মুদালিয়র কমিশন কবে, কোন কোন সদস্য নিয়ে গঠিত হয়? মুদালিয়র কমিশনের বিচার্য বিষয়সমূহ আলােচনা করাে। 3+5 Class 12 | Education (শিক্ষাবিজ্ঞান) | 8 Marks
উত্তর:-
মুদালিয়র কমিশনের গঠন ও তার সদস্যবৃন্দ : স্বাধীনতার পর, সর্বভারতীয় ভিত্তিতে মাধ্যমিক শিক্ষার সংস্কারের জন্য কেন্দ্রীয় শিক্ষা উপদেষ্টা পর্ষদ প্রচলিত মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পর্কে ব্যাপক অনুসন্ধান ও প্রচলিত ব্যবস্থার উপযােগিতা বিচারের দায়িত্ব নেওয়া হয়। এর জন্য 1952 খ্রিস্টাব্দের 23 সেপ্টেম্বর, মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডক্টর লক্ষ্মণস্বামী মুদালিয়রের নেতৃত্বে মাধ্যমিক শিক্ষা কমিশন তথা মুদালিয়র কমিশন গঠন করা হয়।
মুদালিয়র কমিশনে সাতজন ভারতীয় সদস্য এবং দুজন বিদেশি সদস্য ছিলেন। ভারতীয় সদস্যরা হলেন ড. লক্ষ্মণস্বামী মুদালিয়র (সভাপতি), ড. কে এস শ্রীমালী, শ্রীমতী হংস মেহতা, শ্রী জে এ তারপরভেলা, শ্রী এম টি ব্যাস, শ্রী কে জি সায়েদিন এবং শ্রী অনাথ বসু (সদস্য-সম্পাদক)। বিদেশি সদস্যদের মধ্যে ছিলেন অক্সফোর্ডের জেমস্ কলেজের অধ্যক্ষ জন ক্রিস্টি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ড. কিনেথ রাস্ট উইলিয়াম।
মদালিয়র কমিশনের বিচার্য বিষয়সমুহ : মুদালিয়র কমিশনের বিচার্য বিষয়গুলি হল—
[1] লক্ষ্য নির্ধারণ : মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার লক্ষ্য কী হবে, তা নির্ধারণ করা।
[2] লক্ষ্যে পৌঁছানাের পথ সম্পর্কে নির্দেশনা : মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার লক্ষ্যে পৌঁছােনাের জন্য উপযুক্ত পথ সম্পর্কে নির্দেশনা দান।
[3] শিক্ষার পুনর্গঠন সম্পর্কে পরামর্শ : তৎকালীন সময়ে প্রচলিত মাধ্যমিক শিক্ষার পুনর্গঠন কীভাবে করা যায়, সে সম্পর্কে সুচিন্তিত মতামত দান।
[4] পাঠক্রম প্রণয়নে পরামর্শ : তৎকালীন মাধ্যমিক শিক্ষার পাঠক্রমে কীজাতীয় পরিবর্তন প্রয়ােজন এবং তা কীভাবে প্রণয়ন করা হবে, সে সম্পর্কে পরামর্শ দান।
[5] বিদ্যালয়ের পুনর্বিন্যাস : তৎকালীন মাধ্যমিক বিদ্যালয়- গুলির পুনর্বিন্যাস সম্পর্কে পরামর্শ দান।
[6] প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার মধ্যে সমন্বয়সাধন : মাধ্যমিক শিক্ষা কমিশন গঠনের আগে সরকার প্রাথমিক স্তরে গান্ধিজি প্রবর্তিত কর্মকেন্দ্রিক বুনিয়াদি শিক্ষাব্যবস্থা চালু করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। তাই সরকার কমিশনের কাছ থেকে সেইসব সুপারিশ আহ্বান করে, যা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার মধ্যে সার্থক সমন্বয়ের ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।
[7] বিভিন্ন ধরনের বিদ্যালয়ের মধ্যে সম্পর্কথাপন : মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার জন্য সারা দেশে বিভিন্ন ধরনের যেসব মাধ্যমিক বিদ্যালয় গড়ে উঠবে, তাদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক কী হবে, সে বিষয়েও কমিশনকে পরামর্শ দানের জন্য অনুরােধ করা হয় ৷
[8] অন্যান্য বিষয়ে অভিমত : মাধ্যমিক শিক্ষার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত অন্যান্য বিষয়গুলির সম্বন্ধে কমিশন তার সুচিন্তিত অভিমত পােষণ করে, সেগুলির সংস্কার প্রসঙ্গে প্রয়ােজনীয় সুপারিশ বা পরামর্শ দানের কথা বলা হয়।
Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।