নারী-ইতিহাসের চর্চার বৈশিষ্ট্য আলােচনা করাে।

নারী-ইতিহাসের চর্চার বৈশিষ্ট্য আলােচনা করাে।
অথবা,
নারী-ইতিহাসের ওপর একটি টীকা লেখো। Mark 4 | Class 10

উত্তর:-

ভূমিকা : প্রচলিত ইতিহাসে নারীর ভূমিকা বা অধিকারের যথাযথ মূল্যায়নের প্রয়ােজনে নারীর গুরুত্বকে তুলে ধরার। ইতিহাসচর্চাই হল নারী-ইতিহাস। 

বৈশিষ্ট্যসমূহ : নারী ইতিহাসের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যগুলি হল— 

১) পুরুষকেন্দ্রিক ইতিহাস সংশােধন : সভ্যতার ইতিহাসে পুরুষদের পাশাপাশি নারীদের ভূমিকাও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও পুরুষতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি যুদ্ধ, প্রশাসন, রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজ ও সংস্কৃতিতে পুরুষদের ভূমিকাকে বা অবদানকে বেশি করে। চিহ্নিত করেছে আর নারীরা উপেক্ষিত হয়েছে। তাই উপেক্ষিত নারীদের ইতিহাস উদ্ধারের কাজ হল এই ইতিহাসের বৈশিষ্ট্য। 

২) অধিকার ও সমতা প্রতিষ্ঠা : এই ইতিহাসচর্চার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল নারীর অধিকার এবং নারী-পুরুষ সমানাধিকার প্রতিষ্ঠা। নারী অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সর্বপ্রথম লেখালেখি করেন ইংল্যান্ডের মেরি ওলস্টনস্ক্রাফ্ট এবং পরবর্তীকালে ফ্রান্সের সিমােন দ্য বােভােয়ার। 

৩) নারীর অংশগ্রহণ : নারী-ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ দিক হল বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক জীবনে নারীর অংশগ্রহণ।

৪) সভ্যতার অগ্রগতির মাপকাঠি : কোনাে দেশের সভ্যতা ও সমাজে নারীর অবস্থান ও মর্যাদার ওপর সেই সভ্যতার উৎকর্ষ নির্ভর করে বলে নারী-ইতিহাসচর্চা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।

উপসংহার : উপরােক্ত আলােচনা থেকে দেখা যায় যে,  নারী-ইতিহাসচর্চা হল এক ধরনের সংশােধনবাদী ইতিহাসচর্চা।তবে এই ইতিহাসচর্চার ফলে ইতিহাস বিকৃতির সম্ভাবনাও রয়েছে। 

Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।

1 thought on “নারী-ইতিহাসের চর্চার বৈশিষ্ট্য আলােচনা করাে।”

Leave a Comment