মহাত্মা গান্ধির নেতৃত্বে চম্পারণ সত্যাগ্রহ বিশ্লেষণ করাে। 

মহাত্মা গান্ধির নেতৃত্বে চম্পারণ সত্যাগ্রহ বিশ্লেষণ করাে।   4 Marks/Class 10

উত্তর: স্থানীয় কৃষক আন্দোলনে সফলভাবে নেতৃত্ব দানের মাধ্যমে ভারতের জাতীয় আন্দোলনের অন্যতম প্রধান নেতা মােহন দাস করমচাদ গান্ধি গান্ধিজির রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়েছিল। এইরকম দুটি উল্লেখযােগ্য আন্দোলন ছিল চম্পারণ ও খেদার কৃষক আন্দোলন।

চম্পারণ আন্দোলন : রাসায়নিক পদ্ধতিতে কৃত্রিম নীল আবিষ্কারের পর ভারতে নীলচাষ উঠে গেলেও বিহারের চম্পারণসহ বিভিন্ন এলাকায় তিন কাঠিয়া’ (২০ কাঠার মধ্যে ৩ কাঠা বা জমির ৩/২০ অংশ) প্রথায় নীলচাষ করা হত। তাই চম্পারণে বলপূর্বক নীলচাষ করানাে এবং নীলকর সাহেবদের অকথ্য অত্যাচারের বিরুদ্ধে নীলচাষীরা স্থানীয় নেতাদের নেতৃত্বে আন্দোলন গড়ে তুলেছিল।

গান্ধিজির যােগদান : চম্পারণের কয়েকজন মানুষের আবেদনে গান্ধিজি রাজেন্দ্র প্রসাদ, আচার্য কৃপালনী, মহাদেব দেশাই প্রমুখ তরুণ জাতীয়তাবাদী নেতাকে সঙ্গে নিয়ে চম্পারণে পৌছান (১৯১৭ খ্রি.)। সেখানে পৌছে তিনি কৃষকদের দুর্দশা ও নীলকরদের অত্যাচার সম্পর্কে অনুসন্ধান শুরু করেন।

বিহারের চম্পারণ জেলায় নীলচাষিদের স্বার্থরক্ষার জন্য ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে গান্ধিজি যে সত্যাগ্রহ শুরু করেছিলেন, তাকে চম্পারণ সত্যাগ্রহ বলে। এই সত্যাগ্রহের চাপেই সরকার ওই বছরই চম্পারণ কৃষি বিল পাস করে এবং তিনকাঠিয়া প্রথা তুলে দেয়। 

চম্পারণের গুরুত্ব : ঐতিহাসিক রমেশচন্দ্র মজুমদারের মতে, চম্পারণের আন্দোলনের ফলে কৃষকদের মনােবল বৃদ্ধি পায় এবং গান্ধিজির খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। এই আন্দোলনের সাফল্য জাতীয় রাজনীতিতে কৃষকদের গুরুত্ব বৃদ্ধি করে।

Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।

Leave a Comment