মহারানির ঘােষণাপত্রের (১৮৫৮) ঐতিহাসিক তাৎপর্য কী?

মহারানির ঘােষণাপত্রের (১৮৫৮) ঐতিহাসিক তাৎপর্য কী? 4 Marks/Class 10

উত্তর:

লর্ড ক্যানিং ভারতে ব্রিটিশ রাজশক্তির ক্ষমতা গ্রহণের সংবাদ এলাহাবাদে আয়ােজিত এক দরবারে মহারানির নামে প্রচারিত এক ঘােষণাপত্রের মাধ্যমে প্রকাশ করেন (১ নভেম্বর ১৮৫৭ খ্রি.)।

তাৎপর্য : ভারতীয় জনগণের ‘ম্যাগনা কার্টা’ বা মহাসনদ বলে অভিহিত মহারানির এই ঘােষণাপত্রে বলা হয়— 

১) দেশীয় রাজাদের মর্যাদা দান : এখন থেকে দেশীয় রাজ্যগুলির সঙ্গে পূর্ব সম্পাদিত সমস্ত সন্ধিকে মান্য করা হবে এবং তাঁদের প্রাপ্য মর্যাদা ও অধিকারকে যথােচিত সম্মান দেওয়া হবে। 

২) স্বত্ববিলােপ নীতি প্রত্যাহার : দেশীয় রাজ্যগুলিতে এযাবৎ প্রচলিত দেশীয় প্রথাগুলিকে স্বীকার করে নেওয়া হবে, দেশীয় রাজারা আগের মতাে দত্তকপুত্র গ্রহণ করতে পারবেন এবং স্বত্ববিলােপ নীতি প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে।

৩) রাজ্যবিস্তার বন্ধ : ব্রিটিশ সরকার ভারতে আর রাজ্যবিস্তার করবে না এবং প্রত্যক্ষভাবে ব্রিটিশ-হত্যার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা ছাড়া আর সমস্ত ভারতীয় বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে। 

৪) স্বাধীন ধর্মাচরণ : কারও কোনাে ধর্মাচরণে বাধা দেওয়া হবে না। জাতিধর্মনির্বিশেষে সমস্ত ভারতীয়কে শুধু যােগ্যতার মাপকাঠিতে উচ্চ রাজপদে নিযুক্ত করা হবে।

মূল্যায়ন : দেশীয় রাজ্যগুলি এই প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে নিজেদের নিরাপদ মনে করলেও শেষপর্যন্ত এই প্রতিশ্রুতিগুলি মিথ্যায় পর্যবসিত হয়। বস্তুত ‘মহারানির ঘােষণাপত্র’ ছিল একটি রাজনৈতিক কৌশল বা ধাপ্পামাত্র।

Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।

1 thought on “মহারানির ঘােষণাপত্রের (১৮৫৮) ঐতিহাসিক তাৎপর্য কী?”

Leave a Comment