মূক ও বধির শিশু কাদের বলে? সাধারণত কী কারণে এরা মূক ও বধির হয়?

মূক ও বধির শিশু কাদের বলে? সাধারণত কী কারণে এরা মূক ও বধির হয়? Class 12 | Education (ভিন্ন ধরনের সক্ষমতার শিশুদের শিক্ষা) 4 Marks

উত্তর:-

মূক ও বধির শিশু

[1] যেসব শিশু কথা বলতে পারে না, তাদের মূক বা বােবা (dumb) বলে এবং যেসব শিশু শুনতে পায় না, তাদের বধির বা কালা (deaf) বলে।

[2] একটি শিশু যে স্বল্প শ্রবণশক্তি নিয়ে অথবা একেবারে শ্রবণশক্তিহীন অবস্থায় জন্মায় কিংবা যে শিশুর শ্রবণশক্তি তার ভাষা ও বাচনিক ভঙ্গি বিকাশের আগেই নষ্ট হয়ে গেছে, তাকেই মূক ও বধির বলা হয়।

মূকত্ত্ব ও বধিরতার কারণ 

মূক ও বধির শিশুরা মূলত শ্রবণজনিত কারণে এবং কথা বলতে না পারার জন্য সাধারণ ছেলেমেয়েদের তুলনায় পিছিয়ে পড়ে। তাদের এই শারীরিক ত্রুটির পিছনে নানা কারণ থাকো। 

মূকত্বের কারণ 

[1] স্বরযন্ত্রের ত্রুটির কারণে অনেকের কথার মধ্যে আড়ষ্টতা বা অস্পষ্টতা দেখা দেয়। 

[2] স্বরযন্ত্রের ত্রুটির মাত্রা খুব বেশি হলে ছেলেমেয়েরা একেবারেই কথা বলতে পারে না। এইজাতীয় ছেলেমেয়েদের সম্পূর্ণ মূক বলে। 

[3] স্বরযন্ত্র ত্রুটিহীন হওয়া সত্ত্বেও শ্রবণশক্তির ত্রুটির কারণে বহু ছেলেমেয়ে মূক হয়। 

বধিরতার কারণ

[1] শ্রবণ ইন্দ্রিয় তথা কানের কোনাে অংশে ত্রুটি দেখা দিলে শ্রবণক্রিয়া ব্যাহত হয়। 

[2] শ্রবণজনিত ত্রুটি থেকেই ছেলেমেয়েরা বধির বা আংশিক বধির হয়। 

[3] শ্রবণজনিত ত্রুটি অনেক সময় জন্মগত হয়। 

[4] স্বাভাবিক শিশু বিভিন্ন রােগব্যাধির কারণে বা দুর্ঘটনার ফলে শ্রবণক্ষমতা হারায়। 

[5] শ্রবণজনিত ত্রুটির ফলে ছেলেমেয়েরা একদিকে যেমন শুনতে পায় না, অন্যদিকে কথা বলতে না শেখায় বােবায় পরিণত হয়। বােবা ছেলেমেয়েদের ভাষাগত বিকাশও ঘটে না।

Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।

Leave a Comment