মনে হয় না। সে যেন বুড়ো মানুষের কথা শোনে।

১৪. “জগদীশবাবু চটিয়া উঠিয়া কহিলেন…”-জগদীশবাবু চটে উঠে কী বলেছিলেন?

উত্তরঃ জগদীশবাবু চটে উঠে বলেছিলেন—“দয়ার সাগর! পরকে সেজে দি, নিজে খাইনে। মিথ্যেবাদী কোথাকার!”

১৫. “যাঁকে খুঁজছেন তার কালচরের কথাটা একবার ভেবে দেখুন।”—কথাটি কে বলেছে?

উত্তরঃ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা ‘পথের দাবী’ রচনায় এই কথাটি বলেছে অপূর্ব।

১৬. “নিমাইবাবু উঠিয়া দাঁড়াইয়া বলিলেন,”—নিমাইবাবু উঠে দাঁড়িয়ে কী বললেন?

উত্তরঃ নিমাইবাবু উঠে দাঁড়িয়ে বললেন, “আচ্ছা, তুমি এখন যেতে পারো মহাপাত্র”। এরপর জগদীশবাবুকে উদ্দেশ্য করে—তার যাওয়ার বিষয়ে সম্মতি আছে কি না জানতে চান।

১৭. “আজ বাড়ি থেকে কোনো চিঠি পেয়েছেন। নাকি?”- কে, কখ! এ বা বলেছিলেন?

উত্তরঃ অপূর্বর মধ্যে অত্যন্ত অন্যমনস্কতা লক্ষ করে তলওয়ারকর চিন্তিতমুখে উদ্ধৃত কথাটি বলেছিলেন।

১৮. “বাড়ির খবর সব ভালো তো?”-বক্তা কে? প্রশ্ন শুনে উদ্দিষ্ট ব্যক্তি কী বলেছিলেন?

উত্তরঃ উদ্ধৃতাংশের বক্তা তলওয়ারকর। তিনি এ কথা বলেছিলেন অপূর্বকে। প্রশ্ন শুনে অপূর্ব কিছু আশ্চর্য হয়ে বলে—“যতদূর জানি সবাই ভালোই তো আছেন।”

১৯. অপূর্বর ঘরে চুরি হলে কার কৃপায় টাকাকড়ি ছাড়া আর সব বেঁচে গেছে ?

উত্তরঃ অপূর্বর ঘরে চুরি হলে এক খ্রিস্টান মেয়ের কৃপায় টাকাকড়ি ছাড়া আর সব বেঁচে গেছে।

২০. অপূর্বর হঠাৎ হাসিতে দম আটকে গেল কেন?

উত্তরঃ অপূর্বর হঠাৎ গিরীশ মহাপাত্র ও তার পোশাক-পরিচ্ছদের কথা মনে পড়ায় হাসিতে দম আটকে গেল।

২১. বিনা দোষে ফিরিঙ্গি ছোঁড়ার অপূর্বকে লাথি মেরে কোথা থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিল?

উত্তরঃ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা ‘পথের দাবী’ রচনায় বিনা দোষে ফিরিঙ্গি ছোঁড়ারা অপূর্বকে লাথি মেরে প্ল্যাটফর্ম থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিল।

২২. ফিরিঙ্গিদের অপূর্বকে লাথি মারার ঘটনা শুনে রামদাসের কী প্রতিক্রিয়া হয়েছিল?

উত্তরঃ অপূর্বকে লাথি মারার ঘটনা শুনে রামদাস চুপ করে থাকে, কিন্তু তার দুই চোখ ছলছল করে আসে।

২৩. “বাবুজি, ম্যয় নে আপকো তো জরুর কঁহা দেখা”- কথাটির অর্থ লেখো।

উত্তরঃ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা ‘পথের দাবী’ রচনার আলোচ্য পঙক্তিটির অর্থ হল—বাবুজি, আমি আপনাকে অবশ্যই কোথাও দেখেছি।

২৪. “আশ্চয্যি নেহি হ্যায় বাবু সাহেব, নোকরির বান্তে কেত্তা যায়গায় তো ঘুমতা হ্যায়,”—কথাটির অর্থ লেখো।

উত্তরঃ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা ‘পথের দাবী’ রচনার এই অংশটির অর্থ হল আশ্চর্য নয় বাবুসাহেব, চাকরির খোঁজে কত জায়গায় তো ঘুরতে হয়।

২৫. “দৃষ্টি আকৃষ্ট করিয়া সহাস্যে কহিলেন,”—কে, কী বলেছিলেন?

উত্তরঃ গিরীশ মহাপাত্রের পোশাকের বাহার ও পারিপাট্যের প্রতি অপূর্বর দৃষ্টি আকৃষ্ট করে হাসির সঙ্গে পুলিশ অফিসার নিমাইবাবু বললেন—“বাবুটির স্বাস্থ্য গেছে, কিন্তু শখ ষোলোআনাই বজায় আছে।”

Madhyamik Bengali Suggestion 2022 | পথের দাবী (শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় | সংক্ষিপ্ত, অতি সংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর | Class 10 Bengali Suggestion 2022

কমবেশি ৬০ টি শব্দের মধ্যে উত্তর লেখাে (প্রশ্নমান – ৩)

১।  গিরীশ মহাপাত্রের পােশাক পরিচ্ছদের বর্ণনা দাও।

অথবা “তাহার পােশাক-পরিচ্ছদের বাহার মনে পড়িয়া হঠাৎ হাসির ছটায় দম আটকাইবার উপক্রম হইল।” – উদ্দিষ্ট ব্যক্তির পােশাক-পরিচ্ছদের বর্ণনা দাও।

উত্তর – শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা ‘পথের দাবী’ রচনাংশে পুলিশ স্টেশনে সন্দেহজনকভাবে গিরীশ মহাপাত্রকে আটক করা হয়।

গিরীশ মহাপাত্রের মাথার সামনের দিকের চুল বড় কিন্তু ঘাড়ের ও পিছনের দিকে ছােট করে ছাঁটা। মাথার মাঝখানে চেরা সিঁথি, লেবুর গন্ধযুক্ত তেলে চুল ভেজানাে। কঠিন রুগ্ন চেহারা, গায়ে জাপানি সিল্কের রামধনু রঙের পাঞ্জাবী। পরনে বিলাতি মিলের মকমল পাড়ের সূক্ষ্ম শাড়ি, বুক পকেটে বাথ আঁকা রুমাল। পায়ে মােজা এবং পাম্প সু পরা। হাতে লােহার নাল পরানো। হরিণের সিংহের হাতল দেওয়া বেতের ছড়ি। জাহাজের ধকলে সবকিছুতেই নােংরার পরিচয় রয়েছে। 

২। “বুনাে হাস ধরাই এদের কাজ,” — বক্তা কে? একথা বলার কারণ কী?

উত্তর – শরৎচন্দ্রের ‘পথের দাবী’ রচনাংশে উক্তিটির বক্তা হলেন রামদাস তলয়ারকর।

জগদীশবাবু, নিমাইবাবুর মতাে ব্রিটিশ সরকারের বেতনভুক্ত পুলিশদের সম্বন্ধে একথা বলা হয়েছে। কারণ তারা দেশের খেয়ে-পরে দেশের মানুষকেই ধরার জন্য তৎপর।

অপূর্বর বাড়িতে চুরি হলেও এরা পরাধীন নাগরিকের নিরাপত্তার ধার ধারে না, তার বদলে স্বাধীনতা সংগ্রামী বিপ্লবী বা পলিটিক্যাল সাসপেক্টদের ধরতেই ব্যস্ত বলে বক্তা এদের সম্পর্কে কথাগুলি বলেছেন। 

৩।“এমন তাে নিত্য-নিয়তই ঘটছে,” – বক্তা কে? কোন ধরণের ঘটনার কথা বলা হয়েছে?

উত্তর – শরৎচন্দ্রের ‘পথের দাবী’ রচনাংশে অপূর্ব রামদাস তলয়ারকরকে এ কথা বলেছে।

দেশাত্মবােধে উদ্বুদ্ধ অপূর্ব দেখেছে যে অন্য দেশের মতাে ভারতেও যারা জন্মভূমিকে স্বাধীন করার চেষ্টা করে চলেছে – তাদের কি নিদারুন জীবন যন্ত্রণার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। ফিরিঙ্গিরা দেশীয়দের নানাভাবে অপমানিত ও লাতি করছে, স্টেশন মাস্টার যেভাবে অপূর্বকে কুকুরের মতাে তাড়িয়ে দিয়েছে – সে অপমান অপূর্বর ভেতরে অগ্নি সংযােগ করে দিয়েছে। এটা শুধু একটিমাত্র ঘটনাই নয় – এমন তাে নিত্য-নিয়তই ঘটছে বলে অপূর্ব এখানে ব্যক্ত করেছে।

৪। “এতবড় সব্যসাচী ধরা পড়িল না, কোনাে দুর্ঘটনা ঘটিল না।”- কারএ কথা মনে হয়েছে? কেন?

উত্তর – শরৎচন্দ্রের ‘পথের দাবী’ শীর্ষক রচনায় দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ অপূর্বর এ কথা মনে হয়েছে।

যারা পরাধীন দেশকে স্বাধীন করা ব্রতে জীবনকে উৎসর্গ করেছে – সব্যসাচী মল্লিক তাদের মধ্যে একজন। তাকে ব্রিটিশ পুলিশ হন্যে হয়ে খুঁজে বেড়াচ্ছে। তার বার্মামূলকে আগমনের গােপন খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সবকিছু তল্লাসি শুরু করে। সন্দেহজনকভাবে গিরীশ মহাপাত্রকে পাকড়াও করলেও প্রমাণাভাবে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। অপূর্ব মনে মনে চাইছিল সব্যসাচী ধরা না পড়ুক। সব্যসাচীর ধরা পড়া তার কাছে দুর্ঘটনার মতাে। সব্যসাচীর ধরা না পড়ার ঘটনাই তার মনে হয়েছে কোনাে দুর্ঘটনা ঘটিল না।

৫। বুড়াে মানুষের কথাটা শুনাে।’— বুড়াে মানুষ কে ? তাঁর কোন্ কথাশুনতে বলা হয়েছে ? অথবা, “আজ্ঞে না মাইরি খাইনে।’— কার উক্তি ? কী কারণে এমন উক্তি? অথবা, তবে এ বস্তুটি পকেটে কেন ? – কোন বস্তুর কথা বলা হয়েছে ? এই বক্তব্যের যথার্থতা বিচার করাে। অথবা, দয়ার সাগর! পরকে সেজে দি, নিজে খাইনে। মিথ্যেবাদী । কোথাকার’ – কার উদ্দেশ্যে এই উক্তি ? এমন উক্তির কারণ কী ? অথবা, এই মাত্র! নইলে নিজে খাইনে। – কী খাওয়ার কথা বলা হয়েছে ? বক্তার এমন উক্তির কারণ কী ? 

উত্তর – প্রখ্যাত কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বিরােচিত ‘পথের দাবী’ রচনাংশে।

বুড়াে মানুষটি হল নিমাই বাবু। এখানে গাজার কলকের কথা বলা হয়েছে। পলিটিক্যাল সাসপেক্ট সব্যসাচী মল্লিকের ছদ্মবেশী গিরীশ মহাপাত্রকে পুলিশ সন্দেহভাজন হিসেবে তল্লাশি করার সময় পকেট থেকে গাঁজা খাওয়ার কলকে পায় দারেআন নিমাই বাবু গিরীশ মহাপাত্রকে গাঁজা খাওয়ার কথা বললে গিরীশ মহাপাত্র অস্বীকার করেন। বরং সে জানায় কারাে উপকারের জন্য গিরীশ মহাপাত্র এ সব পকেটে রেখেছে। একথা শুনে জগদীশ বাবু চটে উঠে বলেন— ‘দয়ার সাগর! পরকে সঙ্গে দি, নিজে খাইনে। মিথ্যেবাদী কোথাকার!’ 

৬। সুর ‘তিনি ঢের বেশি আমার আপনার’— তিনি কে ? তিনি ঢের বেশি। আপনার কেন ? অথবা, বাবুজি,এসবকথাবলার দুঃখআছে’—এমন মন্তব্যের কারণ কী? অথবা, তাহলে আপনাকেই হয়তাে আর একদিন তার প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে।’—বক্তা কে ?বক্তা কেন একথা বলেছেন ? 

উত্তর – কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখাপথের দাবী’গল্পে তিনি বলতে

বিপ্লবী সব্যসাচীকে বােঝানাে হয়েছে। আর এখানে একথা বলেছেন অপূর্বর সহকর্মীতলাওয়ারকার।

পলিটিক্যাল সাসপেক্ট বিপ্লবী সব্যসাচী মল্লিক দেশের জন্য প্রাণ বলিদান দিয়েছেন, দেশের জন্য তিনি একদেশ থেকে অন্য দেশে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। আর নিমাই বাবুর মতাে পুলিশেরা তার পিছনে পিছনে ছুটে চলেছেন। অপূর্বও একজন আদর্শ দেশপ্রেমিক। তাই নিজের আত্মীয় নিমাই বাবুর চেয়ে সব্যসাচীই বেশি আপন। 

৭। তুমি তাে ইউরােপিয়ান নও।’—বক্তা কে? বক্তার এমন উক্তির কারণকী ? অথবা, ও নিয়ম রেলওয়ে কর্মচারীর জন্য বক্তার এমন উক্তির কারণ বিশ্লেষণ করাে। অথবা, সেই রাত্রের মধ্যে বার তিনেক তাহার ঘুম ভাঙাইয়া পুলিশের লােক তাহার নাম ও ধাম ও ঠিকানা লিখিয়া লইয়াছে।’— কার। সম্পর্কে বলা হয়েছে এবং সেই ঘটনার বিবরণ দাও। 

উত্তর –  কথা সাহিত্যিক শরৎচন্দ্রের লেখা ‘পথের দাবী’ রচনাংশে।

অপূর্ব ভামাে যাওয়ার সময় প্রথম শ্রেণির টিকিট থাকা সত্ত্বেও অপূর্বকে যে বিরক্তিকর তল্লাসীর চাপে পড়তে হয়েছিল তার কথা বলা হয়েছে।

 অপূর্ব ভামাে যাওয়ার সময় তাঁর কাছে প্রথম শ্রেণির টিকিট থাকা সত্ত্বেও রেলওয়ে কর্মচারী ও পুলিশ রাতে তিনবার ঘুম থেকে ডেকে তুলে তল্লাসী করেছিল। এর প্রতিবাদ করতে গেলে বর্মা সাব ইনস্পেক্টর কটু কণ্ঠে জবাব দেয় – “তুমি তাে ইউরেপিয়ান নও। …… আমি পুলিশ, ইচ্ছা করলে আমি তােমাকে টানিয়া নীচে নামাইতে পারি।

৮।“পলিটিক্যাল সাসপেক্ট সব্যসাচী মল্লিককে নিমাইবাবুর সম্মুখে হাজির করা হইল।” – এরপর পুলিশস্টেশনে কী পরিস্থিতি তৈরী হল, তা পাঠ্যাংশ অনুসরণে আলােচনা করাে। অথবা, “তুমি এখন যেতে পারাে মহাপাত্র” – কোন ঘটনার পর তাকে যেতে বলা হল নিজের ভাষায় লিখ।

উত্তর – কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘পথের দাবী’ উপন্যাসের অংশবিশেষ ‘পথের দাবী” শীর্ষক পাঠ্যাংশে দেখা যায় পলিটিক্যাল সাসপেক্ট সব্যসাচী মল্লিককে অনুসন্ধান করতে গিয়ে সন্দেহজনকভাবে গিরীশ মহাপাত্রকে থানায় নিয়ে আসা হয়।

নাম ধাম জিজ্ঞাসা করে তার তল্লাসি নেওয়া হয়। পকেট থেকে একটি গাজার কলকে উদ্ধার হওয়ায় সে জানায় নিজে খায় না – সে বলেছে, আজ্ঞে মাইরি খাইনে। তবে ইয়ার বন্ধু কেউ তৈরী করে দিতে বললে দিই। এরপর নিমাইবাবু তাকে আর গাঁজা না খাবার অনুরােধ করে বলেন, “আরে খেয়াে না।। বুড়াে মানুষের কথাটা শুনাে।”

Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।

Leave a Comment