মরুভূমিতে ও উপকূল অঞ্চলে বালুকাকণা কীভাবে সৃষ্টি হয়? Class 10 | Geography | 3 Marks
উত্তর:-
মরুভূমিতে বালুকাকণা সৃষ্টির পদ্ধতি: মরুভূমি বলতে সাধারণভাবে বােঝায় দিগন্তবিস্তৃত বালি ঢাকা ভূমি। মরুভূমিতে এত বিপুল পরিমাণ বালি সৃষ্টির কারণগুলি হল—
1. বৃষ্টিহীন শুষ্ক পরিবেশ: মরুভূমির প্রায় বৃষ্টিহীন শুষ্ক পরিবেশ, যার ফলে ওখানকার শিলাস্তর তথা ভূমি শুকনাে খটখটে অবস্থায় থাকে।
2. দিন ও রাতের মধ্যে উন্নতার অত্যধিক পার্থক্য : দিন ও রাতের মধ্যে উয়তার পার্থক্য বেশি হওয়ার ফলে ওখানকার শিলাস্তরে ব্যাপকহারে যান্ত্রিক আবহবিকার ঘটে। কারণ দিনের বেলা উন্নতা প্রায় 45°-50° সে বা তার বেশি উঠে গেলেও রাতে তা ৪°-10° সে-এর কাছাকাছি নেমে আসে। এতে শিলার খনিজগুলি ক্রমাগত ভিন্ন ভিন্ন হারে প্রসারিত ও সংকুচিত হয়। এর ফলে যান্ত্রিক আবহবিকারের বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শিলাসমূহ ক্রমান্বয়ে খণ্ডবিখণ্ড বা চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে শেষে বালুকণায় পরিণত হয়।
3. অবঘর্ষ ও ঘর্ষণ: চূর্ণবিচূর্ণ শিলাসমূহ বায়ুর মাধ্যমে বাহিত হওয়ার সময় পরস্পর ঠোকাঠুকি ও ঘর্ষণেও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বালুকণায় পরিণত হয়।
4. কোয়ার্টজ কণা সমৃদ্ধ শিলার উপস্থিতি: বেলেপাথর, গ্রানাইট, নিস প্রভৃতি শিলাখণ্ডগুলি ভেঙে বালুকণার সৃষ্টি হয়। এইসব কণার মধ্যে অতি কঠিন কোয়ার্টজ কণা থাকে, সেগুলিও শিলাকে ক্ষয় করে বালুকণা সৃষ্টিতে সাহায্য করে।
উপকূল অঞ্চলে বালুকাকণা সৃষ্টির পদ্ধতি: উপকূল অঞলে যান্ত্রিক ও রাসায়নিক আবহবিকার এবং বায়ুপ্রবাহের সহায়তা নিয়ে প্রধানত সমুদ্রতরঙ্গ অবঘর্ষ ক্ষয়, ঘর্ষণক্ষয়,দ্রবণ ক্ষয়,জলপ্রবাহ ক্ষয় প্রভৃতি বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় তটভূমির শিলাসমূহকে ক্রমশ চূর্ণবিচূর্ণ করে অবশেষে বালিতে পরিণত করে। উপকূল অঞ্চলে সংঘটিত রাসায়নিক আবহবিকারের মধ্যে আদ্র বিশ্লেষণ, অঙ্গারযােজন ও জারণ উল্লেখযােগ্য। এর ফলে শিলা বিয়ােজিত ও চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে বালুকণা সৃষ্টি করে।
Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।